Fatigue Cure: সারাদিনের ক্লান্তিভাব কাটিয়ে তুলতে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন করতে হবে, বিস্তারিত জেনে নিন…
এই প্রক্রিয়াগুলো মেনে চললে আমাদের সারাদিনের ক্লান্তি ভাব অনেকটাই কমে যাবে। আমাদের মধ্যে একটা চনমনে সতেজ ভাবও আসবে। এসবের মাঝেই সারাদিন অনেক খাটা খাটনি হলেও খুব একটা অস্বস্তি হবে না।
আমাদের অনেকের মধ্যেই একটা অদ্ভুত আলস্য আসে সারাদিন ধরেই। একটা ক্লান্তিভাব সারাক্ষণ লেগে থাকে। কারণ অনেক সময়ই চেষ্টা করেও খুঁজে পাওয়া যায় না। বিশেষজ্ঞরা যে সাধারণ কিছু কারণ বলে থাকেন তার মধ্যে একেবারে গোড়াতেই আসে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব। খাবার থেকেই সকলে পুষ্টি এবং রোজকার কাজ চালিয়ে যাওয়ার শক্তি পান। কিন্তু এই খাবারই আবার ক্লান্তি ভাবও বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে তেলে ভাজাভুজি বা প্যাকেটের জাঙ্ক ফুট খেলে শরীর চনমনে তো হয়ই না বরং ক্লান্তি ভাব আরও বেড়ে যায়।
ক্লান্তি ভাব কাটাতে কোন ধরনের খাবার খাবেন? কতটা পরিমাণেই বা খাবেন? সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন…
১) ক্লান্তি ভাব কাটাতে প্রথমেই তালিকায় রাখুন ফল এবং শাক-সব্জি। এই দু’টি খাবার ক্লান্তি ভাব সহজে কাটিয়ে দিতে পারে। দিনে সব মিলিয়ে অন্তত পাঁচ মুঠো ফল এবং শাক-সব্জি খান।
২) পেট ভরা খাবার খাবেন? তা হলে ভাত, রুটি বা আলু খান। এই ধরনের শর্করা শরীরের ক্ষতি করে না। ক্লান্তি ভাব কাটাতেও কাজে লাগে।
৩) অল্প দুধ খেতে পারেন। তাতে সমস্যা থাকলে সোয়া দুধ খেলেও হবে। দিনে অন্তত এক কাপ দুধ খান।
৪) ক্লান্তি ভাব কাটাতে প্রোটিনের দরকার। ডিম, অল্প মাছ বা মাংস খেতে পারলে ভাল হয়। অতিরিক্ত চর্বি যুক্ত মাংস এড়িয়ে যান। এর সঙ্গে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন রয়েছে এমন আনাজ খেতে পারেন। যেমন ছোলা বা বিনস। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এগুলি খান। তার মধ্যে একদিন একটু তেল দিয়ে রান্না করলেও অসুবিধা নেই।
৫) রুটি বা পাউরুটিতে মাখন জাতীয় জিনিস দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস আছে? এগুলি ত্যাগ করলেই ভাল। মাখন বা অন্য স্প্রেড ক্লান্তি বাড়িয়ে দেয়। বনস্পতিও তাই। এর বদলে অলিভ অয়েল খেতে পারেন।
৬) রোজ ৬ থেকে ৮ গ্লাস জল খান। শরীরে জমা দূষিত পদার্থের পরিমাণ কমবে। ক্লান্তিও কমবে।
এই প্রক্রিয়াগুলো মেনে চললে আমাদের সারাদিনের ক্লান্তি ভাব অনেকটাই কমে যাবে। আমাদের মধ্যে একটা চনমনে সতেজ ভাবও আসবে। এসবের মাঝেই সারাদিন অনেক খাটা খাটনি হলেও খুব একটা অস্বস্তি হবে না। দিনের শেষে উল্টে ভাল ঘুমও হবে। যার ফলে, স্বাস্থ্যকর শরীরের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও বেশ খানিকটা বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন: Ring Worm: দাদের সমস্যায় নাজেহাল হয়ে উঠেছেন? এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো মেনে চললে দাদের নিরাময় সম্ভব…