Tea For Blood Sugar: গরমেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তশর্করা, যদি সকালের চায়ে মিশিয়ে নেন এই গাছের পাতা
Type 2 diabetes: কোভিড কাল থেকে একরকম সুপারফুড হল সজনে পাতা। সজনে শাক ভাজা খেতে বেস ভাল লাগে। পসুন আর কালোজিরে দিয়ে খেতে পারলে অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়
Drumstick Leaves Tea: বিশ্বজুড়েই বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। ঠিক কোন কারণে ডায়াবিটিস হয় তা জানা না গেলেও, জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে যে সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় একথা কিন্তু প্রমাণিত। ডায়াবেটিসের জন্য অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগের সুযোগ বাড়লেও সব চিকিৎসকেরাই কিন্তু প্রথমে নজর দেন রোজকার জীবনযাত্রায়। কারণ আমাদের খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত স্ট্রেস এসবই বাড়িয়ে দেয় ডায়াবিটিসের ঝুঁকি। অগ্ন্যাশয় থেকে তৈরি হয় রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন ইনসুলিন। এই ইনসুলিন যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে তৈরি হয় না এবং কাজে বাধা পায় তখনই কিন্তু চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকে সুগারের মাত্রা। আর যে কারণে আগে থেকেই সকলকে সচেতন থাকতে হয়।
ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে সেখান থেকে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা এসেই যায়। উচ্চরক্তচাপের সমস্যা হলে সেখান থেকে হার্ট, কিডনির একাধিক সমস্যা আসে। কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এছাড়াও থাইরয়েড, বিভিন্ন হরমোনজনিত সমস্যা, পিসিওএসের সম্ভাবনা এসব রয়েই যায়। আর রক্তচাপ একবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেখান থেকে শরীরের একাধিক অঙ্গে চাপ পড়ে। দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে রক্ত পড়ার মত একাধিক সমস্যা হয়। ক্লান্তি, নিঃশ্বাসে অসুবিধে এসব তো থাকেই। যে কারণে বছরে অন্তত একবার সকলেরই ব্লাড সুগার পরীক্ষা করানো উচিত। গ্রাম কিংবা শহর ভেদে কিন্তু এই সমস্যা আসে না।
রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়তে থাকলে রোজকার জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতেই হবে। কার্বোহাইড্রেট, শর্করার পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিতে হবে। চিনি, ময়দা, পাঁফরুটি, পাস্তা-এসব একেবারেই খাবেন না। ফাইবার, ফল, রোজ নিয়ম করে কোনও একরকম শাক এসব খেতেই হবে। আর খেতে পারেন এই চা। কোভিড কাল থেকে একরকম সুপারফুড হল সজনে পাতা। সজনে শাক ভাজা খেতে বেস ভাল লাগে। পসুন আর কালোজিরে দিয়ে খেতে পারলে অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়। আর এই শাকের মধ্যে রয়েছো অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। যে কারণে তা সুগার রোগীদের জন্য খুবই ভাল।
এছাড়াও এই পাতায় মোরিজ নামের একরকম উপাদান রয়েছে। যা রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এই পাতা দিয়ে চা বানিয়ে নিতে পারলে তা কিন্তু শরীরেও একাধিক কাজে লাগে। সুগার যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকে তেমনই একাধিক শারীরিক সমস্যাও দূর হয়ে যায়। অনেকেই এই পাতা শুকিয়ে খান। তার চাইতে কিন্তু কাঁচা পাতা উপকারী। কারণ কাঁচা পাতার মধ্যে থাকে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড। যা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ত্বক ভাল রাখে, রক্তচাপ ও স্নায়ুর চাপএ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কী ভাবে বানাবেন এই চা
সজনে পাতা শুকনো অবস্থায় অনেক স্টোরেই কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়াও সজনে পাতা ফুটিয়ে জল ছেঁকে নিয়ে তার মধ্যে গোটা গোলমরিত, লেবু আর মধির রস মিশিয়ে খেতে পারেন। নইলে জল ফুটতে দিন। তার মধ্যে কয়েকটা সজনে পাতা আর গোলমরিচ ফেলে ফুটিয়ে নিন। এবার গ্যাস অফ করে চা পাতা দিন। ছেঁকে নিয়ে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খান।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Diabetes Symptoms: কন্ট্রোলে নেই ডায়াবেটিস? এই অঙ্গগুলির চরম ক্ষতি হচ্ছে গোপনে! যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা…