হোলি খেলবেন আর রং মাখবেন না তা যেমন হয় না তেমনই দোলের দিনে পাতে বিশেষ খাবার পড়বে না এমনটাও হয় না। কোভিডের আগেও পাড়ায় পাড়ায় মানুষ দোল খেলতে বেরোতেন। একে অন্যের বাড়িতে গিয়ে আবির দিয়ে আসতেন। তারপর মিষ্টিমুখ তো থাকতই। কিছু বাড়িতে উপরি পাওনা ছিল ঘুগনি।
দোলের দিনে বাড়িতে বানানো এই সব খাবারের চল এখন প্রায় উঠেই গিয়েছে। যত্ন করে কেউ আর এই নাড়ু, নিমকি, ঘুগনি বানান না। বরং কেনা খাবারেই অভ্যস্ত। তবে রং খেলতে খেলতে সবাই মিলে রান্না করে খাওয়ার মধ্যে একটা আলাদা মজা থাকে।
এই দিন অধিকাংশ বাড়িতে পুজো হয়। রাধাগোবিন্দের জন্য খুবই বড় এই দোল উৎসব। পুজো হয় বলে অনেকেই নিরামিষ খান। আবার অনেকের দোল আমিষ ছাড়া জমে না। বসন্তের প্রথম উৎসব, রঙের উৎসব আর তাই পাতও চাই রঙিন।
যে কারণে আজকের এই বিশেষ দিনে বানিয়ে নিতে পারেন ফ্রুট পোলাও বা কাশ্মীরী নবরত্ন পোলাও। পনির কিংবা ফিশের সঙ্গে এই পোলাও খেতেও লাগে বেশ। দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন। প্রথমেই গরম দুধে কেশর দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে, এবারে ভালো করে চাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখতে হবে। কড়াইতে ঘি দিয়ে পনিরের টুকরো, কাজু, কিশমিশ, আমন্ড ভেজে রাখুন।
বড় পাত্র গ্যাসে বসিয়ে ওর মধ্যে পরিমাণ মতো ঘি, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, গোটা গরম মশলা, আদা বাটা আর আগে থেকে ধুয়ে শুকিয়ে রাখা চাল দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না চাল থেকে তেল ছাড়ে।
এবার পরিমাণ মত জল আর দুধ দিয়ে মিডিয়াম আঁচে ৭ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। এবার ঢাকনা খুলে আগে খেতে ভেজে রাখা সব উপকরণ, নুন, চিনি মিশিয়ে আবারও ঢেকে রাখুন ৭ মিনিট। এবার ঢাকনা খুলে অল্প নেড়ে উপর থেকে সামান্য ঘি ছড়িয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। ১০ মিনিট পর কেটে রাখা ফল ছড়িয়ে দিলেই তৈরি নবরত্ন পোলাও বা ফ্রুট পোলাও।