AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

H3N2 Virus : কাশি, জ্বর, গলাব্যথা এসবের জন্য দায়ী H3N2 ভাইরাস, ঘরোয়া প্রতিকারের নিদান চিকিৎসকদের

Cough and Fever Home Remedies: বেশি গলা ব্যথা করলে নুন জল দিয়ে গার্গল করতে পারেন। তবে তা দিনের মধ্যে তিনবারের বেশি করবেন না

H3N2 Virus : কাশি, জ্বর, গলাব্যথা এসবের জন্য দায়ী H3N2 ভাইরাস, ঘরোয়া প্রতিকারের নিদান চিকিৎসকদের
অ্যান্টিবায়োটিক নয়, ভরসা রাখুন ঘরোয়া টোটকায়
| Edited By: | Updated on: Mar 07, 2023 | 9:40 PM
Share

প্রতি বছরই ঋতু পরিবর্তনের সময় বাড়ে সর্দি, কাশির প্রভাব। জ্বর, সর্দি, হাম, পক্স এখন ঘরে ঘরে। দিল্লি-সহ দেশের অনেক জায়গাতেই এখন চলছে এই ভাইরাসের প্রকোপ। সেই সঙ্গে অ্যাডিনোর চোখ রাঙানি তো আছেই। শীত থেকে হঠাৎ করে গরম বাড়তেই বেড়েছে এই সব ভাইরাস ঘটিত রোগের প্রকোপ। আর সেই সঙ্গে বেড়েছে রোগীর সংখ্যাও। রোগীদের মধ্যে জ্বর, কাশি, বমি বমি ভাব, গলাব্যথা, শরীরে ব্যথা এবং ডায়ারিয়ার মত উপসর্গ থাকছে। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এর মতে, এই সব লক্ষণ ৫-৭ দিন পর্যন্ত থেকে নিজে থেকেই চলে যায়। তবে H3N2-ভাইরাসের প্রকোপে জ্বর, কাশি হলে তা তিন সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। কাশি সারতেই সবচাইতে বেশি সময় লাগছে।

বয়স্ক এবং ১৫ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি হচ্ছে। রোগীদের জ্বরের সঙ্গে শ্বাসযন্ত্রেও সংক্রমণ থাকছে। যে কারণে চিকিৎসকেরা অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন। সংক্রমণজনিত স্বর, সর্দি, কাশি ঘরোয়া টোটকাতেই কিন্তু সারিয়ে তোলা যায়। আর সেই সব টোটকাতেই ভরসা রাখার কথা বলছেন তাঁরা।

এক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে হলুদ। হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামের একপ্রকার যৌগ থাকে যা প্রদাহ দূরে রাখে। এছাড়াও অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণও রয়েছে হলুদের মধ্যে। কাঁচা হলুদ থেঁতো করে সামান্য মধু আর গোলমরিচ থেঁতো করেও একসঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও লিকার চায়ে হলুদ থেঁতো করে দিয়ে খেলেও অনেক উপকার হয়।

এছাড়াও সর্দি, কাশির সমস্যায় জল বেশি করে খেতে হবে। শরীর যাতে সব সময় হাইড্রেট থাকে সেই দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। জল, জুস, ডাবের জল, নুন চিনির জল, স্যুপ এসব বেশি খেতে হবে। সোডা, অ্যালকোহল কিন্তু একেবারেই চলবে না। এছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। কমলালেবু, মুসাম্বি, বিভিন্ন রকম শাকসবজি এসব রোজ খান, বেশি পরিমাণে খান।

বেশি গলা ব্যথা করলে নুন জল দিয়ে গার্গল করতে পারেন। তবে তা দিনের মধ্যে তিনবারের বেশি করবেন না। এতে গলা ব্যথা আর সংক্রমণ দুই কমবে। গলা ব্যথা, কাশি হলে ঠান্ডা জল একেবারেই নয়। সব সময় গরম জল খান। মধু, আদা, তুলসিপাতাও কাশি কমাতে ভীষণ রকম কার্যকরী। আদা, তুলসি পাতা থেঁতো করে জলে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার তা ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও লিকার চা বানিয়ে খেতে পারেন। তার মধ্যে আদা, তুলসি পাতা থেঁতো করে ফেলে দিন। জ্বরও ামাদের শরীরকে দুর্বল করে দেয়। তাই এই সময়টা বিশ্রাম নেওয়া খুব জরুরি। অন্তত তিন সপ্তাহ রোদে বেরনো চলবে না। রাতে ৮-৮ ঘন্টা ঘুমোতেই হবে। ঠান্ডা লাগছে বলে মোটা কাপড় বা কম্বল গায়ে দেবেন না। ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় থাকুন, সুতির পোশাক পরুন, তাতেই কাজ হবে।