Skin Cancer: সপ্তাহে কটা মাছ খাবেন? কোন মাছ খেলে হতে পারে ক্যানসার, সতর্কবার্তা বিজ্ঞানীদের
Daily Diet Of Fish: বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সুষম খাদ্যে মাছ অবশ্যই তালিকাভুক্ত করতে হবে। অতিরিক্ত মাছ শরীরের উপর নেগেটিভ প্রভাব তৈরি করে। তবে সময়মত ব্যবস্থা না নিয়ে তা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।
বাঙালির পাতে মাছ (Fish) না পড়লে, সেই ভাত হজম হওয়া কঠিন। প্রতিদিনই মাছ খাওয়া চাই অনেকের। তবে এবার বাজারে গিয়ে মাছ কেনার আগে দুবার ভাবতে হবে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, মাছ খেলেই হতে পারে মেলানোমা (Melanoma Risk ) নামে এক প্রকার ত্বকের ক্যানসার (Skin Cancer)। এমনটাই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। এতদিন ধরে সকলেই জেনে এসেছেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের মধ্যে একটি করে মাছ খাওয়া প্রয়োজন। প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে বেশি উত্স রয়েছে মাছেই। ত্বক, চুল, হার্ট, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ডায়াবেটিস কন্ট্রোলের জন্য মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে উঠে আসা তথ্যে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশেষ করে বাঙালিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন ৪৩ গ্রাম করে যদি মাছ খাওয়া হয়, বা সপ্তাহে দুই বা তার বেশি মাছ খাওয়া হয়, তাহলে ২২ শতাংশ ত্বকের ক্যানসারের আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীদের মতে, সামুদ্রিক খাবার খেলেও ত্বকের ক্যানসারের আশঙ্কা বেড়েযায়। কারণ সামদ্রিক মাছে আর্সেনিক, ডাইঅক্সিন ও পলিক্লোরিন-যুক্ত বাইফেনাইলের মত দূষণকারী পদার্থ থাকে। ইংল্যান্ডের ন্যাশানাল হেলথ সার্ভিসের কথায়, সপ্তাহে যদি দুটি ১৪০ গ্রাম চর্বিযুক্ত মাছ খাওয়া যায়, তাহলে তা স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন,ক্যানসারের ভয়ে মাছ খাওয়া বন্ধ করা বাঞ্ছনীয় নয়।
গবেষকদের মতে, যে কোনও মাছ ভাজা খাওয়া যেতে পারে। তবে টুনা, স্যামনের মত সামুদ্রিক মাছ বেশি পরিমাণে খেলে মেলানোমার ঝুঁকি বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সুষম খাদ্যে মাছ অবশ্যই তালিকাভুক্ত করতে হবে। অতিরিক্ত মাছ শরীরের উপর নেগেটিভ প্রভাব তৈরি করে। তবে সময়মত ব্যবস্থা না নিয়ে তা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। মাছ খেলেই মেলানোমার একমাত্র সৃষ্টিকারী তা নয়, সূর্যের তাপে দীর্ঘক্ষণ থাকলে বা সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
আপনি যদি মাছ খেতে ভালবাসেন, তাহলে সুস্থ থাকতে কিছু জিনিস মাথায় রাখা দরকার। সেগুলি কী-কী , তা দেখে নিন একনজরে…
-প্রতি সপ্তাহে ২টি ভিন্ন ধরণের মাছ খান। হাঙ্গর, সোর্ডফিশ, কিং ম্যাকেরেল বা টাইলফিশ খাবেন না কারণ এতে উচ্চ মাত্রায় পারদ থাকে।
– সবচেয়ে বেশি যে পাঁচটি মাছ খাওয়া হয়, সেগুলি হল চিংড়ি, টিনজাত টুনা, স্যামন, পোলক ও ক্যাটফিশ। সেগুলিতে পারদের পরিমাণ অনেক কম থাকে। তবে দেশি মাছগুলিও ভাল। তবে বরফে রাখা দীর্ঘদিনের মাছ না খাওয়াই উচিত।
– স্থানীয় নদী, পুকুর বা জলাশয়গুলিতে পরিবার ও বন্ধুদের দ্বারা ধরা মাছগুলির ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।
– মাছ কখনও অস্বাস্থ্যকর নয়। নদী ও সাগরের দূষণের কারণেই অস্বাস্থ্যকর করে তুলেছে।