AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Honey Side Effects: সামান্য এই ভুলের জন্যেই মধু হতে পারে ‘বিষের’ সমান! আয়ুর্বেদের পরামর্শ জেনে নিন…

Honey: ফুটন্ত চা বা জলের সঙ্গে কোনও ভাবেই মধু মেশাবেন না। এমনিই মধু-তুলসিপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন...

Honey Side Effects: সামান্য এই ভুলের জন্যেই মধু হতে পারে 'বিষের' সমান! আয়ুর্বেদের পরামর্শ জেনে নিন...
জানুন কেন বিষাক্ত মধু
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2022 | 8:02 AM
Share

বহু প্রাচীন কাল থেকেই স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যবহার হয়ে আসছে মধু। আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে এভাবে বোতলবন্দি বিশুদ্ধ মধু পাওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না। তখন সরাসরি ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করতেন মুনি-ঋষিরা। তাই কাজে লাগাতেন নিজেদের স্বাস্থ্যরক্ষায়। ওষুধও তৈরি হত সেই মধু থেকেই। যে কোনও বাড়িতেই মজুত থাকে মধু। মধুর অনেক গুণ। ওষধি এই সব গুণের জন্যই মধুকে আয়ুর্বেদে ‘স্বাস্থ্যের ধন’ বলা হয়। মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ। এত গুণ থাকার জন্যি মধু চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেই সঙ্গে ঘরোয়া যে কোনও স্বাস্থ্য সমস্যায় কাজে লাগে মধু।

মধু আমাদের নানা উপকারে লাগে। মধুর উপর এতটাই বিস্বাস রয়েছে যে প্রচুর মানুষ বছরের পর বছর ধরে ঘুম থেকে উঠে একগ্লাস ইষদুষ্ণ জলে লেবুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান। ধারণা, এতে শরীরে ছিঁটেফোঁটাও ফ্যাট জমতে পারে না। তবে মধু আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিয়ে শরীরকে যে সুস্থ রাখতে পারে এর প্রমাণ কিন্তু রয়েছে। সেই সঙ্গে মধুও খেতে হবে নিয়ম মেনে। এমনটাই মনে করছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। মধু খেলেই যে মেদ গলে যাবে একথা না বললেও নিয়ম করে মধু খেতে পারলে শরীরের অনেক কাজে লাগবে এই বিশ্বাস তাঁরা দিয়েছেন। নিয়ম না মেনে মধু খেলেই তা কিন্তু শরীরের জন্য একেবারে বিষ।

কী ভাবে খাবেন না মধু

মধু মানুষ নানা ভাবে খান। কেউ চায়ের সঙ্গে, কেউ জলের সঙ্গে কেউ বা আবার গরম দুধে মিশিয়ে। অনেকেই কাঁচা মধু খান। এই মধুর প্রভাব শরীরে যেভাবে পড়ে ঠাণ্ডা বা গরম জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে সেই প্রভাব কিন্তু পড়ে না। আবার যাঁরা রোজ গরম জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাচ্ছেন তাঁদের এখনই সাবধান হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে আয়ুর্বেদ বলছে, রান্নাতে মধু মেশানোর প্রয়োজন নেই। এতে গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। মধুকে নিষ্টিষ্ট তাপমাত্রার মধ্যে রান্নায় ব্যবহার করতে হবে। নইলেই কিন্তু বিপদ।

কী ভাবে খাবেন মধু

এমন তাপমাত্রায় জলের সঙ্গে মধু মেশান যা খাওয়ার যোগ্য থাকে। ফুটন্ত চা বা জলের সঙ্গে কোনও ভাবেই মধু মেশাবেন না। এমনিই মধু-তুলসিপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। গরম জলে লেবু আর মধু মেশালে মধুর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। খেতে পারেন দুধের সঙ্গেও।

কেন গরম জলে মধু বিষ

আয়ুর্বেদ বলছে, গরম জলে মধু মেশালে তা আপনার কাছে বিষের সমান। কারণ এই ভাবে দিনের পর দিন মধু খেলে শরীরে দুর্গন্ধযুক্ত, আঠালো, ক্ষতিকর পদার্থ জমা হয় শরীরে। এই বিষাক্ত টক্সিন যখন শরীরে জমতে শুরু করে তখন তা আমাদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা যায়। রক্তে এই টক্সিন জমা হওয়ায় তা প্রয়োজনীয় পুষ্টিকে রক্তে জমা হতে দেয় না। সেখান থেকে আরও নানা সমস্যা হতে পারে। যা আপনি নিজেও ধরতে পারবেন না।

মধুর উপকারিতা

প্রাকৃতিক শর্করা হল মধু। এছাড়াও মধুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা অনেক রকম সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে।

গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে মধু। নিয়ম মেনে খেতে পারলে তবেই কিন্তু ওজন কমে।

যে কোনও রকম ক্ষত সারাতেও কিন্তু কাজে আসে মধু।

হার্ট ভাল রাখতেও কাজে আসে মধু।

মধুর মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, নিয়াসিন, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, অ্যামাইনো অ্যাসিড, এনজাইম এবং আরও নানা যৌগ। যা সরাসরি শরীরের কাজে লাগে