Weight Loss Diet: ওয়েট লস ডায়েটে মাছ রাখবেন নাকি চিকেন? এই খাবারেই মিটবে প্রোটিনের চাহিদাও
Chicken & Fish For Weight Loss: প্রোটিন পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। এতে চট করে খিদে পায় না এবং আপনি ভাজাভুজি, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকেও বিরত থাকেন।
![Weight Loss Diet: ওয়েট লস ডায়েটে মাছ রাখবেন নাকি চিকেন? এই খাবারেই মিটবে প্রোটিনের চাহিদাও Weight Loss Diet: ওয়েট লস ডায়েটে মাছ রাখবেন নাকি চিকেন? এই খাবারেই মিটবে প্রোটিনের চাহিদাও](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2023/01/Which-Aids-Better-In-Weight-Loss-Fish-Or-Chicken-know-here.jpg?w=1280)
ওজন বেড়ে যাওয়া কিন্তু মোটেও ভাল নয়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, ভাজাভুজি ওজন বাড়ায়। তাছাড়া শরীরচর্চা না করলে ওজন কমানো যায় না। অনেক সময়, অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালোরি গ্রহণ করলেও শরীরে মেদ জমে। কিন্তু আপনি কোনওভাবেই ডায়েট থেকে প্রোটিন বাদ দিতে পারবেন না। স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অর্থই হল, সঠিক মাত্রাই প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটেড গ্রহণ করা। তাছাড়া প্রোটিন খেয়েও কিন্তু ওজন কমানো যায়।
প্রোটিন পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। এতে চট করে খিদে পায় না এবং আপনি ভাজাভুজি, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকেও বিরত থাকেন। তাছাড়া পেশির কাজকর্মের জন্য প্রোটিন ভীষণ জরুরি। ডাল, শাকসবজিতে প্রোটিন পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা সাধারণত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে মাছ, মাংসকেই বেছে নিন। কিন্তু যখন ওজন কমানোর প্রসঙ্গ আসে, তখন মাছ খাবেন নাকি মুরগির মাংস, এটা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
প্রোটিনযুক্ত অন্যান্য খাবারের তুলনায় মাছ খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। মাছের মধ্যে ফ্যাট থাকে না। এটি ওজন কমানোর পাশাপাশি পেশির গঠন এবং কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি মাছ খেলে শরীরে শক্তির সঞ্চার ঘটে। মাছ খাওয়ার একটি বড় উপকারিতা হল এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই পুষ্টি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
নিউট্রিশন, মেটাবলিজম অ্যান্ড কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অন্যান্য আমিষ খাবারের চেয়ে মাছ খাওয়া ভাল। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওবেসিটিতে যে সব মানুষ ভুগছেন তাঁরা ৪ সপ্তাহ ধরে মাছ খেয়ে ওজন কমাতে পেরেছেন। ওই গবেষণা সপ্তাহে ৩ বার করে মাছ খাওয়ার সুপারিশ করছে।
অন্যদিকে, মুরগির মাংসে প্রচুর স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত চিকেন খেলে হাড় মজবুত হয়, পেশির বৃদ্ধি বাড়ে। সেই সঙ্গে অসময়ে খিদেও কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমানোর জন্য চিকেন ব্রেস্ট খাওয়া উচিত। চিকেন স্যুপ খেলে সবচেয়ে ভাল।
মাছ ও চিকেন দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে কিন্তু ওজন বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত পরিমাণে চিকেন খেলে শরীরে পিউরিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায় এবং গাউটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু মাছ খেলে শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো পুষ্টির ঘাটতি মিটবে। এই পুষ্টি হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি ত্বক, চোখের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে।
মাছ হোক মাংস যেটাই খান না, আপনাকে ওজন কমানোর জন্য শরীরচর্চা করতে হবে। আর ডায়েটে তেল ব্যবহারের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। চিকেন স্যুপ খেলেও তাতে লবণের পরিমাণ ঠিক রাখুন। মাছ ভাজা খেলেও সেখানে স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত তেল যেমন অলিভ অয়েল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এভাবে খাবার খেলে সহজেই আপনি ওবেসিটির ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।