Diabetes Control: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে এই খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ৩৫% পর্যন্ত কমে যেতে পারে…
স্বাভাবিক রক্তে শর্করার মাত্রা ১৪০ mg/dL এর নীচে। দুই ঘণ্টার তফাতে ২০০ mg/dL-এর বেশি হলেই তা ডায়াবেটিস নির্দেশ করে। ১৪০ থেকে ১৯৯ mg/dL-এর মধ্যে যে কোনো কিছুই প্রাক-ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত দেয়।
ডায়াবেটিস অনেকটা হৃদরোগের মতোই। প্রতি বছর ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। ডায়াবেটিসের যতগুলো প্রকার আছে সেই সবগুলোতেই ইনসুলিন উৎপাদনের ক্ষমতা বা প্রতিক্রিয়া থেকেই শরীরের অক্ষমতা বোঝা যায়। ইনসুলিন অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত একটি হরমোন যা চিনিকে শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তিতে রূপান্তর করে। ইনসুলিনের নিঃসরণ ডায়াবেটিসের কারণে ব্যাহত হয়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস, টাইপ-২ ডায়াবেটিস বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এই প্রত্যেকটার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। যা সময় মতো চিকিৎসা না করলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থেকে শুরু করে নিরাময় সবটাই আমাদের খাবারের উপর নির্ভর করে। উচ্চ প্রোটিন এবং কম কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে। যদিও, কিছু খাবার আছে যা বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা একদম ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এমনই একটি খাদ্য উপাদান আছে যা মানবদেহে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বীজের ভূমিকা:
একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা অপরিহার্য। কুমড়োর বীজ দিয়েও এটি অর্জন করা যেতে পারে। যদিও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে তাও কুমড়োর বীজ বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যে সমস্ত রোগীরা কুমড়োর বীজ এবং তাদের নির্যাস দিয়ে উপকার পেয়েছেন তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা আরও ভাল পর্যায়ে দেখা যায়। বীজগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ, যা খাবারের পরে রক্তে শর্করার ব্যবস্থাপনাতে সামঞ্জস্য রাখতে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার ব্যবস্থাপনার জন্য কীভাবে কুমড়ার বীজ খাওয়া যায়?
২০১৮ সালের একটি গবেষণায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কুমড়ার বীজ খাওয়ার টিপস শেয়ার করা হয়েছে। দুই আউন্স রক্তে শর্করার বৃদ্ধি ৩৫ শতাংশ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এরকম ফলাফলের জন্য এই বীজের ম্যাগনেসিয়ামের উপস্থিতিকে দায়ী করা হয়। গবেষণা যাচাই করে যে কীভাবে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে আমাদের দেহে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকি কমাতে খাদ্যতালিকায় শস্য, বাদাম এবং সবুজ শাক-সবজি অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও, কুমড়ার বীজ নিম্নলিখিত পুষ্টি থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে:
- ফাইবার যা শরীরে রক্তে শর্করার শোষণকে ধীর করে দেয়
- ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিনয়েড যা প্রদাহ কমায়
- প্রোটিন
- স্বাস্থ্যকর চর্বি
এই পুষ্টিগুলি সম্মিলিতভাবে আপনার হৃদয়ে স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আস্ত কুমড়ার বীজ এবং তেল কোলেস্টেরল আর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর প্রমাণিত হয়।
একটি স্বাস্থ্যকর রক্তে শর্করার স্কোর কেমন?
মায়ো ক্লিনিকের মতে, স্বাভাবিক রক্তে শর্করার মাত্রা ১৪০ mg/dL এর নীচে। দুই ঘণ্টার তফাতে ২০০ mg/dL-এর বেশি হলেই তা ডায়াবেটিস নির্দেশ করে। ১৪০ থেকে ১৯৯ mg/dL-এর মধ্যে যে কোনো কিছুই প্রাক-ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুন: Ring Worm: দাদের সমস্যায় নাজেহাল হয়ে উঠেছেন? এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো মেনে চললে দাদের নিরাময় সম্ভব…