Stomach Cancer: পেটের সমস্যায় ভুগছেন? গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার সম্পর্কে আগেই সচেতন হয়ে যান!

সঠিক ওজন বজায় রাখা সুস্থ জীবনধারার অঙ্গ। চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিজের ওজন সম্পর্কে ধারণা লাভ করুন এবং সেই অনুযায়ী ওজন বজায় রেখে চলুন।

Stomach Cancer: পেটের সমস্যায় ভুগছেন? গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার সম্পর্কে আগেই সচেতন হয়ে যান!
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2021 | 11:48 AM

পেটের ক্যান্সার, বুঝতেই পারছেন বিষয়টা পেটের সঙ্গে সম্পর্কিত। পেটের ক্যান্সারকে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারও বলা হয়। পেটের মধ্যে অস্বাভাবিক ভাবে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি পেলে পেটে ক্যান্সারের সমস্যা দেখা দেয়। তার থেকেও ভয়ের বিষয় হল এই ক্যান্সারের লক্ষণগুলি প্রথম স্টেজে দেখা যায় না এবং এই ক্যান্সার থেকে সম্পূর্ণ রূপে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও কম।

গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের প্রকারভেদ

গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। একটি হল অ্যাডেনোকার্সিনোমাস, এটি পেটের অভ্যন্তরীণ আস্তরণে গ্রন্থি কোষ থেকে বিকশিত হয়, যা মুকোসা নামে পরিচিত। এটা গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের মধ্যে খুব সাধারণ একটি ক্যান্সার। আরেকটি হল গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল স্ট্রোমাল টিউমার। এই ক্যান্সার পেটের দেওয়াল থেকে বৃদ্ধি হওয়া শুরু করে এবং তারপরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের কারণ

হজম নালীর ওপর অংশ হল পেট। আপনার পেট খাবারকে হজম করতে সাহায্য করে। তারপর সেই খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে শরীরের অন্যান্য অঙ্গে সঞ্চালন করে। গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার তখনই ঘটে যখন হজম তন্ত্রের মধ্যে কোষগুলি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায় এবং সেখান থেকে একটি টিউমার গঠন করে। সেই টিউমার ধীরে ধীরে ক্যান্সারে পরিণত হয়। তবে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার এক দিনে বিকশিত হয় না। দীর্ঘ দিন ধরে গঠিত হয় এই টিউমার, সেখান থেকেই জন্মায় ক্যান্সার।

গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের মূল কারণ এখনও জানা যায়নি। কিন্তু কয়েকটি বিষয় রয়েছে যার কারণে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার হতে পারে। যেমন স্থূলতা, বংশগত, এ বাল্ড টাইপ থাকলে, ক্রমাগত নুন জাতীয় এবং স্মোকি খাবার খেলে, ফল ও শাক সবজি কম পরিমাণে খেলে, নিয়মিত ধূমপান করলে, গ্যাস্ট্রোইসোফেগাল রিফ্লাক্স রোগ থাকলে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের উপসর্গ

গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের রোগী হলে যে ধরণের উপসর্গগুলি দেখা যায়, তা হল- বুকজ্বালা, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া, খিদের অভাব, বদ হজম, পেটে অস্বাভাবিক ব্যথা, মলের সঙ্গে রক্তপাত, ওজন কমে যাওয়া, জ্বালাভাব, পেটের অন্যান্য সমস্যা, জন্ডিস। এই ধরণের উপসর্গ গুলি দেখা দিলে, দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

প্রতিরোধ

প্রথম থেকে যদি আপনি এই বিষয়ে সচেতন হয়ে যান তাহলে আপনি গ্যাস্ট্রিকের ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে পারবেন। ওজনের ওপর খেয়াল রাখুন। সঠিক ওজন বজায় রাখা সুস্থ জীবনধারার অঙ্গ। চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিজের ওজন সম্পর্কে ধারণা লাভ করুন এবং সেই অনুযায়ী, ওজন বজায় রেখে চলুন।

আপনি যদি অত্যধিক পরিমাণে ধূমপান করেন, তাহলে ইতিমধ্যে তা বন্ধ করুন। ধূমপান গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। শুধু গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের নয় ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে শুরু করে হৃদ রোগের আক্রান্ত হওয়ার পিছনেও ধূমপান দায়ী।

খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনুন। একমাত্র সঠিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আপনি পেটের ক্যান্সার ও অন্যান্য যাবতীয় সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে পারেন। খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক সবজি এবং ফল যুক্ত করুন। খাবারে নুনের পরিমাণ কমান। নুনের পরিবর্তে আপনি কম সোডিয়াম নুন খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে পারেন। যদি আপনার বংশে ক্যান্সারের কোনও ইতিহাস থেকে থাকে তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে, পরীক্ষা করিয়ে নিন।

আরও পড়ুন: আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য স্প্রাউট খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ কেন?