Zinc Deficiency: শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হচ্ছে বুঝবেন যে সব লক্ষণে…
Low Intake Of Zinc: আমাদের শরীরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এনজাইমকে পরিচালনা করতে ভূমিকা রয়েছে জিঙ্কের। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই জিঙ্কের
আমাদের শরীরের বিভিন্ন আভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা ঠিক রাখতে কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণ খনিজ ও ভিটামিন খেতে হবে। শরীর সুস্থ রাখতে হলে এই দুটি উপাদানই সমপরিমাণে প্রয়োজন। আর যখনই কোনও একটি উপাদানে ঘাটতি হয়, তখনই কিন্তু শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। খনিজের অভাবে শরীরে যদি অপুষ্টিজনিত কোনও লক্ষণ দেখা দেয় তা হলে তা দৃশ্যমান হতেও কিন্তু বেশ কিছু সময় লাগে। আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল জিঙ্ক। শরীরের মধ্যেকার হরমোনের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে জিঙ্ক। আর তাই যদি শরীরে শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হয়, সেখান থেকে কিন্তু একাধিক সমস্যাও আসে। শরীরে এনজাইমকে সক্রিয় রাখতে কিন্তু সঠিক পরিমাণে জিঙ্ক খেতেই হবে। আমাদের শরীরে কোশ বিভাজন, কোশের আনাক্রম্যতা রোধ, কোশের বৃদ্ধিতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই জিঙ্কের। তবে জিঙ্কও শরীরে সীমিত পরিমাণে খেতে হবে। অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল নয়। ১৪ বছরের বেশি ছেলেদের জন্য প্রতিদিন ১১ মিলিগ্রাম জিঙ্ক খাওয়া উচিত আবার ১৪ বছরের বেশি মেয়েদের জন্য ৮ মিলিগ্রাম। তবে গর্ভবতী মায়েদের জন্য এবং যে সব মা প্রতিদিন স্তন্যপান করান তাঁদের জন্য নিয়মিত ভাবে ১২ মিলিগ্রাম জিঙ্ক কিন্তু খেতেই হবে।
জিঙ্ক শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। এছাড়াও জিঙ্কের প্রধান কাজ হল ত্বককে সুস্থ রাখা ও রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা। শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ জিঙ্ক না পেলে তখন ক্ষত নিরাময় কঠিন হয়ে পড়ে। শরীরে জিঙ্ক্র অভাব হলে কিন্তু ব্রণর সমস্যাও বাড়ে। তবে এই কোভিড কালে জিঙ্কও রীতিমতো হিরো। শরীর সুস্থ রাখতে, রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে বেড়েছে জিঙ্কের চাহিদা।
আর জিঙ্ক সঠিক পরিমাণে খেতে পারলে খিদেও থাকে নিয়ন্ত্রণে। যে কারণে তা ওজন কমাতেও কিন্তু সাহায্য করে। আবার অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়াও ঠিক নয়। অতিরিক্ত ওজন কমে গেলে সেখান থেকে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যাও কিন্তু আসে। অতিরিক্ত জিঙ্কের জন্য শরীরে কিন্তু পুষ্টির ঘাটতিও দেখা যায়। জিঙ্ক আমাদের শরীরে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। কিন্তু জিঙ্কের ঘাটতি হলে সংক্রমণ যেমন সহজেই কাবু করতে পারে তেমনই কিন্তু শরীরকে আরও বেশি অসুস্থও করে দিতে পারে। সেই সঙ্গে হঠাৎ করেই অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগাও কিন্তু হতে পারে শরীরে জিঙ্কের ঘাটতির লক্ষণ।
দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতেও আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ খেতে হবে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিঙ্ক না থাকলে কিন্তু দৃষ্টিশক্তিও ঝাপসা হয়ে যায়। সেই সঙ্গে দিনের পর দিন দৃষ্টিকমজোরি হতে থাকে। আর তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক অবশ্যই রাখুন রোজকার খাদ্য তালিকায়। জিঙ্ক ও ভিটামিন এ নিয়মিত ভাবে খেতে পারলে ফিরবে হারানো দৃষ্টিশক্তিও।
হঠাৎ করেই সবকিছু ভুলে যাচ্ছেন? কিছুই ঠিক ভাবে মনে রাখতে পারছেন না? তাহলে কিন্তু আপনার শরীরে হতে পারে জিঙ্কের ঘাটতি। শরীরে জিঙ্কের অভাব হলে অনেক সময়ই এই সব সমস্যা হয়। আর মস্তিষ্কে কুয়াশার সমস্যা হলে কিন্তু সাধারণ কাজেও মনোনিবেশ করা যায় না। যেখান থেকে স্মৃতিশক্তির সমস্যা এসে যায়। আর তাই অ্যালঝাইমার্সের মত সমস্যা ঠেকাতেও নিয়মিত জিঙ্ক খাওয়ার কথা বলা হয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।