Stomach Cancer: মল দিয়ে রক্তপাত? পেটে কর্কট রোগ বাসা বাঁধছে না তো!
Signs and Symptoms: প্রাথমিক পর্যায়ে পেটের ক্যান্সারে লক্ষণগুলো সহজে ধরা পড়ে না। আর রোগ ধরা না পড়ার কারণে চিকিৎসা শুরু করতেও দেরি হয়ে যায়।
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস গ্যাস, অম্বল, বুক জ্বালা, বমি, পেট ফোলার মতো সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু এই সমস্যাগুলো যদি সহজে না কমে, উল্টে যদি বাড়তে থাকে, তাহলে সাবধান হওয়া জরুরি। কারণ এই উপসর্গগুলোই জানান দেয় পেটের ক্যান্সারের কথা। প্রাথমিক পর্যায়ে পেটের ক্যান্সারে লক্ষণগুলো সহজে ধরা পড়ে না। আর রোগ ধরা না পড়ার কারণে চিকিৎসা শুরু করতেও দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে ক্যান্সার পেটের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি ক্যান্সার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যেখান থেকে রোগীদের বাঁচিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জের হয়ে ওঠে। কিন্তু যদি দ্রুত এই রোগ ধরা পড়ে তাহলে মৃত্যুর ঝুঁকি একটু হলেও কমে যায়।
হজমনালীর উপরের অংশ হল পেট। পেট খাবারকে হজমে সাহায্য করে এবং সেই খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে শরীরের অন্যান্য অঙ্গে সঞ্চালন করে। পেটে ক্যান্সার তখনই জন্ম নেয় যখন এই হজমতন্ত্রের কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এখান থেকে টিউমার গঠিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে যদি ওই টিউমার শনাক্ত করা যায়, তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। অন্যথায় ওই টিউমার ধীরে ধীরে ক্যান্সারের পরিণত হয়ে যায়। তারপর সেই ক্যান্সারের কোষ ধীরে ধীরে গলব্লাডার, প্যানক্রিয়াটিস, পাকস্থলী, কোলন, রেক্টাম, ওভারি ও ইউটেরাস, পেরেটোরিয়াম বা পেটের পর্দায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
যদিও পেটের ক্যান্সার দু’ধরনের হয়। একটি হল মুকোসা বা অ্যাডেনোকার্সিনোমাস ক্যান্সার। এটি পেটের অভ্যন্তরীণ আস্তরণে ঘটে। অন্যদিকে, পেটের অন্যান্য অংশে ক্যান্সার হলে তাকে অ্যাবডোমিনাল ক্যান্সার বলা হয়। কিন্তু পেটের ক্যান্সারের হওয়ার পিছনে কোন কারণগুলো দায়ী তা জানা যায়নি। তবে জেনেটিক একটি অন্যতম কারণ। এর ছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্ট ফুড খাওয়া, মদ্যপান, ধূমপান, অনেকক্ষণ পেট খালি রাখার কারণেও পেটে ক্যান্সারের কোষ গঠন হতে পারে।
পেটের ক্যান্সারের বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া, পেটে ব্যাথা, গ্যাস-অম্বল, জন্ডিস, রক্তবমি, খিদে কমে যাওয়া, মলের সঙ্গে রক্তপাত, ওজন কমে যাওয়া এবং পেটের আরও নানা গোলযোগ দেখা দেয়। এই সব উপসর্গগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করলে ক্যান্সারে মৃত্যুভয় কমে যায়। তাই সচেতন থাকুন এবং এর মধ্যে যে কোনও একটি উপসর্গ লক্ষ্য করলেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।