Joint Pain: মেনোপজের পরই জয়েন্টের ব্যথা বেড়েছে? আরাম পেতে ঘরোয়া উপায় বেছে নিন
Menopause: মেনোপজের পরে অনেক মহিলার জয়েন্টে ব্যথার সমস্যাও শুরু হয়। যত্ন না নিলে এই ব্যথা কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে।
মেনোপজ (Menopause) হল একটি প্রক্রিয়া যার মধ্যে দিয়ে প্রতিটি মহিলাকেই যেতে হয়। মেনোপজ সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে ঘটে। মেনোপজের পর, স্বাভাবিকভাবেই মহিলাদের মাসিক চক্র পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে গিয়ে মহিলাদের নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই হরমোনের পরিবর্তনের কারণে গ্যাস, ফোলাভাব, বমি, মেজাজের পরিবর্তন, অত্যধিক গরম অনুভূতি, বিষণ্নতা এবং নার্ভাসনেস হয়। অনেক মহিলার জয়েন্টে ব্যথার (Join Pain) সমস্যাও শুরু হয়। সময় মতো যত্ন না নিলে এই ব্যথা (Bone Health) অনেকদিন ধরে চলতে পারে। এই সময়ে জয়েন্টের ব্যথা এড়াতে কী করবেন (Home Remedies) তা এখানে জেনে নিন।
খাদ্যতালিকায় ফ্ল্যাক্স সিড অন্তর্ভুক্ত করুন
জয়েন্টের ব্যথার সমস্যা এড়াতে আপনার খাদ্যতালিকায় ফ্ল্যাক্স সিড অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলোকে সুপারফুডের ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। জয়েন্টের ব্যথা উপশম করা ছাড়াও, ফ্ল্যাক্স সিড মেনোপজের অন্যান্য সমস্যা যেমন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, হট ফ্ল্যাশ, জয়েন্ট ফোলা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক বলেও মনে করা হয়।
খালি পেটে রসুন খান
রসুনে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, যা জয়েন্টের ব্যথা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খালি পেটে জলের সঙ্গে এক খোয়া রসুন খান। এর সাহায্যে জয়েন্টের ব্যথার সমস্যা ছাড়াও গ্যাস, ফোলা ইত্যাদি সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন। এ ছাড়া বাড়িতে রসুনের তেল তৈরি করে মালিশ করলেও আরাম পাওয়া যাবে।
হলুদ খান
জয়েন্টের ব্যথার জন্যও হলুদ খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। হলুদে অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই জিনিসগুলি জয়েন্টের ব্যথা উপশমে সহায়ক বলে মনে করা হয়। যদি কাঁচা হলুদ সেবন করা হয় তাহলে তা আরও বেশি কার্যকর। হলুদ সেবনের জন্য, আপনি এটি দুধে ফুটিয়ে পান করতে পারেন অথবা এক কাপ জলে আধা চা চামচ হলুদ এবং কিছুটা আদা মিশিয়ে সেদ্ধ করে ১০ মিনিট পর তা ছেঁকে নিয়ে পান করতে পারেন। এই পানীয় পান করলেও ব্যাথা থেকে অনেকটা উপশম পাবেন।
রোদ অপরিহার্য
আপনার হাড়ের মজবুতির জন্য আপনি যে ক্যালসিয়ামই গ্রহণ করুন না কেন, তা শরীরে শোষিত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য প্রয়োজন ভিটামিন ডি। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি পাওয়া সবচেয়ে সহজ। সকালের রোদ সেই অর্থে প্রখর হয় না। তাই নিয়মিত সকালের সূর্যের আলোয় দাঁড়ান। এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটার অভ্যাস করুন। এগুলো আপনাকে ব্যথায়ও অনেক উপশম দেবে এর পাশাপাশি মেনোপজের উপসর্গকে প্রশমিত করবে।
আরও পড়ুন: বসন্তের হাওয়ায় বেড়েছে আলসেমি? ঘুম থেকে উঠে এই ৫টি যোগাসন করুন