Coronavirus: সহজ হচ্ছে কোভিড বিধিনিষেধ, সর্দি-কাশির উপসর্গ থাকলে যে সব বিষয় অবশ্যই মেনে চলবেন

COVID Restrictions Ease: শিথিল হচ্ছে বিধি নিষেধ। তবুও ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। সেই সঙ্গে মাস্ক পরতেই হবে। যাঁদের বিশেষ শারীরিক অসুবিধে রয়েছে তাঁদের কিন্তু সাবধানে থাকতেই হবে

Coronavirus: সহজ হচ্ছে কোভিড বিধিনিষেধ, সর্দি-কাশির উপসর্গ থাকলে যে সব বিষয় অবশ্যই মেনে চলবেন
মাস্ক পরতে ভুলবেন না
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 01, 2022 | 6:12 PM

কোভিড সংক্রমণের দিক দিয়ে আপাতত নিম্নমুখী ভারতের গ্রাফ। জানুয়ারি মাসে ওমিক্রনের সংক্রমণ যে ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল ফেব্রুয়ারি থেকে কিন্তু তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী ৩১ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভারতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১,২২৫। এবং উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশের নিরিখে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮। অর্থাৎ একদিনে নতুন করে দেশে ২৮ জন কোভিড আক্রান্ত। করোনা রুখতে নিয়মিত ভাবে মাস্কের ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেছেন চিকিৎসকেরা। এছাড়াও বার বার হাত ধোওয়া, স্যানিটাইজারের ব্যবহার এসব তো আছেই। গত দু’বছর আগে কোভিডের সংক্রমণ শুরু হতেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল লকডাউন। তবে ৩১ মার্চ থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা এবার অনেকখানিই শিথিল করার উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও বার বার মাস্ক পরার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মাস্ক পরতেই হবে। সেই সঙ্গে অযথা ভিড়ে না যাওয়াই কিন্তু ভাল।

এশিয়া এবং ইউরোপের নির্দিষ্ট কিছু অংশে এখনও তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনা। ফলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে তা কিন্তু জোর দিয়ে বলতে পারছেন না চিকিৎসকেরাও। লোকজন আবার আগের মত বাইরে বেরোচ্ছেন। স্বাভাবিক জীবনছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন। স্কুল, অফিস সবই কিন্তু খুলতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বিধি-নিষেধও শিথিল হয়েছে। আর তাই যদি সর্দি-কাশির মত হালকা উপসর্গ থাকে তাহলে অবশ্যই ভিড় এড়িয়ে চলবেন। কারণ আপনার চারপাশের মানুষকে সুস্থ রাখার দায়িত্বও কিন্তু আপনারই।

কোভিড আর ফ্লু- এর উপসর্গ একই রকম। যে কারণেই অনেকেই বুঝতে পারেন না যে তিনি আদৌ ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা। ঠান্ডা লাগা, সর্দি, জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, মাথাব্যথা, শরীরে ব্যথা, হজমের সমস্যা এসব কিন্তু কোভিডের লক্ষণও। তাই উপসর্গগুলি তিন দিনের বেশি থাকলে অবশ্যি টেস্ট করান। নিজেকতে অন্যদের থেকে আলাদা রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। ওমিক্রন সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই লং কোভিডে ভুগছেন। আর লং কোভিড থেকে কিন্তু জটিলতা বাড়ে। যে কারণে আরও বেশি সতর্ক করতে চাইছেন চিকিৎসকরা।

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ এখনও পর্যন্ত হালকা। কিন্তু তা যে জটিলতার দিকে যাবে না সেই রকম ইঙ্গিত কিন্তু এখনও পর্যন্ত নেই। যে কারণে সতর্কতাই এর মূল অস্ত্র। আবার অনেক সময় কোভিডে আক্রান্ত না হয়েও অনেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন। ফুসফুসে সংক্রমণ জনিত সমস্যাতেও ভোগেন। সেখান থেকে নিজের অজান্তেই আপনি ছড়িয়ে দিতে পারেন কোভিডের ভাইরাস। এবার যাঁর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁর ক্ষেত্রেই হয়তো তখন সমস্যা তীব্র হল। বিস্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যাঁদের বয়স ৬০-এর উপরে এবং সঙ্গে ডায়াবিটিস, হার্ট বা কিডনির সমস্যা রয়েছে তাঁদের কিন্তু সবচেয়ে বেশি সাবধানে থাকতে হবে। কারণ তাঁরা যে কোনও সময় আক্রান্ত হতে পারেন এবং সেখান থেকে পরিস্থিতি জটিলতার দিকে যেতে পারে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: leg cramps: গরমের দিনে লেগ ক্র্যাম্পসে ভোগেন? এই ঘরোয়া টোটকা প্রয়োগ করে দেখতে পারেন…