AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Diabetes: ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য সেরা ব্রেকফাস্ট, সুস্থ থাকতে খেতে পারেন আপনিও

Diabetes Breakfast: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডায়াবিটিসের রোগীদের ব্রেকফাস্ট সেরে ফেলা জরুরি। নইলে বাড়তে পারে রক্তশর্করা, আর সেখান থেকে কিন্তু আসে একাধিক সমস্যা...

Diabetes: ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য সেরা ব্রেকফাস্ট, সুস্থ থাকতে খেতে পারেন আপনিও
মেনে চলুন এই বিশেষ ডায়েট টিপস
| Edited By: | Updated on: Apr 22, 2022 | 4:24 PM
Share

দিনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হল ব্রেকফাস্ট। কারণ এই খাবারই আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি যোগায়। সেই সঙ্গে মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে ও বিপাকে সাহায্য করে। সকাল থেকে না খেয়ে থাকলে কিন্তু রক্তে শর্করার পরিমাণও বেড়ে যায়। আর তাই ডায়াবিটিস রোগীদের সময়ের মধ্যে ব্রেকফাস্ট করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। নইলে কিন্তু রক্ত-শর্করার মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই সঙ্গে ব্রেকফাস্ট খেলে কিন্তু সারাদিনে খাবারের পরিমানও ঠিক থাকে। অতিরিক্ত কোনও খাবার খেতেও হয় না। যাঁরা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্যেও কিন্তু ব্রেকফাস্ট সমান গুরুত্বের। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যে খাবারই খান না কেন সেই খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যাতে বেশি না হয়।

এর পাশাপাশি ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট- এসবও কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণে রাখতে হবে। আর তাই সাদা আলুর তরকারি আর ফুলকো লুচি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সারলে কিন্তু রক্ত শর্করার পরিমাণ বাড়বে রকেটের গতিতে। কারণ এই খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। আবার এমন কিছু খাওয়া যাবে না যাতে রক্ত শর্করা হুড়মুড়িয়ে নেমে যায়। তবে যে সব খাবার অবশ্যই রাখবেন-

প্রোটিনের পরিমাণ বেশি করে রাখুন। বিভিন্ন রকমের ডাল, বাদাম, দুধের জিনিস, বিভিন্ন রকম বীজ, মুরগির মাংস এসবও কিন্তু অবশ্যই রাখবেন ডায়েটে। প্রোটিন হজমের জন্য ইনসুলিনের কোনও প্রয়োজন হয় না। সেই সঙ্গে প্রোটিন পুরোটাই আমাদের শরীরের কাজে লাগে। ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য খুবই ভাল প্রোটিন।

এমন ফাইবার রাখুন যা জলে অদ্রবনীয়। আমাদের রোজকার শাকসবজি-ফলের মধ্যে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা আমাদের ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাকতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার বীজও কিন্তু অবশ্যই রাখবেন ডায়েটে। তবে গর্ভাবস্থায় কিন্তু কোনও ভাবেই ওজন যেন কমে না যায়। যে কারণে বেশি করে পুষ্টি খেতে হবে। নিয়ম মেনে বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুটস রাখুন নিজের কাছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রকম বীজ, শস্যদানা কিন্তু অবশ্যই খাবেন। সকালে খালি পেটে ১ চামচ নারকেল তেল খেলে কমে ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও। সেই সঙ্গে এক গ্লাস ইষদুষ্ণ জল খেতে হবে। নিয়মিত ভাবে নারকেল তেল খেতে পারলে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু চলে যায়।  তবে রোজ একবাটি করে টকদই, রায়তা, বিভিন্ন শাকসবজি কিন্তু চাহিদা থাকবে।  রোজ মেথির পরোটা, টকদই, চিয়া সিডস এসব খেতে পারলে শরীরের যেমন উপকার হবে তেমনই কিন্তু সুস্বাস্থ্যও বজায় থাকবে।

উপমা, পোহা এসব রাখুন ব্রেকফাস্টে। তবে রোজ একবাটি করে রায়তা, ফ্রেশ ফুড এসবও কিন্তু অবশ্যই রাখতে হবে রোজকার ডায়েটে। ব্রেকফাস্টে ত্দিে  কোনও পরোটা খান তাহলে কিন্তু তার সঙ্গে অতি অবশ্যই টকদই আর স্যালাড খাবেন। এই ভাবে খাবার মেপে চলুন, এতে যেমন ক্যালোরি কম খাওয়া হবে তেমনই কিন্তু শরীর থাকবে সুস্থ।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Diabetes: ডায়াবিটিস রয়েছে? গরমে মেনে চলুন এই কয়েকটি ডায়েট টিপস