Yuvan Chakraborty: ইউভান যেন খুব তাড়াতাড়িই বড় হয়ে যাচ্ছে : রাজ চক্রবর্তী

গত বছর শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম হয় ছোট্ট ইউভানের, জন্মের পরেই হাসপাতাল থেকে মা ও সদ্যোজাত সন্তানের ছবি শেয়ার করেছিলেন রাজ।

Yuvan Chakraborty: ইউভান যেন খুব তাড়াতাড়িই বড় হয়ে যাচ্ছে : রাজ চক্রবর্তী
ইউভানের সঙ্গে রাজ-শুভশ্রী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2021 | 9:05 PM

মাথা ভর্তি একরাশ কোঁকড়ানো চুল, মিষ্টি হাসি- এই হল ইউভান চক্রবর্তীর ইউএসপি। কমেন্ট বক্সে নেটিজেনরা যাকে এখন থেকেই বিয়ের ‘প্রপোজাল’ পাঠাতে শুরু করেছে খানিক রসিকতা করেই। কেতাদুরস্ত হাবভাব আর আদবকায়দায় সে যেন সত্যিই ‘রাজ-পুত্র’। এক বছর পূর্ণ করেছে সম্প্রতি। বাবা রাজ খানিক অবাক… ‘কত তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাচ্ছে ছেলে!’

মালদ্বীপে ঘুরতে গিয়েছিলেন রাজ-শুভশ্রী। সেখান থেকেই রাজের শেয়ার করা ইউভানের এক সাম্প্রতিক ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে মন কিছুটা খারাপ তাঁর। বাবা রাজ জানাচ্ছেন, সে খেলতে চায়। সেই জন্যই মুখ ভার। এর পরেই রাজ লিখছেন, “আমার ছোট্ট সোনা খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাচ্ছে।” মা লিখছেন, “ব্যস্ত মানুষ”।

ব্যাকগ্রাউন্ডে নীল সমুদ্র। সমুদ্রের জলে পা ডুবিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। হলুদ রঙা পোশাক তাঁর পরনে। কোলে ছোট্ট ইউভান। মায়ের সঙ্গে রীতিমতো এনজয় করছে খুদে। বিগত বেশ কিছু দিন ধরে মালদ্বীপ ডায়েরির এমনই সব ছবি একের পর এক পোস্ট করছিলেন রাজ-শুভশ্রী। কখনও সমুদ্রের ধারে একান্তে আবার কখনও বা পড়ন্ত রোদেলা বেলায় উপচে পড় ছিল রাজ-শুভশ্রীর প্রেম। এমনিতে তাঁরা ব্যস্ত, সময় পান না দুজনেই। কিন্তু ইউভানের বড় হয়ে ওঠা মিস করতে চাননি দুজনেই।

বিশেষত, শুভশ্রী। একটা দীর্ঘ সময় শুটিংয়ের কাজ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। কেরিয়ারের পিক টাইমে মা হওয়ার সিদ্ধান্তে যে শারীরিক পরিবর্তন হবে সে সম্পর্কেও ছিলেন ওয়াকিবহাল। হয়েছেও তাই, বডি শেমিংয়ের শিকার হতে হয়েছে বহুবার। সরাসরি কিছু না বললেও পরোক্ষে তার জবাব দিয়েছেন নায়িকা। মালদ্বীপে তাঁর ব্রালেট লুক হয়ে উঠেছে টক অব দ্য টাউন। অন্যদিকে রাজও এখন ব্যস্ত বিধায়ক। ছবি তৈরি রয়েছে বেশ কয়েকটি, মুক্তি কবে তা যদিও অজানা।

গত বছর শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম হয় ছোট্ট ইউভানের, জন্মের পরেই হাসপাতাল থেকে মা ও সদ্যোজাত সন্তানের ছবি শেয়ার করেছিলেন রাজ। এর পর কেটে গিয়েছে একটা বছর। ইউভানের এই ১২ মাসের ১৩ কাহিনী প্রতি দিনই দেখা গিয়েছে তার বাবা-মায়ের সামাজিক মাধ্যমে। তার প্রথম হাঁটতে শেখা, প্রথম কথা বলা, প্রথম আম খাওয়া– সব মুহূর্তই মুঠোফোনে বন্দি করেছেন তাঁরা।

পেশাদার জগতের বাইরে ব্যক্তি জীবনে তাঁরা বাবা-মা। হাজার ব্যস্ততার মধ্যে একমাত্র সন্তান ইউভানকে সময় দেন তাঁরা। পুরোদমে কাজও শুরু করে দিয়েছেন দম্পতি। ছবির শুটিং হোক বা রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চ নিজের দায়িত্ব পালন করেন শুভশ্রী। কিন্তু সময় বড় বেপরোয়া। বড় হয়ে যাচ্ছে ইউভান, খুব তাড়াতাড়ি। বড় হওয়ার প্রতি মুহূর্তের সাক্ষী থাকছেন রাজ-শুভশ্রী।