ফাইজার ভ্যাকসিনের ৬টি ডোজ় একসঙ্গে নিলেন এক ইতালিয় যুবতী! তারপর…
কোভিডের আতঙ্কে এমনিতেই দিশেহারা মানুষ। গত এক বছর ধরে এই মারণ ভাইরাসের জেরে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা সেকেন্ডে সেকেন্ড বেড়ে চলেছে। তারই মধ্যে সারা বিশ্বেই চলছে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি।
চিকিত্সকবিজ্ঞানীদের আবিষ্কার করা কোভিড টিকার উপরই ভরসা করে মানুষ বেঁচে থাকার আশা দেখছে। অতিমারিতে ভ্যাকসিনের ডোজ় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, টিকার দুটি ডোজ়ই যথেষ্ট কিনা। বিভিন্ন সংস্থার ভ্যাকসিনের ডোজ় দুটি আবার একটি করে কার্যকর হতে পারে। কিন্তু সেই ডোজ় যদি দুবারের বেশিবার নেওয়া হয়, তাহলে শরীরে কেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, জানেন?
সম্প্রতি এমনই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে নিজেকেই গিনিপিগ বানালেন এক ইতালিয় মহিলা। জানা গিয়েছে, ২৩ বছরের ওই যুবতী ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের মোট ৬টি ডোজ় নিয়েছেন! একসঙ্গে!
কীভাবে সম্ভব হল? স্থানীয় সংবাদসূত্রে জানা গিয়েছে, ওই করোনা টিকার ডোজ ভুলবশত ওই যুবতীর কাছে চলে যায়। সেটি তদন্তসাপেক্ষ। তবে ভাগ্যক্রমে ওই ছয়টি ডোজ় নেওয়ার পর মহিলার কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। আপাতত সুস্থ রয়েছেন তিনি। এমন ভয়ংকর কাণ্ডের পর আপাতত চিকিত্সকের পরামর্শে প্যারাসিটামল ও তরল খাবার খাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট কমাতে ও কিডনির সমস্যা দূর করতে পাতে পড়ুক ডাঁটা!
প্রসহ্গত, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও নার্স ভুল করে ডোজ়টির পরিবর্তে ভ্যাকসিনের একটি পুরো শিশি ইনজেকশন দিয়ে দেওয়াতেই গণ্ডগোল ঘটে। ভ্যাকসিনের পুরো শিশি ছয়টি ডোজ়ের সমতুল্য। এমন মর্মান্তিক ঘটনা আগে কোনও দেশে ঘটেনি। এখনও পর্যন্ত যা রিপোর্ট, সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে যে ফাইজারের দুটির বেশি কমপক্ষে ৪টি ডোজ় হিসেবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এএফপি সংবাদসংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, ইতালির মেডিসিন নিয়ন্ত্রক এই ঘটনার কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনে।, এছাড়া ইজরায়েল, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি-সহ বেশ কয়েকটি দেশে ফাইজার ভ্যাকসিনের ওভারডোজ়ের কথা সামনে আসে।
আরও পড়ুন: কোভিড থেকে রক্ষা পেতে মাস্ট ‘ডবল মাস্কিং’! কী করবেন, কী করবেন না, তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের
বর্তমানে বিশ্বের ৯০টি দেশে ফাইজার ভ্যাকসিন ডোজ়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি দ্রুত সিঙ্গাপুরেও টিকা উত্পাদন শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে। যার ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলিতে দ্রুততার সঙ্গে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া যাবে।