World Digestive Health Day 2021: হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করতে রইল কিছু জরুরি ও ঘরোয়া উপায়
আজ বিশ্ব ডাইজেস্টিভ দিবস। প্রতিবছরই এই দিনে পাচনতন্ত্র সংক্রান্ত নানা সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রচার চালানো হয় বিভিন্ন সচেতন চিকিৎসক মহল থেকে।
এই বছরের ‘ওয়ার্ল্ড ডাইজেস্টিভ দিবস’-এর মূল থিম হল— ‘স্থূলত্ব: নিরবিচ্ছিন্ন মহামারী’। মনে রাখতে হবে, ওজন বেশি হওয়ার কারণে শরীরে দেখা দেয় নানাবিধ রোগ। শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হয়ে পড়ে দুর্বল। এই দিনে তাই পাচনতন্ত্রকে সবল করতে ও স্থূলত্ব দূরে রাখতে থাকল কিছু ঘরোয়া বিধান—
বাড়ির তৈরি খাবার: প্যাকেটজাত খাদ্য বা প্রসেসড খাদ্য অথবা প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাদ্য পরিপাকতন্ত্রের অন্যতম শত্রু। এই ধরনের খাদ্য হজমতন্ত্রকে করে দেয় দুর্বল। এছাড়া এই ধরনের খাদ্যে থাকা ট্রান্স ফ্যাট, কৃত্রিম মিষ্টি খাদ্যকে হজম করার প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলে। প্রসেসড ফুড শরীরে চর্বির মাত্রাও বাড়ায়। তাই বাড়িতে তৈরি টাটকা খাদ্য খাওয়ার উপর জোর দিন।
ফাইবারযুক্ত খাদ্য খান: খাদ্যে তন্তুজাতীয় উপাদান বা ফাইবার থাকলে তা কোষ্ঠ সাফ করতে সাহায্য করে। পেট পরিষ্কার থাকলে পরিপাকতন্ত্র সম্পর্কিত নানা অসুখও দূরে থাকে। শাকসব্জি ও ফল হল ফাইবারযুক্ত খাদ্য।
আরও পড়ুন: টানা নাইট ডিউটি করলে সাবধান! এই ৬ বদভ্যাসে বেড়ে যায় ডায়াবেটিস
উপকারী ফ্যাট: খাদ্যে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান থাকে যা ফ্যাটে শোষিত হয়। শরীরে এই ধরনের খনিজ ও ভিটামিনের শোষণের জন্য দরকার স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গ্রহণ করা। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হল এইরকম উপকারী ফ্যাট। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহজনক সমস্যাও কমায়।
পর্যাপ্ত জলপান: একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন আড়াই থেকে তিনলিটার জল পান করা দরকার। প্রয়োজনের তুলনায় কম জল পান করলে তা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। এছাড়া শসা, তরমুজ, আঙুরের মতো ফল খাওয়া দরকার যেগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান রয়েছে। এই প্রসঙ্গেই বলে রাখা দরকার, মাত্রাতিরিক্ত কফি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত। বেশি কফি পান করলে তা পরিপাকতন্ত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করুন: দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক দুশ্চিন্তা করলে পরিপাকতন্ত্রে তার খারাপ প্রভাব পড়ে। দেখা গিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস-এর সঙ্গে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, আলসার, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়ারিয়ার হওয়ার যোগ আছে। সুতরাং দুশ্চিন্তা কমালে পারিপাকতন্ত্র সবল হয়।
খাবার খান চিবিয়ে: ছোটবেলায় বাবা-মা বলত ধীরে সুস্থে সঠিকভাবে চিবিয়ে খাবার খেতে। সত্যিই তাই। পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে ধীরেসুস্থে এবং চিবিয়ে খাবার খাওয়ার সত্যিই বিকল্প নেই। খাবার চিবোনোর সময় আমাদের মুখের লালাগ্রন্থি থেকে কিছু হজমে সাহায্যকারী উৎসেচক বেরয়। তাই চিবিয়ে খাবার খাওয়া হজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
কী খাচ্ছেন, দেখুন: খাবার খাওয়ার সময় কী খাচ্ছেন, সেই খাবারের রং কী, খাদ্যে কোন কোন মশলা প্রয়োগ হয়েছে, খাবারের উত্তাপ এবং স্বাদ ঠিক কেমন তা বোঝার চেষ্টাও খাদ্যগ্রহণকে উপভোগ্য করে তোলে। খাবার হজমও হয় চট করে। গ্যাস বা অ্যাসিডের সমস্যাও কম হয়।