বড় পর্দায় নাট্যকার বাদল সরকার, প্রকাশ্যে ফার্স্টলুক, নাম ভূমিকায় কোন অভিনেতা?
বাদল সরকারের জীবনী নয় বরং তাঁর সৃষ্টি 'বাকি ইতিহাস' নাটককে কেন্দ্র করেই এই ছবি। ছবির স্বার্থে যুক্ত হয়েছে নানা সাবপ্লট। ছবির প্লট বলছে, নিজের সত্ত্বাকে খুঁজে পাওয়ার এক অতি সাধারণ ইতিহাস নিয়ে তৈরি এই ছবি।
বড় পর্দায় আসতে চলেছে নাট্যকার বাদল সরকারের কৃষ্টি। ছবির নাম ‘শহরের উপকথা’। প্রকাশ পেল সেই ছবিরই ফার্স্টলুক। বাদল সরকারের ভূমিকায় দেখা যেতে চলেছে অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায়কে। নাট্যকারের ভূমিকায় একেবারেই অন্য লুকে ধরা দিলেন অভিনেতা। ছবির পরিচালনায় রয়েছেন বাপ্পা। এর আগেও বেশ কিছু বিজ্ঞাপনের ছবিতে কাজ করে থাকলেও এই প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যর ফিচার ছবি বানাবেন অভিনেতা। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে ছবি শুট। পরিচালকের ইচ্ছে ওটিটি নয়, বড় পর্দাতেই মুক্তি পাবে এই ছবি।
তবে বাদল সরকারের জীবনী নয় বরং তাঁর সৃষ্টি ‘বাকি ইতিহাস’ নাটককে কেন্দ্র করেই এই ছবি। ছবির স্বার্থে যুক্ত হয়েছে নানা সাবপ্লট। ছবির প্লট বলছে, নিজের সত্ত্বাকে খুঁজে পাওয়ার এক অতি সাধারণ ইতিহাস নিয়ে তৈরি এই ছবি। পরিচালকের আস্থা অর্থ, বিপ্লবের বাইরেও যে জগৎ রয়েছে সেই জগতেই অবাধ বিচরণ হতে চলেছে এই ছবি।
ছবিতে শুভাশিস ছাড়াও রয়েছেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, জয় সেনগুপ্ত, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেকেই। এই ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন বাংলাদেশের জাতীয়পুরষ্কার প্রাপ্ত চিত্রনাট্যকার আশরাফ শিশির। ছবির ঘোষণা হয়েছিল আগেই, এ বার প্রকাশ্যে প্রথম লুক।
বাদল সরকারের চরিত্রে শুভাশিস, এর আগে মহালয়া ছবিতে তাঁকে অন্যরূপে দেখেছিল নেটিজেন। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র-র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তাঁর সেই কাজ বেশ প্রশংসিত হয়েছিল দর্শক মহলে। টাইপকাস্ট-কমেডি চরিত্র থেকে বেরিয়ে অন্য ভাবে সিনেপ্রেমীরা খুঁজে পেয়েছিল অভিনেতাকে। আবারও এক চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে তিনি। যে চরিত্র ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। অন্যদিকে রাহুলের মতো শক্তিশালী অভিনেতাও রয়েছে, ফলে ছবি নিয়ে দর্শকের উন্মাদনা রয়েছে। তবে করোনা-প্যান্ডেমিকে ছবিটি কবে মুক্তি পেতে চলেছে সে বিষয়ে এখনই কিছু জানায়নি প্রযোজনা সংস্থা।
১৯২৫ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন বাদল সরকার। স্কুল ও কলেজ জীবনে তাঁর নাম ছিল সুধীন্দ্রনাথ সরকার। থার্ড থিয়েটার নামক ভিন্ন ধারার নাটকের প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত হিসেবে এই নাট্যকার তাঁর জীবনে লিখেছেন একগুচ্ছ নাটক। এর মধ্যে ভোমা, হট্টমালার ওপারে, ভুল রাস্তা, গন্ডী , বাসি খবর, সিঁড়ি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রসেনিয়ামের জন্যও লিখেছেন বহু নাটক। এর মধ্যে আজও চর্চিত শেষ নাই, সার্কাস, মণিকাঞ্চন, সাগিনা মাহাতো, বাঘ, কবি কাহিনী ইত্যাদি…।
১৯৬৬ সালে পান সঙ্গীত নাটক আকাদেমী পুরস্কার। ১৯৭২-এ তিনি পদ্মশ্রীও প্রাপ্ত হন। ৷ ১৯৯৭ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি থেকে ভারত সরকার তাঁকে সংস্থার “রত্ন সদস্য” পদক দেয়। এ হেন মানুষের জীবন ও নাট্যচিন্তন বড় পর্দায় কতটা বিকশিত হয় এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন- সিপিএম-এ বিজেপির রূপা, অনিন্দ্য!… ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ত্যাগের কথা রাহুল-শ্রীলেখার মুখে