‘আমি চাই উনি এবার…’, তাঁর হয়ে প্রচারে কাঞ্চন ডাক পেতেই চাঁচাছোলা দেব

DEV: অতীতে কল্যাণ কাণ্ডের পর টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন কাঞ্চন। তিনি বলেন, "আমি বুঝতে পারিনি, গিয়েছিলাম দলীয় প্রচারে এর আগেও তো কল্যাণবাবুর সঙ্গে প্রচারে গিয়েছি। আজ হঠাৎ করেই উনি বললেন, ‘যেও না, গ্রামের লোকেরা রিঅ্যাক্ট করছে। সরি টু সে, আমায় তো ভোটটা করতে হবে।’ আমিও চলে এসেছি।"

'আমি চাই উনি এবার...', তাঁর হয়ে প্রচারে কাঞ্চন ডাক পেতেই চাঁচাছোলা দেব
Follow Us:
| Updated on: Apr 27, 2024 | 9:49 PM

চলতি লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে এযাবৎ প্রচার করতে দেখা যাচ্ছিল উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে। কখনও পথে ঘাটে নেমে আবার কখনও বা দলীয় কার্যালয় থেকে শেয়ার করছিলেন একের পর এক ছবি। তবে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কোন্নগর নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভোট প্রচার ও জনসংযোগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঞ্চন বের হতেই ঘটে গেল এক কাণ্ড। হুডখোলা জিপ থেকে কার্যত নামিয়ে দিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ককে। দুঁদে রাজনীতিবিদ কল্যাণ বললেন, “আমি তো তোমায় আগের দিনই বললাম গ্রামে এসো না, রিয়্যাক্ট করছেন মহিলারা।” সাংসদের কথা মতো পরক্ষণেই গাড়ি থেকে নেমে যান কাঞ্চন। ভোটের বাজারে কল্যাণ কাণ্ড অতীত। এবার দেবের হয়ে ডাক পেলেন কাঞ্চন। কী করবেন তিনি? প্রচারে অংশ নেবেন নাকি এড়িয়ে যাবেন! মুখ খুললেন দেব।

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করেন দেব। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেব বলেন, “কল্যাণ দা ওঁর মতো করে কাজ করেছেন। কিন্তু আমি চাই কাঞ্চনদা এবার আমার হয়ে প্রচার করুন। আমি ওঁকে ফোন করে আমার হয়ে প্রচারে আসার জন্য অনুরোধ করেছি। উনি আগামী ৩০ এপ্রিল আমায় সময় দিয়েছেন।” কল্যাণ আপত্তি জানালেও দেব কিন্তু ‘রিঅ্যাক্ট’-এ ভয় পাচ্ছেন না। অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

অতীতে কল্যাণ কাণ্ডের পর টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন কাঞ্চন। তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারিনি, গিয়েছিলাম দলীয় প্রচারে এর আগেও তো কল্যাণবাবুর সঙ্গে প্রচারে গিয়েছি। আজ হঠাৎ করেই উনি বললেন, ‘যেও না, গ্রামের লোকেরা রিঅ্যাক্ট করছে। সরি টু সে, আমায় তো ভোটটা করতে হবে।’ আমিও চলে এসেছি। জানি না তিনি কেন চাননি, হয়তো তাঁর প্রচারের আলাদা কোনও স্ট্র্যাটেজি আছে তাই এমনটা বলেছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমি তো প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। তারপর তৃণমূলের বিধায়ক। দলের লোকসভা নির্বাচনের প্রচার তো। তাই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হোক বা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় হোক, আমাকে প্রচারে যেতে হবে। প্রচার তো আমাকে করতে হবে। কল্যাণদা একজন সিনিয়র মানুষ। তাই উনি যেটা করেছেন যেটা বলেছেন সেটা উনিই জানেন। উনি বলছে মহিলারা রি-অ্যাক্ট করবেন, কিন্তু কেন রি-অ্যাক্ট করবেন সেটাই তো বুঝছি না। এই তো চৈত্র সংক্রান্তিতেও আমার একটা শো ছিল, সেখানে প্রায় দশ হাজার মানুষ ছিলেন। সেখানেও তো কোনও বিক্ষোভ দেখতে পারিনি। মহিলাকেন্দ্রিক সেই শো-য়ে কেউই রি-অ্যাক্ট করেনি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই করব। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব যা বলবেন সেটাই করব।”