AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে? কোভিডকালে এই ৫ সহজ উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন রক্তে শর্করার মাত্রা

ইনসুলিন হরমোন শরীরে অগ্ন্যাশয় পৌঁছে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে তুললে সেই অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলে। অপরদিকে শরীরে ইনসুলিনের অভাবের কারণে রক্তে উপস্থিত কোষগুলি ইনসুলিনের প্রতি খুব কম সংবেদনশীলতা দেখায়।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে? কোভিডকালে এই ৫ সহজ উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন রক্তে শর্করার মাত্রা
৮ সহজ উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন রক্তে শর্করার মাত্রা
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2021 | 1:46 PM
Share

করোনা অতিমারির শুরু থেকেই ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলেছেন চিকিত্‍সকরা। ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পরালে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হতে পারেন সুগারের রোগীরা। এই মহামারির সময়ে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমানো প্রয়োজন। রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণ না করলে হৃদরোগ, কিডনি রোগ ও দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো জটিলতার ঝুঁকি রয়েছে।

রক্তের গ্লুকোজ যাকে চলতি বাংলা ভাষায় রক্তে শর্করাও বলা হয়। খাদ্য থেকে কার্বোহাইড্রেটগুলি ভেঙে গিয়ে অন্ত্রের কোষ দ্বারা শোষিত হয় এবং সারা শরীরে গ্লুকোজ প্রবাহের জন্য রক্ত ​প্রবাহে বাহিত হয়। গ্লুকোজের শোষণ, সঞ্চয় এবং উৎপাদন ক্ষুদ্রান্ত্র, লিভার এবং অগ্ন্যাশয়ের সঙ্গে জড়িত জটিল প্রক্রিয়ার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। অগ্ন্যাশয় দ্বারা উত্পাদিত ইনসুলিন এবং গ্লুকাগন নামে দুটি হরমোনের সাহায্যে রক্ত ​​প্রবাহের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ইনসুলিন হরমোন শরীরে অগ্ন্যাশয় পৌঁছে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে তুললে সেই অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলে। অপরদিকে শরীরে ইনসুলিনের অভাবের কারণে রক্তে উপস্থিত কোষগুলি ইনসুলিনের প্রতি খুব কম সংবেদনশীলতা দেখায়। এ কারণে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের শিকার হন অনেকেই।

যাঁরা ডায়াবেটিস রোগী, তাঁদের ঘনঘন রক্ত শর্করা চেক করা গুরুত্বপূর্ণ। আর যাঁদের ডায়াবেটিস রোগের ঝঁকি রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও সমান পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন

নিয়মিত যোগব্যায়াম একজনকে সুস্থ ও সঠিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে কোষগুলি রক্তে প্রবাহে গ্লুকোজ সরবরাহ করে। এছাড়া ব্যায়াম পেশি শক্তি বৃদ্ধিতে ও পেশি সংকোচনের জন্য রক্তে শর্করার ব্যবহার করতে সাহায্য করে। যোগা ছাড়া আপনি নিয়মিত দ্রত হাঁটা,দৌড়ানো,স বাইক চালানো, নাচ করা. হাইকিং ও সাঁতারও কাটতে পারেন।

ফাইবার-জাতীয় খাবার খান

ফাইবার-যুক্ত খাবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ রাখতে, গ্লুকোজ শোষণ করতে ও রক্তে শর্কার মাত্রা ধীরে ধীরে হ্রাস করে। ফল, শাকসবজি ও শস্যদানয়ে উচ্চ-ফাইবারযুক্ত উপাদান রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক উপায়। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে টাইপ -১ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।

লো-কার্ব জাতীয় ডায়েট মেনে চলুন

শরীরের কার্বোহাইড্রেটকে শর্করারয় ভেঙে দেয়, তারপর ইনসুলিন শরীরকে শক্তি জোগাবার জন্য গ্লুকোজ ব্যবহাপ করে ও সঞ্চয় করতে সাহায্য করে। খুব বেশি কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে ইনসুলিনের মাত্রা ওঠানামা করতে পারে। ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা হ্রাস করতে লো-কার্ব ডায়েট মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজন।

স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট

স্ট্রেস রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রবাবিত করে। গ্লুকাগন ও কর্টিসলের মতো হরমোন স্ট্রেসের সময় নিঃসৃত হয়। ব্যায়াম, মেডিটেশন, ধ্য়ান মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া রক্তে শর্করার মাত্রাও কমাতে সাহায্য করে।

হাইড্রেশন

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধের পাশাপাশি কিডনি ও ফুসফুসকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

আরও পডুন- Heart Attack: সিদ্ধার্থের মতো হার্ট অ্যাটাক হতে পারে আপনারও! পুরুষ-মহিলার রয়েছে ভিন্ন লক্ষণ, সেগুলি কী কী?