Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Diabetes Foot: শীত আসলেই পা ফাটে? ডায়াবেটিসে ভুগলে সচেতন থাকুন, নইলেই বিপদ

Diabetic nerve damage: দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগলে এবং ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির ঝুঁকিতে থাকলে আপনাকে পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এমন কোনও কাজই করা চলবে না, যা আপনার পায়ের স্নায়ুকে প্রভাবিত করে। যেহেতু শীতকাল আসতে চলেছে এবং পা ফাটার ঝুঁকি বেশি, তাই আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে।

Diabetes Foot: শীত আসলেই পা ফাটে? ডায়াবেটিসে ভুগলে সচেতন থাকুন, নইলেই বিপদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2023 | 1:21 PM

ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস। খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, শরীরচর্চায় অনীহা আর মানসিক চাপেই বেড়ে চলেছে রক্তে শর্করার মাত্রা। প্রাথমিক অবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে, দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগলে সাবধান হওয়া জরুরি। ডায়াবেটিস থেকে হার্ট, কিডনি ও চোখের সমস্যা বাড়ে। এমনকি আপনার পা দু’টিও নষ্ট করে দিতে পারে ডায়াবেটিস। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলে পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চিকিৎসার ভাষায় এই অবস্থাকে বলে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি।

ডায়াবেটিস থাকলে অনেকের মধ্যে পায়ে ব্যথা ও অসাড়তার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এটা ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির সাধারণ লক্ষণ। কিন্তু এই উপসর্গগুলো সম্পর্কে অনেকেই সচেতন নন। এতেই ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি নির্ণয়ে দেরি হয়ে যায় আর পা দুটো অকেজ হতে শুরু করে। যদিও ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম ও ওষুধের মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।

দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগলে এবং ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির ঝুঁকিতে থাকলে আপনাকে পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এমন কোনও কাজই করা চলবে না, যা আপনার পায়ের স্নায়ুকে প্রভাবিত করে। প্রথমত, আরামদায়ক জুতো বেছে নিতে হবে। যে জুতোর গ্রিপ ভাল, সেটাই সুগার রোগীদের জন্য আদর্শ। এছাড়া পায়ে কোনও চট বা সংক্রমণ হলে, দ্রুত চিকিৎসার সাহায্য নিন। ডায়াবেটিসে অনেক সময় ছোট ক্ষতও আপনার পা সম্পূর্ণরূপে বিষিয়ে দিতে পারে।

বয়স বাড়লেই যে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির ঝুঁকি বাড়বে, এমন নয়। কম বয়সেও যদি আপনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভোগেন, তাতেও রয়েছে এই রোগের ঝুঁকি। এমনকি টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও এই রোগে ভুগতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ইনসুলিন নিতে হবে। আর যদি টাইপ-২ ডায়াবেটিস হয়, তাহলে ওষুধের পাশাপাশি জীবনধারার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।

ষাটোর্ধ্ব ডায়াবেটিকদের নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করানো দরকার। পাশাপাশি ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি কোনও লক্ষণ এড়িয়ে যাবেন না। পা ফুলে যাওয়া, পায়ে ব্যথা, পায়ের পাতা অসাড় হয়ে যাওয়া বা কাঁটা ফোটার মতো অনুভূতি হওয়া—ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির লক্ষণ। যেহেতু শীতকাল আসতে চলেছে এবং পা ফাটার ঝুঁকি বেশি, তাই আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে। ছোট্ট পা ফাটাও আপনাকে বড় বিপদ এনে দিতে পারে। তাই শীতকালে নিয়মিত গরম জল দিয়ে পা পরিষ্কার করুন এবং ফুট ক্রিম মাখুন। পায়ে যাতে কোনও চোট-আঘাত না লেগে বা কেটে না যায়, সে দিকেও খেয়াল রাখুন।