Diabetes: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার চতুর্থ ঢেউ, বর্ষায় কীভাবে নিজেদের খেয়াল রাখবেন ডায়াবেটিস রোগীরা?

Health Tips: ডায়াবেটিস হল এমন একটি রোগ যা শরীরে একবার প্রবেশ করলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের উপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই ঋতু পরিবর্তনের সময় কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে

Diabetes: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার চতুর্থ ঢেউ, বর্ষায় কীভাবে নিজেদের খেয়াল রাখবেন ডায়াবেটিস রোগীরা?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2022 | 7:09 AM

বর্ষা যতই প্রিয় হোক, এই ঋতুতে রোগের ঝুঁকি এড়ানো বেশ চ্যালেঞ্জের কাজ। ঋতু পরিবর্তন ভাইরাস গঠিত জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা তো রয়েছেই, পাশাপাশি ডায়ারিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিসের সমস্যাও রয়েছে। তাছাড়া এখনও কমে যায়নি করোনা ভাইরাসের দাপট। বরং শুরু হয়েছে চতুর্থ ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাস গঠিত রোগের হাত থেকে তো নিজেকে বাঁচাবেন কিন্তু শরীরে যখন প্রথম থেকেই লাইফস্টাইল ডিজিজ বাসা বেঁধেছে সেখানে নিজের খেয়াল রাখবেন কীভাবে? আমরা কথা বলছি ডায়াবেটিস নিয়ে। ডায়াবেটিস হল এমন একটি রোগ যা শরীরে একবার প্রবেশ করলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের উপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই ঋতু পরিবর্তনের সময় কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে ডায়াবেটিস রোগীদের। এতে শুধু যে রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন তা নয়, পাশাপাশি আপনি একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন সহজেই।

১. পায়ে সঠিক ও আরামদায়ক জুতো পরুন- রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হলে স্নায়ু ও শরীরে বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের সমস্যা বেড়ে যায়। এই ক্ষেত্রে আরামদায়ক জুতো পরা আবশ্যিক। ত্বককে রক্ষা তো বটেই, পায়ে বায়ু চলাচল করত পারে এমন জুতো পরার অভ্যাস করুন।

২. খালি পায়ে হাঁটা এড়িয়ে চলুন- খালি পায়ে হাঁটা এড়িয়ে চলুন। উচ্চ-রক্তচাপ ও রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করার পরিমাণ রক্তের স্বাভাবিক সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি করে। পায়ের নার্ভগুলি এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা নিউরোপ্যাথি নামে পরিচিত। স্নায়ু চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ দূর সম্ভব। তবে নিউরোপ্যাথির প্রবণতা তৈরি হলে, পা অসাড় হয়ে যাওয়া, পায়ে হাত দিলে অনুভূতি না পাওয়া- এই ধরণের উপসর্গ দেখা যায়। তাই প্রতিদিন খালি পায়ে হাঁটবেন না।

৩. আঘাত পেলে, তা এড়িয়ে যাবেন না- শরীরের যে কোনও অংশে আঘাত পেলে তা কখনও এড়িয়ে যাবেন না। ফোস্কা, কিংবা তুচ্ছ আঘাতও ভবিষ্যতের জন্য বড়সড় আকার ধারণ করতে পারে। সঠিক চিকিৎসা করা না হলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। পায়ে যদি সমস্যা তৈরি হয় এবং যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

৪. সময়মতো স্নান ও হাত ধোওয়ার অভ্যাস করুন- বর্ষায় ভাইরাস গঠিত রোগের প্রকোপ বেশি। পাশাপাশি রয়েছে কোভিডের ঝুঁকি। তাই এই সময় হাইজিন মেনে চলুন। হাত ধুয়ে খাবার খান। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জামা-কাপড় পরুন। স্যাঁতস্যাঁত পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। এতে বাড়ে নিমোনিয়ার ঝুঁকি।

৫. পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন- বর্ষায় যতই আর্দ্রতাপূর্ণ হোক না কেন, জলের পরিমাণ কিন্তু কম করবেন না । শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে জলের কোনও বিকল্প নেই। ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যায় জর্জরিত রোগীদের অবশ্যই নির্ধারিত নূন্যতম ও সর্বাধিক জলের পরিমাণ সম্পর্কে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া উচিত। তাছাড়া বর্ষায় ডায়ারিয়ার সমস্যা বাড়ে তাই এই ক্ষেত্রে জলই একমাত্র সমাধান।

৬. বাড়ির তৈরি খাবার খান- হেপাটাইটিস বা অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণের বা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাইরের নয়, বাড়ির তৈরি খাবার খান। ঠান্ডা খাবার খাবেন না। সব সময় গরম খাবার খাবেন। ফল, সবজি ভাল করে ধুয়ে ব্যবহার করুন। রাস্তা কাটা ফল খাবেন না। যেহেতু শরীরে রক্ত শর্করার মাত্রা বেশি তাই এমন খাবার খাবেন যা আপনার সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।

৭. নিয়মিত শরীরচর্চা করুন- ঋতু পরিবর্তন হলেও শরীরচর্চা কিন্তু বন্ধ করবেন না। নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে শরীর অনেক ভাল থাকে। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ও সুগারের মতো রোগকে বাগে আনা যায়।