Winter health Care: শীতকালে নানা রোগের মোক্ষম ওষুধ ভেষজ চা! কোন রোগের জন্য কী চা খাবেন, জানুন এখানে

কড়া অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে ঘরোয়া উপায়ে রোগ সারানো অনেক উপকারী। তবে শুধু জ্বর সর্দিতেই নয়, কোলেস্চেরল, ইউরিক অ্যাসিড কিংবা হার্টের অসুখও সেরে যায় চায়ের ভেষজ গুণে।

Winter health Care: শীতকালে নানা রোগের মোক্ষম ওষুধ ভেষজ চা! কোন রোগের জন্য কী চা খাবেন, জানুন এখানে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2021 | 6:43 AM

শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ায় অধিকাংশই সংক্রমণ বা সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভোগেন। কড়া অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে ঘরোয়া উপায়ে রোগ সারানো অনেক উপকারী। তবে শুধু জ্বর সর্দিতেই নয়, কোলেস্চেরল, ইউরিক অ্যাসিড কিংবা হার্টের অসুখও সেরে যায় চায়ের ভেষজ গুণে।

ঠান্ডা ও সর্দি: লাল চায়ে এক কুচি আদার সঙ্গে একটা তেজপাতা আর গোলমরিচ গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। এতে ঠান্ডা সর্দিও চলে যাবে। চায়ে চিনির বদলে দিন স্টিভিয়া নামে ভেষজ। চিনির চাইতে এতে ক্যালরি বহুগুণে কম থাকে। সুগার রোগীও খেতে পারবেন।

গলার অসুখ: প্রতিদিন যষ্টি মধু, কাবাব চিনি এবং কয়েকদানা বীড়ঙ্গ দিয়ে তৈরি করুন লাল চা। দু’বেলা পান করুন। উপকার পাবেন। এছাড়া লিকার চায়ের সঙ্গে প্রতিদিন বীড়ঙ্গ ফুটিয়ে খেলে স্বরযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দূরে থাকে। শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যায়। গলায় খুব বাড়াবাড়ি রকমের কষ্ট হলে দিনে চার বার করেও এই চা পান করা যায়। প্রতিদিন যষ্টি মধু, কাবাব চিনি, বীড়ঙ্গ জলে ফুটিয়ে গার্গেল করলেও উপকার পাওয়া যায়।

হার্টের অসুখে: এককাপ গরু দুধ, আর এককাপ জল নিয়ে তাতে দিন অর্জুন ছাল, আর প্রয়োজন মতো চা। তরল ফুটে এককাপ মতো হলে ছেঁকে নিন। সকাল ও বিকালে এই চা পান করুন। তবে রোগীভেদে ভেষজের পরিমাণ বদলে যেতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপে: একটা পাত্রে গরম জল নিন। এরপর জলে চা পাতা, জটামাংসী, থানকুনি পাতা দিয়ে পাত্রটি ঢেকে দিন। মিনিট দশেক পরে এই চা ছেঁকে পান ছেঁকে পান করুন। উপকার পাবেন।

কোলেস্টেরল: লাল চায়ের সঙ্গে গোটা কুড়ি কারিপাতা ফেলে ফোটান। ওই চা ছেঁকে পান করুন। এতে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডস কমে যায়।

ইউরিক অ্যাসিড: লিকার চায়ে দু’চার টুকরো পেঁপে ফেলে দিন। মিনিট দশেক ফোটানোর পর ওই চা ছেঁকে পান করুন। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দ্রুত কমতে শুরু করবে।

রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস: লিকার চায়ে শুঁঠ আর গুলঞ্চ ফেলে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর ছেঁকে এই চা পান করলে রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ব্যথা-বেদনা কমবে। গুলঞ্চ কাঁচা বা থেঁতো করেও নেওয়া যায়।

পেটের গণ্ডগোলে ত্রিফলা চা: হরিতকি, আমলকী আর বহেড়ার আঁটি বের করে নিন। এরপর ফলগুলি সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালিপেটে উঠে ছেঁকে নিয়ে ওই জল খেলে পেটের সবধরনের গোলমাল সারাতে কাজে দেয়। এমনকী ত্রিফলার চা করেও খাওয়া যায়। কনস্টিপেশন, হজমের সমস্যা একেবারে দূরে থাকে।

পিরিয়ডস-এর সমস্যায়: মহিলাদের পিরিয়ডস-এর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। তবে যে কোনও ধরনের সমস্যার জন্য তিল, অশোকছালের চা ফুটিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। মেনস্ট্রুয়েশন কম হলে খেতে হবে সমস্যায় তিল বাটা।

ফুসফুসের রোগে: ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ সারে আমলকীর চা করে খেলে। তবে আমলকীর বীজ বাদ দিতে হবে। গুটকা, ধূমপানের নেশা ছাড়াতেও মুখে আমলকী রাখতে পারেন।

অনিদ্রা: গরমজলে জটামাংসী ভিজিয়ে রাখুন। জল ঠান্ডা হয়ে গেলে ওই জল ছেঁকে পান করুন। ঘুমোতে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে পান করুন। ঘুম আসবে

মেদ কমাতে: মেথি, বীড়ঙ্গ এবং গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে চা তৈরি করতে পারেন। দু’বেলা এই চা পান করলে মেদ ঝরে।

মাইগ্রেন: আমলকী, যষ্টিমধু আর লবঙ্গ ছদিয়ে চা তৈরি করে খান দু’বেলা। নিয়মিত এই চা পান করলে মাইগ্রেনের অ্যাটাক কমতে শুরু করবে।

মাথায় রাখুন—

রোগীবিশেষে ভেষজের পরিমাণ বদলে যায়। তাই নিজে চা তৈরি করে পান করার আগে একজন বিশেষজ্ঞ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিনি ব্যবহার করবেন না। বদলে স্টিভিয়া ব্যবহার করুন।

আরও পড়ুন:  Benefits Of Drinking Water: খালি পেটে জল পান করা কতটা উপকারী! রইল ৭টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ