Rahul Arunoday Banerjee: হরেক কেক, দক্ষিণী খাবার, চুমু… জন্মদিন জমে গেল রাহুলের
Rahul Arunoday Banerjee: বিকেলে স্কুলের বন্ধুরা আসবেন বাড়িতে। হবে ঘরোয়া সেলিব্রেশন। খাওয়া দাওয়াও যে থাকবেন তা না বললেই নয়। তবু গত রাতের সেলিব্রেশন তাঁর কাছে স্পেশ্যাল।

শুটিং শেষ করা হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের আগেই। চুপিচুপি ‘লাল কুঠি’ টিম ঠিক করেছিল সারপ্রাইজ দেবে রাহুল অরুণোদয়কে। ওদিকে রাহুল আঁচ পেয়েছিলেন সবটাই। তবু রাত বাড়লে শহরের দক্ষিণী খাবারের নামজাদা রেস্তরাঁয় হাজির হল টিম। ভিড় বাড়ল এক এক করে। মধ্যমণী অভিনেতা। পাশে দাঁড়িয়ে তদারকির দায়িত্বে রুকমা রায়। এল বেশ কয়েক রকমের কেক। সঙ্গে খাবার। এখানেই কি শেষ? চলল উপহার দেওয়ার পর্বও। রুকমা রাহুলকে দিয়েছেন বই, রাহুলের পছন্দ সম্পর্কে এই কয়েক বছরেই তিনি যে অনেকখানি জেনে গিয়েছেন। আর রাহুলও রুকমাকে জড়িয়ে ধরে খেলেন চুমুও। হাসি হাসি মুখের ছবিগুলি যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাজ করছে তখন টিভিনাইন বাংলা যোগাযোগ করেছিল অভিনেতার সঙ্গে।
‘কিছু যে একটা’ প্ল্যানিং চলছে তা তিনি বুঝেছিলেন আগেই। বললেন, “বয়সটা তো কম হল না। কিন্তু আমাদের গোটা টিমের মধ্যে এত বন্ডিং তাই আমি যে বুঝতে পেরেছি তা ওদের বোঝাতে চাইনি”। জন্মদিন মানেই বন্ধুদের ট্রিটের আবদার, জোর করে পয়সা খসিয়ে খেয়ে নেওয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টা… রাহুল তারকা। তাঁর জীবনেও কি এমনটা হয় আজও? দাবি জানায় বন্ধুরা ট্রিটের জন্য। একটু থামলেন রাহুল। এরপর খানিক ভেবে বললেন, “না, আমার মনে হয় সেই বয়সটাই হয়তো পার করে এসেছি”। কিন্তু বয়স যে সংখ্যা মাত্র। আরও একটু বিশদে বললেন রাহুল। যোগ করলেন, “যে বয়সে পয়সা থাকে না সে বয়সেই হয়তো পয়সা খসানোর আবদারটা আরও বেশি হয়ে ওঠে। এখন এই পয়সা খরচ করার কথা উঠলেই হয়তো অন্য কোনও বন্ধুই তা দিয়ে দেয়।”
বিকেলে স্কুলের বন্ধুরা আসবেন বাড়িতে। হবে ঘরোয়া সেলিব্রেশন। খাওয়া দাওয়াও যে থাকবেন তা না বললেই নয়। তবু গত রাতের সেলিব্রেশন তাঁর কাছে স্পেশ্যাল। সহকর্মীদের নিরলস চেষ্টা, আন্তরিকতায় আরও এক বছর যোগ হল তাঁর জীবনে। তাঁকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা।

জন্মদিন জমজমাট।





