Singer KK Death: কেকে বুঝিয়ে গেলেন সতর্ক হতে হবে সময় থাকতে-থাকতেই, উপেক্ষা নয় অস্বস্তি

KK singer death reason: মঞ্চে গান গাওয়ার সময়ও কেকে-র শরীরে অস্বস্তি ছিল। একাধিকবার তাঁকে ঘাম মুছতেও দেখা গিয়েছে। লম্ফঝম্প করলেও মাঝে মধ্যেই ব্যাক স্টেজে গিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন...

Singer KK Death: কেকে বুঝিয়ে গেলেন সতর্ক হতে হবে সময় থাকতে-থাকতেই, উপেক্ষা নয় অস্বস্তি
উপেক্ষা নয়, সতর্ক হন আপনিও...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2022 | 3:10 PM

ভিড় ঠাসা মঞ্চ। দর্শকমহলে তখন চরম উত্তেজনা, কখন দেখা মিলবে নব্বইয়ের নস্ট্যালজিয়ার। কলেজ- ইউনিভার্সিটির শেষ দিন থেকে প্রথম প্রেম-ব্রেকআপ সবকিছু তো জড়িয়ে ওই মানুষটার সঙ্গেই। কন্ঠের সুরের ঝাঁপি খুলতেই হাজার হাজার দর্শকের হাততালিতে ফেটে পড়ল অডিটোরিয়াম। ঝুলি থেকে বেরোচ্ছে একের পর এক তাঁর গান- সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত, ভরা অডিটোরিয়ামে গলগলিয়ে ঘামলেও গান থামেনি। বেড়েছে দর্শকদের উত্তেজনা। শরীরী অস্বস্তিকে পাত্তা না দিয়েই মঞ্চে এদিক-ওদিক ঝাঁপিয়ে বেড়িয়েছেন। ফ্লাইং কিসও ছুঁড়ে দিয়েছেন অজস্র ভক্তদের উদ্দেশ্যে। মাঝে অস্বস্তি বাড়ায় একবার মঞ্চের ফ্ল্যাশ লাইটগুলো বন্ধ করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। তবুও শেষ পর্যন্ত একেবারে নিজের মতো করেই কলকাতাকে মাতিয়ে দিয়েছেন। অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরে অস্বস্তি আরও বাড়তে থাকে। এরপর আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাকের কথা বলেছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। হার্ট অ্যাটাক মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি। হঠাৎ করে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ায় রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। প্রয়োজনীয় রক্ত হার্টে পৌঁছয় না। আর সেখান থেকেই গুরুতর হয় শারীরিক অবস্থা। চিকিৎসা পরিভাষায় একে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বলা হয়।

হঠাৎ করে শিরা বা ধমনীতে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল টক্সিন জমে যাওয়া। তা চর্বি হতে পারে, হতে পারে কোলেস্টেরল। আর তা ক্রমে রক্তনালীর বাইরে জমাট বেঁধে রক্ত প্রবাহে ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে হার্ট পর্যন্ত সরাসরি রক্ত পৌঁছতে পারে না। যেখান থেকে বেড়ে যায় হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনা।

শরীরে অস্বস্তি বা অস্থিরতাও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ

মঞ্চে গান গাওয়ার সময়ও কেকে-র শরীরে অস্বস্তি ছিল। একাধিকবার তাঁকে ঘাম মুছতেও দেখা গিয়েছে। লম্ফঝম্প করলেও মাঝে মধ্যেই ব্যাক স্টেজে গিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হোটেলে যাওয়ার পর এই সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। এরপর তিনি পড়ে যান বাথরুমে। এই অস্থিরতা কিন্তু হার্ট অ্যার্টাকের অন্যতম লক্ষণ। অধিকাংশ মানুষই কেকের মত তা উপেক্ষা করে যান। অনেকে আবার অন্য কোনও রোগ লক্ষণ হিসেবে অস্থিরতাকে দেখেন। এভাবে বুঝতে দেরি হওয়ায় এবং যথাসময়ে চিকিৎসক বা হাসপাতালে না নিয়ে গেলে সেই পরিণতি হয় ভয়ংকর।

হার্ট অ্যাটাকের অন্যান্য লক্ষণ

হার্ট অ্যার্টাকের সময় কাঁধ, পিঠ, বাহু, ঘাড়, চোয়াল এবং দাঁতে ব্যথা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে পেটের উপরের অংশেও অস্বস্তি হয়। এছাড়াও বুকে ব্যথা, বুকে চাপ লাগা, শরীর শক্ত হয়ে যাওয়া, হঠাৎ ঠান্ডা লাগা, ঘাম, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, বমি ভাব, ডিসপেপসিয়া এবং শ্বাসকষ্টও কিন্তু হৃদরোগের লক্ষণ।

কেন দিন দিন বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা

হার্ট অ্যাটাকের জন্য বর্তমানের জীবনযাত্রাকেই দায়ী করা হয়। বর্তমানে তরুণদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা তুলনায় বেশি। উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমই বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি। আর মাত্র ৫৩-তেই গান থামালেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। ‘দর্দ মে ভি ইয়ে লব, মুসকুরা যাতে হ্যায়/ বীতে লমহেঁ হমেঁ, জব ভি ইয়াদ আতে হ্যায়’- এমন সমাপতন বোধ হয় ভাবেননি কেউই।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।