Tonsil Stone: দীর্ঘদিন ধরে টনসিলে ব্যাথা অনুভব করছেন! সহজ ঘরোয়া উপায়েই গলবে ‘টনসিলের স্টোন’

সমস্যা সমাধানের জন্য তাড়াহুড়ো কিছু করতে যাবেন না। ঘরোয়া প্রতিকারেও এই রোগ সেরে যাওয়া সম্ভব। তবে মারাত্মক আকার ধারণ করেল অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Tonsil Stone: দীর্ঘদিন ধরে টনসিলে ব্যাথা অনুভব করছেন! সহজ ঘরোয়া উপায়েই গলবে 'টনসিলের স্টোন'
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2021 | 11:35 AM

কখনও গলার পাশে টনসিল এলাকায় কোনও ব্যথা ও ফোলা অনুভব করেছেন? দীর্ঘদিন ধরে টনসিল এলাকায় ফুলে যাওয়া ও ব্যাথা অনুভব করতে মুখে দিয়ে কথা বলতে অসুবিধা দেখা যায়। শ্লেষ্মা জাতীয় পদার্থ ও ব্যাকটেরিয়া টনসিলের চারধারে আটকে থাকে, আর তা থেকেই ছোট ছোট শক্ত পাথরের মতো দেখতে পাওয়া যায়। এই অবস্থাকে টনসিল স্টোন বা টনসিলোলিথ বলা হয়।

টনসিল স্টোন কী?

ওরাল হাইজিন না মানলে টনসিলের মধ্যে হলুদ ও সাদা রঙের শক্ত পদার্থ তৈরি হলে তাকে টনসিল পাথর বলা হয়। এই পাথর টনসিলোলিথগুলি শ্লেষ্মা ও খাদ্যকণার অবশিষ্টাংশ ও মুখে ব্যাকটেরিয়া জমে থাকার কারণে এই রোগ বাসা বাঁধে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টনসিলোলিথের আকার খুব ছোট হওয়ায় প্রথমদিকে বুঝে উঠতে পারেন না অনেকে। দেখেও বোঝা যায় না অনেকসময়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি বড় হয় টনসিল ফুলে দিয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে। এছাড়া এমন অসুখ হলে মুখে দুর্গন্ধও তৈরি হয়।

কারণ ও লক্ষণ

খাদ্যকণা জমে গিয়ে , ব্যাকটেরিয়া বা শ্লেষ্মার জন্য নয়, বরং ত্বকের মৃত কোষ, লালার জন্যও টনসিল স্টোন তৈরি হয়। যখন ওই খাদ্যকণাগুলি টনসিলের পাশে পকেট বা গর্তের মধ্যে আটকে যায়, জমে যায় তখন সেটি পাথরের আকার ধারণ করে। এরপর ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের প্রভাবে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

টনসিল স্টোন হলে বুঝবেন কীভাবে? এর উপসর্গগুলি জেনে রাখা ভাল

-টনসিলের উপর ও পাশে হলুদ বা সাদা ধ্বংসাবশেষ -কানে চরম ব্যাথা – গলা ব্যাথা -কাশি -টনসিল ফুলে পেকে যাওয়া – খেতে বা ঢোঁক গিলতে অসুবিধা

প্রতিরোধ করবেন কীভাবে?

সমস্যা সমাধানের জন্য তাড়াহুড়ো কিছু করতে যাবেন না। ঘরোয়া প্রতিকারেও এই রোগ সেরে যাওয়া সম্ভব। তবে মারাত্মক আকার ধারণ করেল অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কয়েকটি সহজ ও উপকারী ঘরোয়া প্রতিকার অনুসরণ করলে ভাল ফল পেতে পারেন।

কাশি- টনসিলের ব্যাথা হলে কাশি আপনার হবেই। প্রাকৃতিকভাবে কাশির উপশম করতে হালকা নুন-জল দিয়ে গার্গল করতে পারেন। এই ঘরোয়া টোটকা সাধারণথ সকলেই করে থাকেন। তাতে সাময়িক আরাম মেলে। গলা ব্যাথা , কানে যন্ত্রণা হলেও এই সহজ ও উপকারী প্রতিকার আমরা সকলেই করে থাকি। তবে এই পদ্ধতিতে শুধু কাশি বা গলা ব্যাথার জন্য নয়, টনসিলের স্টোন গলাতেও সাহায্য করে। মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

ফল-সবজি- স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবারের কোনও বিকল্প নেই। টনসিল স্টোন নিরাময়ের জন্য ফল ও সবজি হিসেবে গাজর, রসুন, পেঁয়াজ, আপেল অত্যন্ত কার্যকরী।

আপেল- আপেলে রয়েছে অম্লীয় উপাদান, যা টনসিলের পাশের গর্ত বা পকেটে জমা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম।

গাজর- কাঁচা গাজ চিবিয়ে খেলে বেশি করে লালা উত্‍পাদন হয়। তাতে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে ও টনসিল স্টোন দূর করতে সাহায্য করে।

রসুন- এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য। যা মুখের মধ্যে সংক্রমণ ও ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: Dengue: বাড়ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ! রক্তে প্লেটলেটের বৃদ্ধিতে কোন কোন খাবার খাবেন, জেনে নিন