Prediabetes: সুগার কি বাড়ছে? যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন…
Type 2 diabetes: ডায়াবিটিসের সব লক্ষণই ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। সব যে প্রথমেই বোঝা যায় তা নয়। আর তাই ডায়েটে পরিবর্তন আনা, শরীরচর্চা নিয়মিত করা এবং ধূমপান-মদ্যপান এড়িয়ে যাওয়াই একমাত্র পন্থা...
বিশ্বজুড়েই নিঃশব্দে বাড়ছে ডায়াবিটিস (Diabetes) আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউন পরবর্তী সময়ে সেই সংখ্যাটা আরো বেড়েছে। কমবয়সীদের মধ্যেও এখন থাবা বসাচ্ছে ডায়াবিটিস। বর্তমানে যে ভাবে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা তাতে আগামীদিনে এই সংখ্যাটা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে পরিস্থিতি আরও অনেক বেশি জটিল হয়ে উঠবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে ভারতে ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮ কোটির কাছাকাছি। আগামীদিনে অর্থাৎ ২০৪৫ সালের মধ্যে তা পৌঁছে যাবে ১২৪ কোটিতে। শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গ্রামেও বাড়ছে ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু সেখানে ডায়াবিটিস (Type 2 Diabetes) ধরা পড়ছে অনেকটাই পরে। নিম্ন আয়, যথাযথ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা না থাকা এবং শিক্ষার অভাবই কিন্তু মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। ডায়াবিটিস ( How To Manage Diabetes) কখনও সম্পূর্ণ সেরে যায় না। তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। আর তাই প্রথমেই পরিবর্তন আনতে হবে ডায়েটে। স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে বছরে একবার নিয়ম করে স্বাস্থ্যপরীক্ষাও ভীষণ জরুরি। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে শরীর প্রথম থেকেই কিন্তু বেশ কিছু উপসর্গের জানান দেয়।
ডায়াবিটিস দু ধরনের। তবে টাইপ ২ ডায়াবিটিসেই সবচাইতে বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলেই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অগ্ন্যাশয় থেকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না। এই ভাবে দিনের পর দিন রক্ত শর্করা বেড়ে যেতে থাকলে ইনসুলিনের কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সেখান থেকেই বাড়ে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি। আর তাই রক্ত পরীক্ষায় যদি সুগার একেবারে বর্ডার লাইনে থাকে, তাহলে কিন্তু তখন থেকেই সচেতন হতে হবে। কারণ টাইপ ২ ডায়াবিটিস বাড়িয়ে দেয় কিডনি, হৃদরোগের ঝুঁকি।
যে যে লক্ষণে সতর্ক হবেন…
হঠাৎ করেই ওজন বাড়তে শুরু করলে- আজকাল অনেকেই ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছেন। স্থূলতা বা ওবেসিটির সমস্যা থেকে আরও একাধিক সমস্যা আসে। আর তাই ওজন বাড়লেই কিন্তু সতর্ক হতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে অনেক সমস্যারই সহজ সমাধান সম্ভব।
পরিবারের অন্দরে ডায়াবিটিসের পূর্ব ইতিহাস থাকলে- অনেকের ক্ষেত্রেই কিন্তু ডায়াবিটিস জিনগত। পরিবারে বাবা-ঠাকুরদার মধ্যে ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে পরের প্রজন্মের মধ্যেও তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে প্রথম থেকেই সচেতন হতে হবে। জীবনযাত্রায় রাশ টানতে হবে। সেই সঙ্গে খাওয়াদাওয়া মেপে করতে হবে।
শারীরিক অক্ষমতা- শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তি, চোখ জ্বালা করা, কর্মদক্ষতা কমে যাওয়াও কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ। এরকম কোনও লক্ষণ দেখলে সতর্ক হন, একবার সুগারের টেস্ট করিয়ে নিন। শরীরের ভেতরে অজান্তেই যদি শর্করার মাত্রা বাড়ে তাহলেও এই রকম অসুবিধে হয়।
স্ট্রোক এবং উচ্চ কোলেস্টেরল- যাঁদের পররিবারে স্ট্রোকের ইতিহাস আছে এবং উচ্চ কোলেস্ট্রলের সমস্যায় একাধিক জন ভুহছেন অবশ্যই তাঁদের মধ্যে থাকে সুগারের সম্ভাবনা। যে কারণে সব সময় সতর্ক থাকতেই হবে।
PCOS-এর সমস্যায়- আজকাল অধিকাংশ মেয়েই এই সমস্যায় ভুগছেন। PCOS- এর জন্য নিয়মিত ওষুধ খেলে এবং সমস্যা থাকলে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ। তাই এই সমস্যা থাকলে প্রথম থেকেই সচেতন হন।
গর্ভাবস্থায়- অনেকেই গর্ভাবস্থায় ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকী ইনসুলিনও নিতে হচ্ছে। তাই যাঁদের এই সমস্যা হচ্ছে তাঁদেরও ডায়েটে পরিবর্তন আনতে হবে, সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই চলতে হবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Coronavirus Symptoms: হার্টের উপর চাপ ফেলছে সংক্রমণ, অনেকেই ভুগছেন কোভিড পরবর্তী সমস্যায়…