প্লাস্টিক বা কাগজের কাপে চা আর নয়, হতে পারে ক্যানসার!

কাগজ বা প্লাস্টিকের কাপে ৫ মিনিটের বেশি গরম চা থাকলেই ছোট ছোট বিষাক্ত পদার্থ মিশতে থাকে। আর তা থেকেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে কঠিন মারণ রোগ। তাই আজ থেকে প্লাস্টিক বা কাগজের কাপে চা খাওয়া ছাড়ুন। মাটির, কাঁচের গ্লাসে বা সেরামিক কাপে চা খাওয়ার অভ্যেস করুন।

প্লাস্টিক বা কাগজের কাপে চা আর নয়, হতে পারে ক্যানসার!
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: Apr 04, 2021 | 1:43 PM

এক কাপ চায়ে তোমাকে চাই…বাঙালির কাছে এই গান প্রবাদের মতো। তাই বাঙালির দিন শুরু থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত চায়ের যোগ অতি ঘনিষ্ঠ। বাড়িতে কিংবা অফিসে, চায়ের চুমুকেই মন তাজা করতে বেশি পছন্দ করে বাঙালিরা। কিন্তু কোন পাত্রে গরম ধোঁয়া ওঠা চা খাচ্ছেন, তা ভেবে দেখেছেন কখনও। কাঁচের গ্লাস থেকে কাগজের কাপ- সবতেই চা পরিবেশনের হিরিক রয়েছে। নেশার চোটে চা তো খাচ্ছেন কিন্তু জানেন কী, কাগজের বা প্লাস্টিকের কাপে চা খেলে আপনার শরীরে কী মারাত্মক বিষ প্রবেশ করছে?

প্লাস্টিকের বিষাক্ত রাসায়নিকে শরীরে ক্ষতি হয়। রেলস্টেশন, ট্রেনে কিংবা রাস্তার ধারে চায়ের দোকানগুলিতে মাটির ভাঁড়ের তুলনায় প্লাস্টিক ও কাগজের কাপে চা দেওয়ার রেওয়াজ। সস্তা, সহজলভ্য। এবার ব্যবহার করার পর ফেলে দেওয়া যায়। এছাড়া মানুষ বিভিন্ন স্বাদের চা খেতে পছন্দ করে। দুধ চা, কালো চা, আদা দেওয়াচা, লেবু চা। সবধরণের চায়ে চুমুক দিতে দ্বিধা করেন না কেউ। আর এই চা-ই যদি প্লাস্টিক বা কাগজের কাপে দেওয়া হয়, তাহলে সেটি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে।

বিশেষজ্ঞরা বার বার সতর্ক করেছেন এ ব্যাপারে। প্লাস্টিকের কাপ বা কাগজের কাপে চা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। প্লাস্টিকের কাপ তৈরি হয় একধরণের বিষাক্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক দিয়ে। তাতে থাকে বিসফেনল জাতীয় টক্সিক পদার্থ, যা ক্যানসারের অন্যতম কারণ। এই টক্সিক মহিলাদের ইস্ট্রোজেন হরমোনের কার্যকারিতাকে বাধা দেয়। অন্যদিকে পুরুষদের শুক্রাণু কমিয়ে দেওয়ার জন্য এই টক্সিক পদার্থ অনেকটাই দায়ী। পলিইথিলিন বা প্লাস্টিকজাতীয় উপাদান শরীর প্রবেশ করেল রক্তের কোষগুলি ছোট ছোট ভগ্নাংশে ভেঙে গিয়ে অস্বাভাবিকহারে প্লাজমা কোষের হার বৃদ্ধি পায়। আর এ থেকেই মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়।