AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Lung Health: সদ্য করোনা থেকে সেরে উঠেছেন? তাহলে ভুলেও কালীপূজাতে আতসবাজির ধোঁয়া যেন ফুসফুসে না যায়…

চিকিৎসকরা বলছেন, চরকি, হাউই, তুবড়িতে গন্ধক, লোহাচুর, ক্যাডমিয়ামের মতো বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এমনিতেই বাতাসে ধূলিকণা ভেসে বেড়ায় যা আমরা খালিচোখে দেখতে পাই না। আতশবাজি পোড়ানোর সময় বাতাসে ভাসমান ওই ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়।

Lung Health: সদ্য করোনা থেকে সেরে উঠেছেন? তাহলে ভুলেও কালীপূজাতে আতসবাজির ধোঁয়া যেন ফুসফুসে না যায়...
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 3:59 PM
Share

সদ্য করোনা থেকে সেরে উঠলে আতসবাজি কিন্তু এই কালীপূজাতে দূরে থাকতে হবে। আতসবাজির ধোঁয়া নাক দিয়ে ঢুকলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ফুসফুস। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ এবং প্রদাহের জন্য ফুসফুসের বেশ কিছুটা স্থায়ী ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। আর যারা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন তাঁদের ফুসফুস তো আরও অনেকটা দুর্বল আছেই।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনায় শ্বাসকষ্ট যত বেশি হয়, ফুসফুসের ক্ষতিও হয় তত বেশি। তবে সঠিকভাবে সে ক্ষতি ধরতে গেলে প্রয়োজন সিটি স্ক্যানের। রাজ্যের একশো জন করোনা আক্রান্তের সিটি স্ক্যান করালে ষাট জনের ফুসফুসেই দেখা যাচ্ছে একধরনের ধূসর প্যাচ।

চিকিৎসকরা একে বলছেন, গ্রাউন্ড গ্লাস ওপাসিটি। এই ধূসর প্যাচের উপর আতসবাজির ধোঁয়া সমূহ বিপদের সৃষ্টি করতে পারে। ন্যাশনাল অ্যালার্জি অ্যাজমা ব্রঙ্কাইটিস ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক অলোকগোপাল ঘোষাল জানিয়েছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠার মানেই একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যাওয়া নয়। ৭০ জন জটিল করোনা রোগীর মধ্যে ৬৬ জনেরই ফুসফুস ভাল রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের অর্ধেকের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ধূসর প্যাচ। এদের আতশবাজি থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত জরুরি। রাস্তাতেও না বেরনোই ভাল। কারণ, ধোঁয়া রাস্তার সর্বত্রই থাকবে।

Corona saviors must stay away from fireworks and smokes

ফুসফুসের অত্যন্ত ক্ষতিকর পদার্থ লুকিয়ে আছে বাজির ধোঁয়ায়। সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন-ডাই অক্সাইডের বিষাক্ত গ্যাস থাকে এই ধোঁয়ায়। সেই বিষাক্ত ধোঁয়া ফুসফুসে গেলেই সমস্যার শুরু। ফুসফুসে গভীর সংক্রমণ তো বটেই, সম্পূর্ণভাবে বিকল হয়ে যেতে পারে আমাদের শরীরের এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। চিকিৎসকরা বলছেন, চরকি, হাউই, তুবড়িতে গন্ধক, লোহাচুর, ক্যাডমিয়ামের মতো বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এমনিতেই বাতাসে ধূলিকণা ভেসে বেড়ায় যা আমরা খালিচোখে দেখতে পাই না। আতশবাজি পোড়ানোর সময় বাতাসে ভাসমান ওই ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। 

বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা, বিষাক্ত ধোঁয়া নাক মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। তা থেকে শ্বাসনালি, ফুসফুসের মারাত্মক রোগ হতে পারে। প্রথম বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের করোনা থেকে যারা সেরে উঠেছে তাদের অনেকেরই কাশি সারেনি এখনও। মাঝে মধ্যেই শুকনো কাশি উঠে আসছে। গভীরভাবে শ্বাস নিতে বা শ্বাস ধরে রাখতে সমস্যাও হচ্ছে। মৃদু উপসর্গের করোনার রোগীদের ফুসফুসের যে ক্ষতি হয়েছে তা সারতে ৬-১২ মাস সময় লাগে। এর উপর যদি আতশবাজির ধোঁয়া ঢোকে তাহলে বিপদ বেড়ে যাবে। এমনকি পাকাপাকিভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা।

আরও পড়ুন: Side Effects Of Garlic: দ্রুত ফল পেতে বেশি পরিমাণে রসুন খাচ্ছেন? জেনে নিন এতে কী কী ক্ষতি হতে পারে আপনার

আরও পড়ুন: Haldi Water: নিয়মিত হলুদ-জল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে! এছাড়া রয়েছে হাজারো গুণ

আরও পড়ুন: Weight Loss Tips: ওজন কমানোর জন্য দিনের শুরু করুন এই পানীয়গুলির মাধ্যমে, এগুলো আপনার স্বাস্থ্যও ভাল রাখবে…