Keto Diet: দ্রুত ওজন কমানোর জন্য কিটো ডায়েটের ব্যবহার শরীরে তৈরি করতে পারে কোনও মারণ রোগ! বলছে গবেষণা
ফ্রন্টিয়ারস ইন নিউট্রিশনের বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন পর্যালোচনা অনুসারে, কিটোজেনিক ডায়েটের কারণে একাধিক দীর্ঘমেয়াদী রোগ দেখা দিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে হার্টের সমস্যা এবং কিডনির সমস্যা। এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিটো ডায়েট একই ভাবে ক্ষতি করছে গর্ভবতী মহিলাদেরও।
ফিটনেস বজায় রাখতে গিয়ে এখন অনেকেই শুরু করেছেন কিটো ডায়েট। কিন্তু গবেষণা বলছে অন্য কথা। কিডনির রোগ, হৃদ রোগের ঝুঁকি এবং গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে নানা সমস্যার পিছনে দায়ী করা হচ্ছে কিটো ডায়েটকে। কিটোজেনিক ডায়েটের জন্য শরীরে বাসা বাঁধছে দীর্ঘমেয়াদী রোগ।
ফ্রন্টিয়ারস ইন নিউট্রিশনের বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন পর্যালোচনা অনুসারে, কিটোজেনিক ডায়েটের কারণে একাধিক দীর্ঘমেয়াদী রোগ দেখা দিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে হার্টের সমস্যা এবং কিডনির সমস্যা। এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিটো ডায়েট একই ভাবে ক্ষতি করছে গর্ভবতী মহিলাদেরও।
ফ্রন্টিয়ারস ইন নিউট্রিশনের গবেষণা পত্র থেকে মূলত ছয়টি বিষয় জানা গিয়েছে-
১) কিটো ডায়েট গর্ভবতী মহিলা বা যাঁরা গর্ভবতী হবেন এমন মহিলাদের জন্য বিশেষভাবে নিরাপদ নয়। কম কার্বোযুক্ত ডায়েটে শিশুর নিউরাল টিউবে ত্রুটি হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে, বিশেষত যেসব মহিলা মহিলারা ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করে।
২) বেশি প্রোটিন যুক্ত কিটো ডায়েটে সম্ভাবনা রয়েছে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার।
৩) অনেক রোগীর ক্ষেত্রে এই কিটো ডায়েট শরীরে খারাপ অর্থাৎ ‘ব্যাড’ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
৪) কিটো ডায়েট ওজন কমানোর জন্য সহায়ক। দ্রুত রোগা হওয়ার জন্য কিটো ডায়েট আদর্শ হলেও, এই ডায়েট শরীরে তৈরি করতে পারে দীর্ঘমেয়াদী রোগ।
৫) কিটো ডায়েট থেকে সম্ভাবনা রয়েছে ক্যান্সারের মত মারণরোগ হওয়ার।
৬) শুধু ক্যান্সার নয়, কিটো খাবারগুলি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং অ্যালঝাইমারের মত রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
“কিটোজেনিক ডায়েট” শব্দটি সাধারণত এমন একটি ডায়েটকে বোঝায় যা কার্বোহাইড্রেট খুব কম, প্রোটিনে বিনয়ী এবং চর্বি বেশি। এই সংমিশ্রণটির লক্ষ্য হল কিটোসিস বা কিটোন বডির উৎপাদন, যা নিউরন এবং অন্যান্য কোষের জন্য বিকল্প শক্তির উৎস হিসাবে কাজ করে, যা সরাসরি ফ্যাটি অ্যাসিডকে বিপাক করতে পারে না।
ওজন হ্রাসের জন্য কিটো ডায়েটের প্রচার করা হয়ে থাকে। কিন্তু সাধারণভাবে খিঁচুনির রোগ, স্থূলতা এবং ওজন ব্যবস্থাপনা, টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার রোগ, ক্যান্সার, অ্যালঝাইমার রোগ, হৃদরোগ, কিডনি স্বাস্থ্য, এবং গর্ভাবস্থার মত বিষয়গুলির জন্য এই কিটো ডায়েট বিবেচনা করা হয়েছিল। যেখান থেকে এর দীর্ঘমেয়াদী রোগের কথা জানা গিয়েছে।
এই গবেষণা পত্রে বিশেষভাবে কিডনির রোগী এবং গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখান থেকে জানা গিয়েছে যে, এই ডায়েট শরীরে তৈরি করতে পারে এলডিএল কোলেস্টেরল অর্থাৎ ব্যাড কোলেস্টেরল। তাই কিটো ডায়েটকে স্বল্পমেয়াদে শরীরের ওজন হ্রাস করার জন্য বিবেচনা করার আগে এই দীর্ঘমেয়াদী রোগের ঝুঁকি গুলি সম্পর্কে অবহিত হয়ে নিন।
আরও পড়ুন: মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ, জানালেন চিকিৎসকেরা!
আরও পড়ুন: ব্যায়ামের সময় মাস্ক পরলে গুরুতর ক্ষতির সম্ভাবনা কি আদেও আছে? কী জানালো এই গবেষণা?