CPIM: ‘রাজি’ নন সেলিম! সীতারামের বিকল্পের খোঁজে নাজেহাল সিপিআইএম
CPIM: একই রকম দড়ি টানাটানি চলছে পশ্চিমবঙ্গের থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি বা পলিটব্যুরো নাম বাছাইয়ে। সূর্যকান্ত মিশ্র এবার পলিটব্যুরো থেকে বিদায় নেবেন। তাঁর জায়গায় কোন কোন মহল সুজন চক্রবর্তীকে চাইলেও শ্রীদীপ ভট্টাচার্যই এগিয়ে রয়েছেন।

কলকাতা: সীতারাম ইয়েচুরির বিকল্প খুঁজতে রীতিমতো নাজেহাল সিপিআইএম। রবিবার শেষ হবে ২৪ তম পার্টি কংগ্রেস। শনিবার রাত পর্যন্ত কোনও নাম সর্বসম্মত ভাবে উঠে আসেনি বলেই খবর। সীতারামের আকস্মিক মৃত্যুর পর প্রকাশ করাত কয়েক মাস পলিটব্যুরো কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব সামলালেও বয়সের নিয়মে তাঁর এবার বিদায় নেওয়ার পালা। তিনি নিজেও আর থাকতে চান না বলে সিপিএম সূত্রে খবর। একইভাবে বৃন্দা কারাতেরও বিদায় নেওয়ার কথা। ফলে একাধিক বিকল্প নাম নিয়ে আলোচনা চলছে।
কেরলের এম এ বেবি এগিয়ে থাকলেও তাঁর নিজের রাজ্যে কিছু বিরোধিতা আছে। অশোক ধাওয়ালে এর নামও এখনও সর্বসম্মত নয়। এই দুজনকে বাদ দিয়ে তৃতীয় নাম হিসেবে মহম্মদ সেলিম আলোচনায় রয়েছে। তবে তিনি নিজে রাজ্য সম্পাদক পদ ছাড়তে চান না। ফলে কে হবেন সিপিআইএমের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক তা এখনও চূড়ান্ত নয়।
পলিটব্যুরো নাম বাছাইয়েও দড়ি টানাটানি
একই রকম দড়ি টানাটানি চলছে পশ্চিমবঙ্গের থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি বা পলিটব্যুরো নাম বাছাইয়ে। সূর্যকান্ত মিশ্র এবার পলিটব্যুরো থেকে বিদায় নেবেন। তাঁর জায়গায় কোন কোন মহল সুজন চক্রবর্তীকে চাইলেও শ্রীদীপ ভট্টাচার্যই এগিয়ে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ যাবেন রবীন দেব, রেখা গোস্বামী এবং অঞ্জু কর। শেষ মুহূর্তে বড় কোন পরিবর্তন না হলে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যাযের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসা প্রায় নিশ্চিত। বাকি দু’টো পদের জন্য দাবিদার কয়েকজন। গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ বোস, পলাশ দাশ, দেবব্রত ঘোষ, মহিলা সমিতির সভানেত্রী জাহানারা খান এবং চা শ্রমিক আন্দোলনের জিয়াউল আলম। তবে জাহানারার ক্ষেত্রে বড় বাধা তিনি এবং মীনাক্ষী একই জেলার বাসিন্দা। সে কারণে কনীনিকা লড়াইতে এগিয়ে।
হুগলির দেবব্রত ঘোষও রাজ্য নেতৃত্বের প্রথম পছন্দ। সেই পছন্দ শেষ পর্যন্ত থাকলে কলকাতা জেলার সম্পাদক কল্লোল এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক পলাশের এবারও কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার সম্ভাবনা কম। উত্তরবঙ্গের কোটায় একজনকে নেওয়া হলে জিয়াউলের সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। একইভাবে দলের এই চরম সঙ্কটের সময় মানিক সরকার, পিনারাই বিজয়ন, বৃন্দা করাত- সহ সাত জন পলিটব্যুরো সদস্যকে একসঙ্গে ছাড়া ঠিক হবে কি না তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন নেতৃত্ব। তবে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের জন্য ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।





