Omicron Update: ভরা সংক্রমণ হলেও শেষের পথে মহামারী! গবষেণায় ভবিষ্যদ্বাণী

ওমিক্রনের সংক্রমণ খুবই ছোঁয়াচে। ডেল্টার তুলনায় পাঁচগুণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। কিন্তু রোগ লক্ষণ এখনও তেমন তীব্র নয়। নাক থেকে গলা- এমনটাই সংক্রমণের গতিবিধি

Omicron Update: ভরা সংক্রমণ হলেও শেষের পথে মহামারী! গবষেণায় ভবিষ্যদ্বাণী
তবে কি এবার সংক্রমণ শেষের ইঙ্গিত দিচ্ছে ওমিক্রন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 04, 2022 | 2:50 PM

ওমিক্রন ঝড়ে কার্যত বিধ্বস্ত বিশ্ব। বেড়েই চলেছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। ডেল্টার তুলনায় অন্তত ৫ গুণ দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে রোগ লক্ষণ কিন্তু তেমন প্রকট নয়। সর্দি-জ্বর, গলাব্যথা, কাশি সাধারণ ফ্লু এর মতই উপসর্গ। শ্বাসকষ্ট, অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়া এরকম কোনও সমস্যার কথা এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি। এছাড়াও যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা বাড়িতে থেকেই সুস্থ হচ্ছেন, হাসপাতালে ভর্তি হবার প্রয়োজন পড়ছে না। সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজিস্টরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। গবেষক দলের তরফে মনিকা গান্ধী বলেন, ‘আমরা এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন পর্যায়ে রয়েছি। ভাইরাসটি এখন আমাদের সঙ্গেই থাকবে। তবে আমার আশা ওমিক্রন আমাদের শরীরে যে ভাবে অনাক্রম্যতা সৃষ্টি করছে, এতেই কিন্তু কমবে অতিমারী’।

মাত্র একমাস আগেই ওমিক্রনের প্রথম খোঁজ মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপরই সেই দেশের তরফে রিপোর্ট করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে। WHO-এই ভাইরাসটিকে কোভিডের ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করার পরই কিন্তু তা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে বিশ্বজুড়ে। তবে মাত্র এই কয়েকদিনের মধ্যেই ভাইরাসটি ব্যাপক ভাবে নিজেকে অভিযোজিত করেছে। ফলে রোগ লক্ষণ ততটাও গুরুতর নয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরেও যেখানে ওমিক্রনের প্রকোপ রয়েছে সেখানকার বেশ কিছু আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কারের শরীরেই ডেল্টার মতো এমন গুরুতর লক্ষণ নেই। নেই রোগ জটিলতাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডেল্টার থেকে ওমিক্রনের সংক্রমণের তীব্রতা ৭৩ শতাংশ কম।

প্রথমের দিকে অনেকেই বলেছিলেন, যাঁদের কোভিড টিকা নেওয়া নেই তাঁদের ক্ষেত্রে রোগ জটিলতা বেশি হবে ওমিক্রনের প্রভাবে। এমনকী যাঁদের দুটো টিকা নেওয়া রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে ওমিক্রন এমনটাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু তাও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে বেশ কিছু। ওমিক্রন যদি দেহে অনাক্রম্যতা সৃষ্টি করে তাহলে কেনই বা ওমিক্রন এত দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। সম্প্রতি এনডি টিভির- একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনই সব তথ্য।

কোভিড-১৯ ভাইরাসের তুলনায় ওমিক্রনের ভাইরাল লোড কম- এমন মনে হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা। ওমিক্রন সরাসরি ফুসফুসে আঘাত করছে না। কোভিড সংক্রমণ সাধারণত নাক দিয়ে শুরু হয়ে গলা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। কোনও ভাবেই তা শ্বাসযন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে না। ভাইরাস ফুসফুসে আক্রমণ করলে তবেই গুরুতর লক্ষণ দেখা যায়।

সেই সঙ্গে বিজ্ঞানীরা এমনটাও বলেছেন, যদি শরীরে তৈরি কোভিড অ্যান্টিবডি ওমিক্রনকে প্রতিরোধ করতে না পারে সেক্ষেত্রে কিন্তু কিছুটা হলেও সংক্রমণ রুখে দিচ্ছে টি-কোশগুলি। আমেরিকার একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই টি-কোশগুলি ৭০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত সংক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম। যাঁরা গত ৬ মাসের মধ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের টি-কোশগুলি কিন্তু ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি চিনতে পারে এবং দ্রুত তার বিরুদ্ধে লড়াইতে সক্ষম। আর তাই যাবতীয় গবেষণা দেখে বিজ্ঞানীদের উপলব্ধি, এবারের সংক্রমণ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই হালকা।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের এপিডেমিওলজিস্ট জেসিকা জাস্টম্যান যেমন বলেছেন, এভাবেই সাম্প্রতিক তথ্য, ‘গবেষণা আশার আলো দেখিয়েছে। আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। মনে হচ্ছে আমরা এই আশা ধরে রাখতে পারব’।

আরও পড়ুন: Omicron: ওমিক্রনের সংক্রমণ কি আসলে করোনার বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক ভ্যাকসিনের কাজ করে?