ওজন বেশি হলে শরীরে একাধিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। তার মধ্যে প্রথমেই আসে ডায়াবেটিস বা ওবেসিটির সমস্যা। পাশাপাশি কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড এই সব সমস্যা তো থাকেই। যে কারণে ক্যালোরি মেনে খাবার খাওয়া, সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া এবং শরীরচর্চা আবশ্যক। ওজন না কমালে ডায়াবেটিসের হাত থেকেও নিস্তার পাওয়া মুশকিল। উপরন্তু বাড়তে পারে ওষুধের সংখ্যা।
বেশ কয়েক বছর ধরে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বেশ জনপ্রিয়। বিনোদন দুনিয়ার অনেক তারকাই এই ডায়েট মেনে ওজন ঝরিয়েছেন। ইন্টারনেটেও এখন প্রচুর রকম ডায়েট চাট পাওয়া যায়। সার্চ করলে প্রথমেই আসে এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং।
চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়েছে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’। এই ডায়েটে খাবারের ক্ষেত্রে তেমন কোনও রকম বিধি-নিষেধ থাকে না। তবে এ ক্ষেত্রে দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে যা যা খাবার শরীরের জন্য প্রয়োজন, তা খেয়ে নিতে হবে। আর বাকি সময়টা অর্থাৎ, ১৪ ঘণ্টা উপোস করে কাটাতে হবে।
তবে যাঁদের ডায়াবেটিস এবং ওবেসিটি রয়েছে তাঁদের কি এই ডায়েট মেনে চলা উচিত? পুষ্টিবিদ সোনিয়া বক্সীর পরামর্শ, না। কারণ এই ডায়েটে শরীর স্বাভাবিক পুষ্টির থেকে বঞ্ছিত হয়। তখন কেবল যে চর্বি ভেঙে যায় এমনটাই নয়, সেই সঙ্গে পেশীও ভেঙে যায়। এতে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ে। ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যায়। সেই সঙ্গে ক্লান্তি বেশি জাঁকিয়ে বসে। কোনও রকম আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে অনেক বেশি।
এই ভাবে যদি সুগারের রোগীরা ওজন কমানোর চেষ্টা করেন তাহলে তাঁদের রক্তে সুগারের পরিমাণ আরও কমে যায়। হতে পারে হাইপোগ্লাইসেমিয়া। যা জীবনের জন্য বড় ঝুঁকি। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও বাড়ে জটিলতা। কম সময়ে ওজন কমলেও ডায়াবেটিসে তৈরি হয় জটিলতা।
তাই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা যে কোনও ডায়েট মেনে চলার আগে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের। রক্তে শর্করার পরিমাণ, রোজ কী কী ওষুধ খান এবং সেই অনুযায়ী আপনার কেমন ডায়েট হওয়া উচিত এই বিষয়ে আগে কথা বলে নিন। ডায়াবেটিস এবং এন্জোক্রিনোলজিস্টের সঙ্গে কথা বলে তবেই কোনও ডায়েট করুন। নিজে থেকে করবেন না।