Tollywood Secrets: ‘মা’ ডাক শুনতে পারেননি দোলন রায়, এই আক্ষেপ আজও তাড়া করে ফেরে

Tollywood Couple: বিয়ে করেছেন একজন বাবার বয়সি লোককে। নিজের মায়ের সঙ্গে স্বামীর বয়সের ফারাক ৫-৬ বছরের। সেই স্বামীর আবার আগের পক্ষের এক স্ত্রীও ছিল। দুই কন্যা সন্তানও ছিল (বড় কন্যা প্রয়াত)। আরও বড় চমকে দেওয়ার মতো বিষয়, স্বামীর দুই কন্যা তাঁর চেয়েও বয়সে বড়। বাবার বয়সি লোককে বিয়ে করবেন, এমন কথা বলতেই বাড়িতে চিৎকারের শব্দ পাওয়া গিয়েছিল।

Tollywood Secrets: 'মা' ডাক শুনতে পারেননি দোলন রায়, এই আক্ষেপ আজও তাড়া করে ফেরে
দোলন রায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2023 | 5:19 PM

বিয়ে করেছেন একজন বাবার বয়সি লোককে। নিজের মায়ের সঙ্গে স্বামীর বয়সের ফারাক ৫-৬ বছরের। সেই স্বামীর আবার আগের পক্ষের এক স্ত্রীও ছিল। দুই কন্যা সন্তানও ছিল (বড় কন্যা প্রয়াত)। আরও বড় চমকে দেওয়ার মতো বিষয়, স্বামীর দুই কন্যা তাঁর চেয়েও বয়সে বড়। বাবার বয়সি লোককে বিয়ে করবেন, এমন কথা বলতেই বাড়িতে চিৎকারের শব্দ পাওয়া গিয়েছিল। কন্যার সিদ্ধান্তে আহত হয়েছিলেন তাঁর পিতা-মাতা। সব প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে আজ তিনি দিব্যি সংসার করছেন স্বামীর সঙ্গে। তবে সেই অভিনেত্রীর তুলনা নেই। তিনি সর্ব অর্থে অদ্বিতীয়া। কারণ প্রায় ৮০ ছুঁই ছুঁই স্বামীকে একপ্রকার মনেপ্রাণে বাঁচিয়ে রেখেছেন। মানুষ একটা বয়সে পৌঁছলে বাঁচতেই ভুলে যান। এই অভিনেত্রী তাঁর দিলীপ কুমারের মতো সদা ‘রঙিন’ স্বামীকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, আনন্দে রেখেছেন ৭৮ বছর বয়সে। হয়ে উঠেছেন এক আদর্শ স্ত্রী, অনেকটা সায়রাবানুর মতো। ভালবাসার মানুষটাকে ভাল রাখতে-রাখতে সেই আনন্দ থেকে বঞ্ছিত থেকেছেন, যা তাঁর হকের ছিল। তিনি সারাজীবনে মা হতে পারেননি। ‘মা’ ডাক শুনতে পারেননি কখনও। এক নারী হিসেবে বড্ড বড় খামতি। সেই দুঃখকে বর্জন করেই হাসি মুখে স্বামীর সেবা করে চলেছেন অভিনেত্রী।

অভিনেত্রীর নাম দোলন রায়। স্বামীর যখন ৭৬ বছর বয়স তাঁরা বিয়ে করেন। দোলন সন্তানের জননী হতে পারেননি। এই অপূর্ণতা আছে তাঁর জীবনে। সেই আক্ষেপ তাঁকে তাড়া করে বেড়ায়। অকপট দোলন TV9 বাংলাকে খানিক থমকে বলেন, “জানেন তো, মা তো হতে পারলাম না। প্রথম-প্রথম মানতে এবং মানিয়ে নিতে খু-উ-উ-উ-ব কষ্ট হত। শুরুর দিকে এই অভাবটা আমার সত্যিই ছিল। ‘মা’ ডাকের অপূর্ণতা আমার জীবনের এক মস্ত বড় অপূর্ণতা বলতে পারেন।”

স্বামীকে নিয়ে দিবারাত্রি কাটছে দোলনের। তাঁর আহার, ওষুধপত্র, মানসিক শান্তি নিয়েই বেশি ভাবিত দোলন। সন্তানের অভাব নিয়ে বলতে গিয়ে নিজেকে খানিকটা সামলে বলেন, “আমি সেই কষ্টটাও কাটিয়ে উঠেছি।” দুঃখ মিটিয়েছে দোলনের ভাইয়ের একমাত্র ছোট্ট ছেলেটা। যার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আবেহতাড়িত দোলন বলেন, “তবে আমার ভাইয়ের এক পুত্রসন্তান আছে। ওকে নিয়েই আমাদের কেটে যাচ্ছে দিব্যি।” দীপঙ্করও বাচ্চাটিকে খুব ভালবাসেন।