Mental Stress: অফিসের চাপে রাতের ঘুম উড়েছে? দিনের শেষে এক কাপ ক্যামোমাইলের চা পান করুন
Chamomile Tea: ঘুমের সমস্যা থাকলে চা-কফি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞেরা। বিকালের পর চা কিংবা কফি খেলে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
Tea for Insomnia: স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে ডায়েট মেনে খাবার খান, শরীরচর্চা করেন। কিন্তু রাতে মাত্র ৫ ঘণ্টা ঘুমান। এখানেই আপনার সারাদিনের পরিশ্রম জলে যেতে পারে। কারণ গবেষণা বলছে, সামগ্রিক সুস্থতার জন্য দিনে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম জরুরি। কিন্তু বর্তমান লাইফস্টাইলে মানুষের মধ্যে ঘুমের পরিমাণ কমে গিয়েছে। পাশাপাশি ঘুমের মানও ভাল নয়। অর্থাৎ এখন অধিকাংশ মানুষ ইনসোমনিয়া অর্থাৎ অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন। দীর্ঘক্ষণ রাত জেগে থাকা, রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়া এগুলো মোটেই ভাল অভ্যাস নয়। রাতে ভাল ঘুম না হলে সারাদিন ক্লান্তি, দুর্বলতা, অলসতা অনুভূত হয়। তাছাড়া অনিদ্রার সমস্যা মানসিক অবসাদ এবং ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
ঘুমের সমস্যা থাকলে চা-কফি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞেরা। বিকালের পর চা কিংবা কফি খেলে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর ঘুমনোর আগে একদমই ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পান করা চলবে না। এতে ঘুমের সমস্যা বাড়ে। কিন্তু ঘুমনোর আগে যদি এক কাপ ক্যামোমাইল ফুলের চা পান করতে পারেন, তাহলে উল্টোটাও ঘটতে পারে। অর্থাৎ ঘুমের মান উন্নত হতে পারে এবং অনিদ্রার সমস্যা কমতে পারে। ক্যামোমাইলের চা অনিদ্রার সমস্যা দূর করার জন্যই পরিচিত।
ক্যামোমাইলের ফুলকে শুকনো করে এই চা তৈরি করা হয়। এই চায়ের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে ক্যামোমাইলের চা। ক্যামোমাইলের চা স্নায়ুর চাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে দ্রুত ঘুম চলে আসে চোখের পাতায়।
অনেক সময় মানসিক চাপ, অবসাদ, বিষণ্ণতার কারণে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। অত্যধিক মানসিক চাপ থাকলে চোখের পাতায় ঘুম থাকলেও তা ঠিকভাবে হয় না। এক্ষেত্রে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক কাপ ক্যামোমাইলের চা খেলে আরাম পাবেন। এই চায়ের মধ্যে অ্যাপিজেনিন নামক একটি ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। এটা এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অন্যদিকে, ক্যামোমাইলের চায়ে অ্যান্টিকনভালসেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই সব যৌগগুলো মনকে শান্ত করতে এবং বিষণ্ণতা ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। এতে ঘুম ভাল হয়।
ক্যামোমাইলের চায়ে ক্যাফেইন থাকে না। তাই এটা আপনার শরীরকে আরও বিভিন্ন উপায়ে উপকারিতা প্রদান করে। পেটের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়, রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, হাড় মজবুত করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং উজ্জ্বল ও নিখুঁত ত্বক প্রদান করে। সুতরাং, অনিদ্রা বা মানসিক চাপের সমস্যা না থাকলেও আপনি ক্যামোমাইলের চা পান করতে পারেন। চেষ্টা করুন ঘুমনোর ৩০-৪৫ মিনিট আগে ক্যামোমাইলের চা পান করার।