Joyjit Banerjee: ‘আমি তো কোনও লবি করি না, তাই প্রযোজক পাচ্ছিলাম না’
গান মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ‘টুম্পা সোনা’ গানের সঙ্গে তুলনা চলছেই, যদিও এইসবে কান দিতে নারাজ পরিচালক।
কথায় বলে,‘বয়স শুধুমাত্র একটা সংখ্যা’। এটা যে শুধুমাত্র কথার কথা নয় তার প্রমাণ মিলল আরও একবার। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘লিলি ডোন্ট বি সিলি’ নামের মিউজিক ভিডিয়ো। পরিচালকের আসনে জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। টলিপাড়ার জনপ্রিয় মুখ। এই গানের গীতিকারও তিনি। সুরকার-শিল্পী সমিধ মুখোপাধ্যায়, ঊর্বি চট্টোপাধ্যায়। রঙিন সেট, নতুন জুটি, পেপি নম্বর এক কথায় বলা যেতেই পারে। আর এই ভিডিয়োয়ে আরও বড় চমক হল গানের শেষে লিলি চক্রবর্তীর আবির্ভাব। আশি বছর বয়সে আইটেম গানের তালে পা মেলাচ্ছেন বর্ষীয়াণ অভিনেত্রী। ভাবতে পেরেছিলেন?
এমন একটি ভিডিয়োতে কাজ করতে গিয়ে কী ভেবেছিলেন অভিনেত্রী? TV9 বাংলার তরফ থেকে প্রশ্ন করা হলে, তাঁর উত্তর, “আমি গানটাও জানতাম না। যখন সেটে নিয়ে গেল দেখলাম সবাই নাচচে। প্রথমে ওদের দেখে তো আমি অবাকই হয়ে গিয়েছিলাম। বাচ্চা ছেলে মেয়েদের অঙ্গভঙ্গি দেখে বেশ মজাই লাগল। তখন আর কী করব, আমিও একটু কাঁধটা নাচিয়ে দিলাম। আমি কিন্তু বেশ উপভোগই করেছি।”
টলিপাড়ায় এখন নতুন ট্রেন্ড। চেনা অভিনেতা অভিনেত্রীদের কেউ হয়ে উঠছেন পটু ব্যবসায়ী, কেউ দুঁদে রাজনীতিবিদ। কেউ আবার পরিচালক। সব সমীকরণই যেন ঘেঁটে ঘ। এই যেমন জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ক্যামেরার সামনে দেখতেই অভ্যস্ত দর্শক। আর এখন তিনি পরিচালক এবং গীতিকারও বটে।
হঠাৎ এই ক্যামেরার পিছনে কাজ করার সিদ্ধান্ত কেন? পরিকল্পনা করেছিলেন কবে? TV9 বাংলাকে জয়জিতের স্পষ্ট উত্তর, “বহুদিন আগের এই পরিকল্পনা। কিন্তু এখানে যাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে চায় তাদের সুযোগ দেওয়া হয় না। আমি তো কোনও লবি করি না, তাই প্রযোজক পাচ্ছিলাম না।” তিনি আরও যোগ করেন, “লোকের জন্য কাজ করতে চাই বলে কোনও দলের জার্সি পড়ে উঠতে পারিনি। প্রযোজক পেতে খানিকটা দেরি হয়ে গেল। অবশেষে এনা এগিয়ে এল।”
গান মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ‘টুম্পা সোনা’ গানের সঙ্গে তুলনা চলছেই, যদিও এইসবে কান দিতে নারাজ পরিচালক। এমনকি ভিডিয়োর প্রধান চরিত্র ডোনাও। হ্যাঁ মিউজিক ভিডিয়োর মাধ্যমে দর্শকরা পেয়েছে নতুন জুটি। ডোনা ওরফে সাক্ষী সাহা এবং ঋদ্ধিশ চৌধুরি। ডোনার অবশ্য আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি প্রযোজক-অভিনেত্রী এনা সাহার বোন।
প্রযোজকের বোন বলেই কি এমন সুযোগ? এই প্রশ্নে ডোনার উত্তর, “এই ভিডিয়োর জন্য আমি কিন্তু প্রথম পছন্দ ছিলাম না। দিদি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল আমি যেন সুন্দর কোনও মডেল বা অভিনেত্রীকে খুঁজি। একদম শেষ মুহূর্তে আমাকে ঠিক করা হয়েছে।” আগে বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক এবং সিনেমাতে কাজ করলেও, মুখ্য চরিত্রে এই প্রথম কাজ সাক্ষীর। ফলে নেগেটিভ কথা নিয়ে খুব বেশি ভাবিত নন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় কহেনা।’
আরও পড়ুন :Bigg Boss 15: নেহা অতীত! প্রতীকের মনে ক্রমশ জায়গা করে নিচ্ছেন আকাশা?
আরও পড়ুন:Aryan Khan’s arrest: আরিয়ানের হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন এনসিবির, মাদককাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১