Just Diet: নতুন বছরের রেজোলিউশন কি ওজন কমানো? রইল স্লিম ও ফিট থাকার আদর্শ ডায়েট চার্ট

Healthy Diet Plan: এর পিছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। তার মধ্যে হল আনরিয়ালিস্টিক ডায়েট গোল সেট করেন অধিকাংশই। তবে বাস্তবজীবনেই হাতের সামনে রয়েছে এর সমাধান।

Just Diet: নতুন বছরের রেজোলিউশন কি ওজন কমানো? রইল স্লিম ও ফিট থাকার আদর্শ ডায়েট চার্ট
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2023 | 3:41 PM

নতুন বছরের নয়া রেজোলিউশন (New Resolutions)। আর সেই তালিকার প্রথম তিনের মধ্যে কোন জিনিসের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য থাকে, তা জানেন? নয়া বছরের (New Year 2 আগমন ঘটার পর পরই রেজোলিউশন সেট করে নেন অনেকেই। এ বছর যদি শরীরের বাড়তি মেদ ঝরানোর জন্য পরিকল্পনা করেন, তাহলে তা ডায়েট (Diet) দিয়েই প্রথমে শুরু করা দরকার। ওজন কমানোর (weight Loss) সিদ্ধান্ত যদি পাকা করে থাকেন, তাহলে ২০-২৩ দিনের মধ্যেই সেই সিদ্ধান্ত ব্রেক হওয়ার চান্স সবচেয়ে বেশি। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এই দলে রয়েছে বহু মানুষ। আমরা নই, সমীক্ষাই দিচ্ছে এই তথ্য।

এর পিছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। তার মধ্যে হল আনরিয়ালিস্টিক ডায়েট গোল সেট করেন অধিকাংশই। তবে বাস্তবজীবনেই হাতের সামনে রয়েছে এর সমাধান। ওজন কমিয়ে আরও বেশি ফিট থাকতে কীভাবে ডায়েট মেনে চলবেন, তার দিশা দেখালেন ডায়েটেশিয়ান অনুশ্রী মিত্র

তাঁর কথায়, রেজোলিউশন নয়., প্রথমে পাখির চোখ করুন নিজের জীবনযাত্রার উপর। সুস্থ ও ফিট থাকার মূলমন্ত্রই লুকিয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের মধ্যে। সুদূরপ্রসারী কোনও লক্ষ্য সেট করবেন না। ছোট ছোট ধাপে এগিয়ে গেলেই মিলবে সফলতা। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন মানে শুধুই পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা তা কিন্তু নয়। তার সঙ্গে রয়েছে যোগ ব্যায়াম, সারা দিন ধরে শারীরিক পরিশ্রম, জল পান করা সবকিছুই রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ঘুমের অভ্যাস, স্ট্রেসের মাত্রা কতটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছেন তা নিয়ন্ত্রণে রাখলে তবেই হতে পারেন স্লিম ও ফিট।

ছোট ছোট পদক্ষেপে ডায়েট প্ল্যান করার চেষ্টা করুন। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর সময় যদি ভাবেন রাতারাতি এই মেদ গলে যাবে, তা কিন্তু একেবারেই নয়। ২০-২৫ কেজি ওজন কমানোর হলে দীর্ঘমেয়াদী কোনও প্ল্যান করবেন না। তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর চেষ্টা করার সময় সবচেয়ে বেশিই ভুল করেন মানুষ। স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলাই হল ওজন কমানোর মূল হাতিয়ার। পরিকল্পনামাফিক ডায়েট মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এতেই মিলবে সবচেয়ে বেশি উপকার। আবার দ্রুত মেদ ঝরানোর লোভে অনেকেই কঠিন ডায়েট, ক্রাশ ডায়েট মেনে চলেন। সেই পদ্ধতিটিও সঠিক নয়।

ডায়েটের পাশাপাশি শারীরিকভাবে কতটা সক্রিয় থাকছেন, সেটাও রেজোলিউশন সেট করার সময় মাথায় রাখতে হবে। অ্যাক্টিভ মোড অন থাকলেই ধীরে ধীরে কম ওজন। রেজোলিউশন পূরণ করার চক্করে যদি সকালে উঠে ৩০ মিনিট ওয়ার্কআউট বা মর্নিং ওয়াক করেন, আর সারাদিন অফিসের চেয়ারে বসেই কাটিয়ে দেন, তাহলে এই রেজোলিউশন করার অর্থ হয় না। সারাদিন অ্যাক্টিভ মোডে থাকা অত্যন্ত জরুরি।

অফিসে বসেও কীভাবে সক্রিয় থাকবেন? সকালে মর্নিওয়াক বা ওয়ার্কআউট করার পর যদি অফিসে বসে থাকেন সারাদিন, তাহলে মেদ ঝরার কোনও লক্ষণ দেখা যাবে না। অফিসে যখন থাকবেন, তখন ফোন এলে হেঁটে হেঁটে ফোনে কথা বলুন। ৩০ মিনিট অন্তর চেয়ার ছেড়ে কয়েক মিনিটের জন্য উঠে হেঁটে আসুন। লিফট নয়, সিঁড়ি দিয়ে অফিসে পৌঁছান।

লাইফস্টাইলের মধ্যেই রয়েছে ডায়েট প্ল্যান। একেবারে নয়, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনারে মাঝে বারে বারে ও ছোট ছোট আকারে খাবার খান। ভাগ করে খেলে উপকার পাবেন। সময়ের অজুহাত না দিয়ে প্ল্যান করে নিতে হবে। সেই প্ল্যান মত যদি চলতে পারেন, তাহলে ওজন ঝরবে নিজের তালে। বেশি বলপ্রয়োগ করে বা জোড় করে স্লিম ও ফিট থাকা চেষ্টা একেবারেই করবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ডায়েটেশিয়ানের মতে, ডায়েট প্ল্যান যখনই করবেন, তখনই যেন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উপরই জোড় দেবেন। বাইরের কোনও খাবার নয়, বাড়ির তৈরি খাবার খান। তাতে সুস্থ যেমন থাকবেন, তেমনি ফিটও থাকবেন। বাড়ির খাবারের চেয়ে স্বাসথ্যকর আর কিছু হতে পারে না। রেডি টু কুক খাবার এড়িয়ে চলুন যতটা সম্ভব। এছাড়া ফাস্টফুড থেকেও বিরত থাকুন। বাড়ির তৈরি ভাত, ডাল. সবজির তরকারি, ফল, স্ন্যাক্স ইত্যাদি খান। তাতেই ঝরবে মেদ।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)