ত্বকে কি খুব র‍্যাশ বের হয়? রইল সেরা ৪ ভেষজ উপায়

র‍্যাশের সমস্যা মেটাতে ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখা ভাল। সাধারণ কতকগুলি সাবধানতা অবলম্বন করলে ও সঠিক পরিচর্চা করলে সুরাহা মিলবে দ্রুত।

ত্বকে কি খুব র‍্যাশ বের হয়? রইল সেরা ৪ ভেষজ উপায়
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2021 | 7:32 AM

বিভিন্ন কারণে শরীরের নানা স্থানে র‍্যাশ বের হতে পারে। যেগুলি ত্বকে অ্যালার্জি হিসেবেও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। নাকের উপর, গালের দুপাশে, কপালের মধ্যে লাল ভাব, চুলকানি, ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো র‍্যাশ দেখা যায়। তবে এমন সমস্যা হয় কেন?নতুন কোনও প্রোডাক্ট ব্যবহার শুরু করলে, শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে কিংবা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাল বা ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটলে, ত্বকের উপর ফোঁড়া, র‍্যাশের মতো সমস্যাগুলি তৈরি হয়। আর এই ধরণের র‍্যাশের সমস্যা মেটাতে ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখা ভাল। সাধারণ কতকগুলি সাবধানতা অবলম্বন করলে ও সঠিক পরিচর্চা করলে সুরাহা মিলবে দ্রুত।

অলিভ ওয়েল- অলিভ অয়েলে রয়েছে উচ্চমানের ভিটামিন ই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য। ত্বককে মসৃণ করতে ও প্রদাহ বা চুলকানির মতো সমস্যা তৈরি হলে তা দ্রুত নিরাময় হয়। সামান্য পরিমাণ অলিভ অয়েল হাতে নিয়ে ত্বকের উপর সামান্য ঘষলে দারুণ উপকার মেলে। টানা দু-সপ্তাহ ধরে কয়েক মিনিটের এই কাজ করুন, পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। এছাড়া অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ মধু বা হলুদ গুঁড়ো দিলে ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাবেন দ্রুত। এছাড়া ত্বকে চুলকানি, জ্বালাভাব, র‍্যাশেস দূর করতে এই ঘরোয়ো টোটকা বিশেষ কার্যকরী।

বেকিং সোডা- ঘরোয়া উপায় হিসেবে বেকিং সোডা দারুণ কাজে দেয়। শুষ্ক ত্বকের র‍্যাশেস বের হলে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ত্বকের ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলে, দ্রুত তা নির্মূল করতে বেকিং সোডা হল মোক্ষম দাওয়াই। বেকিং সোডার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নারকেলের তেল মিশিয়ে একটি উত্কৃষ্ট প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। নরম ও র‍্যাশমুক্ত ত্বকের জন্য এই প্যাক খুবই উপকারী।

ওটমিল- স্কিন র‍্যাশেসকে জব্দ করতে আরও একটি টোটকা হল ওটমিল। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ফ্লেমেটরির বৈশিষ্ট্য়। এগজিমা, চিকেন পক্স, পয়েজন আইভি, সানবার্ণ ও অ্যালার্জির মতো সমস্যাগুলির জন্য দুরন্ত টোটকা হল ওটমিল। এক কাপ ওটমিল গ্রিন্ড করে নিন, এলার গ্রিন্ড করা টমিল আপনার স্নানের জলে প্রায় ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। যদি আপনার মুখের ত্বকে র‍্যাশেস বেশি বের হয়ে থাকে, তাহলে সমপরিমাণ ওটমিল ও দই মিশিয়ে মুখের ত্বক ও শরীরের বিভিন্ন অংশে, যেখানে যেখানে র‍্যাশেস বের হয়েছে, সেই জায়গাগুলিতে ব্যবহার করতে পারেন। ৫ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

অ্যালোভেরা- এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমাটরির মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ত্বকের যে কোনও সমস্যার জন্য প্রাকৃতিক ঔষধি হিসেবে অ্যালোভেরা গুণের অন্ত নেই। র‍্যাশ, সংক্রমণের থকে রক্ষা পেতে ও সুস্থ ত্বক গঠনের জন্য নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যেতে পারে। রোজকার ত্বক পরিচর্চায় সামান্য পরিমাণে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহারে মসৃণ, দাগহীন ও র‍্যাশমুক্ত ত্বক পেতে পারেন আপনি।

আরও পড়ুন: সারা আলি খানের সৌন্দর্যের আসল রহস্য কী? নিয়মিত এই ৪ উপকরণেই প্রাণবন্ত থাকবে চুল ও ত্বক!