৩০ বছর বয়সে কোন ধরনের শরীরচর্চা জরুরি?
যে পরিস্থিতিই হোক না কেন, নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন শরীরচর্চা জরুরি। ৩০ বছর বয়স হয়ে গেলে নির্দিষ্টি কিছু ব্যায়াম ট্রাই করুন।
বয়স ৩০। এই সময় হয়তো সন্তান এবং সংসার ব্যালেন্স করছেন। আবার কেরিয়ারেও ফিরছেন একটু একটু করে। অথবা সন্তান বা সংসার নয়। আপাতত ফোকাসে কেরিয়ার। সেটা ম্যানেজ করতে গিয়েই নিজস্ব সময় আর কিছু নেই। যে পরিস্থিতিই হোক না কেন, নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন শরীরচর্চা (exercise) জরুরি। ৩০ বছর বয়স হয়ে গেলে নির্দিষ্টি কিছু ব্যায়াম (workout) ট্রাই করুন। এর ফলে শারীরিক গঠন মজবুত হবে, আপনি অনেক বেশি সুস্থ থাকতে পারবেন।
যোগাসন
বয়স ৩০ হলেই শরীরে নির্দিষ্ট কিছু পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি প্রয়োজন। এর জন্য ৩০ হওয়ার আগে থেকেই যোগাসন শুরু করতে পারেন। ৩০ বছরের জন্মদিন পেরিয়ে গেলে যোগাসন মাস্ট। এর ফলে শরীর অনেক ফ্লেক্সিবল হবে। পেশীর শক্তি বাড়বে। উদ্বেগ কমবে। পিরিয়ডের সাইকেলের সমস্যা থাকলে তারও সমাধান মিলবে যোগাসনে। যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে আপনার যৌন জীবন। ঘুম ভাল হবে।
আরও পড়ুন, ৪০ বছর বয়সে কোন ধরনের ব্যয়াম করতে পারবেন?
সাঁতার
অনেকেই ছোটবেলায় সাঁতার শিখে নেন। তারপর আর অভ্যেস করেন না। ৩০ বছর বয়স হলে নতুন করে সাঁতার কাটতে শুরু করুন। গড়ে তুলুন প্রতিদিনের অভ্যেস। গবেষণায় প্রমাণ, নিয়মিত সাঁতার কাটলে পুরুষ, মহিলা নির্বিশেষে সকলেরই রক্ত চলাচল অনেক স্বাভাবিক থাকে। একই সঙ্গে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ে। পাশাপাশি মাংসপেশী অনেক ফ্লেক্সিবল হয়।
আরও পড়ুন, ওজন কমাতে শরীরচর্চার ঠিক পরেই কী করা উচিত?
পুল আপ
৩০ বছর বয়স অর্থাৎ কেরিয়ারের চাপে নাজেহাল। এ সময় কাঁধ, হাত বা ঘাড়ের ব্যথায় প্রায় প্রত্যেকেই কষ্ট পান। এর জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি। পুল আপ ট্রাই করুন। শরীরের বিভিন্ন অংশের মাংসপেশী যত বেশি ফ্লেক্সিবেল হবে, তত ব্যথা কমবে।
আরও পড়ুন, কোন সময় শরীরচর্চা করলে ঘুম ভাল হবে?