দোল পূর্ণিমায় অনেকেই বাড়িতে পুজো করেন। পূর্ণিমা পুজো মানেই প্রসাদে ফল, সিন্নি, মিষ্টি, লুচি, পায়েস এসব থাকবেই। এছাড়াও অনেকে এইদিন নিরামিষ খান। দোল পূর্ণিমা যেহেতু খুবই বড় পূর্ণিমা তাই এই দিনটি খুবই ধূমধাম করে পালন করার রীতি রয়েছে।
কেউ কেউ যেমন এদিন পুরোপুরি নিরামিষ খান তেমনই অনেকের দোলে আমিষ ছাড়া চলে না। মাটন-বিরিয়ানি-পোলাও এসব চাই চাই। যে খাবার খেতে যত বেশি ভাল সেই সব খাবারই কিন্তু তত ক্ষতিকর। দোলে স্পেশ্যাল ঠান্ডাই, ভাং তো থাকেই। কিন্তু সব কিছু একেবারে খিচুড়ি পাকিয়ে খেলে খুব মুশকিল। টানা ৭ দিন ভুগতে হবে।
উপবাস মানেই অনেকে সকাল থেকে চা-জল খান না। এদিকে গরম যে ভাবে বাড়ছে তাতে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায় এই দীর্ঘক্ষণ জল না খেয়ে থাকলে। সেই সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে অ্যাসিডের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এরপর খালি পেটে সিন্নি, মিষ্টি খেলেই অ্যাসিড। তার উর পোলাও মিষ্টি মাংস চাপলে তো কোনও কথাই নেই।
অনেকেই নিয়মিত বিভিন্ন ওষুধ খান। উপোস করলেও ছেদ পড়ে না সেই নিয়মে। সেখান থেকেও সমস্যা আসতেই পারে। আর পুজোর পর জল না খেয়ে অনেকেই মিষ্টি খান। সেই সঙ্গে পায়েসও থাকে। এই সব মিলিয়েই শরীরে জাঁকিয়ে বসে অ্যাসিডিটি।
তাই সব গুরুপাক খাবার মোটেও একসঙ্গে খাবেন না। অনেকেই রোজ থাইরয়েড, সুগার, প্রেশারের ওষুধ খান। ফলে কোনও ভাবেই খালিপেটে থাকবেন না। জল, লিকার চা খাবেন। উপোস ভেঙে প্রথমে জল খান। তবে ফলপ্রসাদ, মিষ্টি এসব খান। এরপর বেশি গুরুপাক খাবার না খাওয়াই শ্রেয়।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে তো কথাই নেই। তখন এত বেশি গুরুপাক খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। যা খাবেন নিজের শরীর বুঝে খাবেন। সবথেকে ভাল যদি একবেলা একদম হালকা পাতলা খাবার খেতে পারেন। বাসি শিঙাড়া, কচুরি, দুধ চা, ঠান্ডা পানীয় ভুল করেও খাবেন না।
ঠান্ডা যে কোনও রকম পানীয়ের সঙ্গে বিশেষত অ্যালকোহলের সঙ্গে শিঙাড়া, পকোড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা যে কোনও ফ্রায়েড স্ন্যাকস কিন্তু রাখবেন না। এর মধ্যে সোডিয়াম বেশি থাকে। যা পরিপাকতন্ত্রের উপর চাপ ফেলে। এছাড়াও নোনতা খাবার আমাদের তেষ্টা বাড়িয়ে দেয়। ফলে তখন বেশি পরিমাণ অ্যালকোহল খাওয়া হয়ে যায়। আর অ্যালকোহল মূত্রবর্ধক হিসাবে কাজ করে। তখন বারে বারে প্রস্রাব পায়।