Heart Attack: যে সব লক্ষণে বুঝবেন আপনি হৃদরোগে ভুগছেন! জানুন প্রাথমিক কর্তব্য
Heart Problem: হার্ট যাতে ঠিক মতো কাজ করতে পারে তার জন্য হার্টের মধ্যে দিয়ে রক্ত সঞ্চালন খুব জরুরি। হার্টে রক্তে পৌঁছে দেওয়া ধমনীর মধ্যে কোনও কারণে ব্লক তৈরি হলে সমস্যা হয়
কমবয়সীদের মধ্যে বেড়েছে হৃদরোগের সমস্যা। এছাড়াও ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল যে ভাবে জাঁকিয়ে বসছে তাতে হৃদরোগের সমস্যাও এখন ঢুকে পড়েছে ঘরে ঘরে। হৃদরোগের কারণ কিছুক্ষেত্রে জিন বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে হলেও ইদানিংকালে রোজকার জীবনযাত্রাকেই দায়ী করেছেন চিকিৎসকেরা। কম ঘুম, মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়া, তেল-মশলা-চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং ওবেসিটি হৃদরোগের অন্যতম কারণ। হার্টের রোগ যে একদিনেই দেখা দেয় এমন কিন্তু নয়। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই নানা উপসর্গ দেখা দেয় শরীরে। তবে মামুলি বলে অনেকে পাত্তা দেন না। এখানেই হয়ে যায় মস্ত বড় ভুল। কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়লে হার্টে চাপ পড়েই। সঙ্গে প্রেশার আর সুগার থাকলে তো কথাই নেই। আর তাই বছরে অন্তত দুবার যাবতীয় রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া কিন্তু ভীষণ ভাবে জরুরি।
হার্টের রোগী মুহূর্তের মধ্যে খারাপ হয়ে যান। সকালে ভাল থাকলে রাতে পরিস্থিতি চলে যাচ্ছে হাতের নাগালের বাইরে। ফলে সতর্ক থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। আগে বয়স ৫০ পেরোলে তবেই মানুষ হৃদরোগ নিয়ে সতর্ক হতেন। কিন্তু এখন খুব কম বয়স থেকেই দেখা দিচ্ছে এই সমস্যা। ৪০ এর নীচেই আসছে হার্ট অ্যার্টাকের মত সমস্যা। কোভিড পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ এই দু বছরের মধ্যে আশপাশের চেনা-পরিচিত অনেকেই যাঁদের বয়স ৪০ বা ৪০ এর একটু কম হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
তাই কী কী লক্ষণ দেখলে আগে থেকেই সতর্ক হবেন
হার্ট যাতে ঠিক মতো কাজ করতে পারে তার জন্য হার্টের মধ্যে দিয়ে রক্ত সঞ্চালন খুব জরুরি। হার্টে রক্তে পৌঁছে দেওয়া ধমনীর মধ্যে কোনও কারণে ব্লক তৈরি হলে সমস্যা হয়। এই অবস্থার নাম ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ। হার্টে ব্লকেজ থাকে কিছু সাধারণ সমস্যা থাকেই। বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় করা এসব সমস্যা কিন্তু ফেলে রাখবেন না। পুষে রাখলে রোগ বাড়বে। অনেক সময় পেটের উপরের দিকে ব্যথা হয়। যা লোকেরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ভেবে ভুল করেন। এই ব্যথাও কিন্তু হৃদরোগেরই লক্ষণ।
প্রায়শই অ্যাসিডিটি, বুকে ব্যথা মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খাচ্ছেন এই ভুল করবেন না। সঙ্গে যদি হাই ব্লাড প্রেশার আর সুগার থাকে তাহলে তো একেবারেই নয়। এতে সমস্যা অনেক বেশি জটিল হয়। হয়তো চিকিৎসকার সঠিক সময়য়টুকুও পাওয়া গেল না। যে কারণে সতর্কতাই একমাত্র উপায়।
নিয়ম করে বছরে অন্তত দুবার একটা ইকো কার্ডিয়োগ্রাম, রুটিন রক্তের পরীক্ষা, প্রয়োজনে ফুল বডি চেকআপ করান। কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মমাফিক ওষুধ খান।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।