Monkeypox Outbreak: এ যাত্রায় বাঁচল বাংলা! বিদেশ ফেরত যুবকের শরীরে মেলেনি মাঙ্কিপক্স ভাইরাস, জানাচ্ছে এনআইভি
Monkeypox in Kolkata: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রিপোর্ট না এলে বোঝা যাবে না, ওই যুবক মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা। তবে রোগীকে একেবারে আলাদা করে চিকিত্সা করা হচ্ছে।
অপেক্ষার অবসান। উত্তর প্রদেশের পর কলকাতাতেও মাঙ্কিপক্সের আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল। বিদেশ থেকে ফিরে এসে শরীরে লাল ফুসকুড়ি, র্যাশ বের হওয়ায় কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক যুবক। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁর নমুনা পাঠানো হয় পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে (NIV)।সেখানে পরীক্ষার রিপোর্টে নেগেটিভ বলে উল্লেখ থাকায় এ যাত্রায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচল বাংলা। আপাতত হাসপাতালে চিকিত্সাধীন হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই যুবক। কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত চিকেন পক্সের চিকিত্সায় সুস্থ করে তোলা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।
করোনার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে নয়া আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে মাঙ্কিপক্স (Monkeypox Virus)। এবার সেই আতঙ্কে আছড়ে পড়ল কলকাতাতেও (Kolkata)। এর আগে উত্তরপ্রদেশে ধরা পড়েছিল নয়া ভাইরাস। এবার বাংলাতেও (WestBengal) হানা দিল মাঙ্কিপক্স। জানা গিয়েছে, ইউরোপ ফেরত এক যুবক সারা শরীরে লালা ফুসকুড়-র্যাশ উপসর্গ নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই তরুণ শরীরে ফুসকুড়ি ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ওই যুবক ইউরোপের একটি দেশ থেকে বাংলায় বাড়ি ফিরেছেন। ফেরার পর তার শরীরে র্যাশ ও মাঙ্কিপক্সের নানান উপসর্গ দেখা দেয়। তারপরই তাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে যে ওই যুবক মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা। তবে রোগীকে একেবারে আলাদা করে চিকিত্সা করা হচ্ছে। ল্যাব রিপোর্টের জন্যই অপেক্ষা রয়েছেন সকলে। তবে মেদিনীপুরে জেলার প্রশাসন ওই যুবকের সংস্পর্শে আসা অন্য়ান্য ব্যক্তিদেরও সতর্ক করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, ওই যুবক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে, ল্যাবে নিশ্চিত হওয়া মাঙ্কিপক্সের সংখ্যা সপ্তাহের হিসেবে ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে ৬ হাজারেরও বেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ভাইরাস আতঙ্ক শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন এলাকাতেই সীমাবদ্ধ নেই, মাঙ্কিপক্স ভাইরাস এখন সারা বিশ্বের অন্যতম সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্সের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের স্কেল ও বিস্তার নিয়ে উদ্বিগ্ন। মোট আক্রান্তর মধ্যে ৯০ শতাংশ শুধুমাত্র ইউরোপে বসবাসকারী! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুসারে ইউরোপের ৩১টি দেশে রোগটি চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিপোর্ট অনুসারে আক্রান্তদের ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্তরা পুরুষ। আফ্রিকার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাঁরা আপৎকালীন পরিস্থিতির মতো করেই সমগ্র অবস্থাটির বিচার করছেন। তারা বিশ্বের ধনী দেশগুলির কাছে আবেদন করেছে যাতে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সবাই ভ্যাকসিন ও ওষুধের সরবরাহ বজায় রাখেন। হু-এর ইউরোপের প্রধান ডাঃ হ্যান্স ক্লুগা বলেছেন, সংক্রমণ রোধে আরও বেশি করে চেষ্টা করতে হবে। সংক্রমণকে কোণঠাসা করতে হলে দ্রুত এবং সংঘবদ্ধ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।