Jeetu-Nabanita: মিলল না ‘বিচার’, চার অভিযুক্তের জামিনে ক্ষুব্ধ জিতু-নবনীতা

Jeetu-Nabanita: ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে। গাড়ি নিয়ে ফিরছিলেন জিতু-নবনীতা। সেই সময়েই নিমতা মাঝেরহাটি মোড়ে তাঁদের গাড়িকে অপর এক পণ্যবাহী গাড়ি ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ।

Jeetu-Nabanita: মিলল না 'বিচার', চার অভিযুক্তের জামিনে ক্ষুব্ধ জিতু-নবনীতা
জিতু ও নবনীতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2022 | 1:34 PM

চার অভিযুক্তের জামিনে মুক্তির ঘটনায় এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন জিতু কামাল ও নবনীতা দাস। অভিনেতা জিতু কামাল (Jeetu kamal) ও নবনীতা দাসের (Nabanita Das) গাড়ির সঙ্গে অন্য গাড়ির সংঘর্ষের ঘটনায় চার অভিযুক্তকেই শুক্রবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। তবে ওই চার অভিযুক্তই এই মুহূর্তে জামিনে মুক্ত। ঘটনায় একেবারেই খুশি নন অভিনেত্রী নবনীতা দাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যাঙ্গাত্মক পোস্টও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। জামিনে মুক্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে নবনীতা লেখেন, “চার অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। বাকি রইল, পরশুরামবাবু। আপনার আর চিন্তা কীসের? আপনি তো পুলিশ।” কে এই পরশুরাম? নিমতা থানার অ্যাসিসটেন্ট সাব ইনস্পেক্টর তিনি। এই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন জিতু ও নবনীতা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের হয়ে সালিশি করছিলেন ওই পুলিশকর্মী। এমনকি অভিযুক্তরা নবনীতাকে ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও তিনি নীরব দর্শক ছিলেন বলে দাবি করেছিলেন তারকা দম্পতি। TV9 Bangla-কে জিতু জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর ছাড়াও উক্ত পরশুরামবাবুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। চার জন জামিন পেয়েছেন। পরশুরামবাবুও ‘পুলিশ’ হওয়ার কারণে ছাড় পেয়ে যাবেন– এমনটাই মনে করছেন নবনীতা। অন্যদিকে এই জামিন পাওয়ার ঘটনায় জিতু কী বলছেন? TV9 Bangla  যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, “আদালত সর্বোচ্চ। তারা যদি কাউকে জামিন দিয়ে থাকে, তবে কিছু বলার নেই। এএসআই পরশুরাম বাবুর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আশা রাখছি সুবিচার পাব। ব্যাপারটা এতটা বড়ই হত না যদি না পরশুরাম ওরকম ব্যবহার করতেন।” অন্যদিকে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজ।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে। গাড়ি নিয়ে ফিরছিলেন জিতু-নবনীতা। সেই সময়েই নিমতা মাঝেরহাটি মোড়ে তাঁদের গাড়িকে অপর এক পণ্যবাহী গাড়ি ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ। তাঁদের গাড়িটির চালক ওই গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করলে বাধে বচসা। নবনীতা ও জিতুর অভিযোগ, তাঁদের গাড়ির চালককে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাঁদের আরও অভিযোগ, এরপর নিমতা থানায় গেলে পুলিশি অসহযোগিতার মুখে পড়েন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের থানায় বসিয়ে রাখা হয় বলেও সংবাদমাধ্যমের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন দম্পতি। পাশাপাশি, ফেসবুকে লাইভে এসে জিতু-নবনীতা দাবি করেন, ওই পণ্যবাহী গাড়ি চালক তার দলবল নিয়ে চড়াও হয়ে ক্রমাগত খুন ও ধর্ষণের হুমকি দিতে শুরু করে। ফেসবুক লাইভে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে নবনীতা বলেন, “আমি ভয় পেয়ে গিয়েছি। পুলিশের সামনে আমাকে বলা হচ্ছে রেপ করে দেব, ডেথ করে দেব। এটা কীরকম? পুলিশের সামনেই যদি এরকম করে বলা হয়, তাহলে আমি একা থাকলে কী করতে পারে। আমরা কী দোষ করেছি? গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার কী আমাদের অপরাধ? আমার প্রচণ্ড ভয় লাগছে।”

অভিনেত্রী অভিযোগ করেন, থানার সামনে ঘটনাটি ঘটলেও পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। এমনকি খুনের হুমকি পাওয়ার পরেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন জিতু ও নবনীতা। যদিও নিমতা থানার পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই সঙ্গীতশিল্পী রসিদ খান অপর এক ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছিলেন। এবারেও সেই একই অভিযোগ করেছিলেন জিতু ও নবনীতাও। কিন্তু ‘বিচার’ কি মিলল? সে প্রশ্ন উঠছেই।