AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Myopia: কোভিড কমিয়ে দিচ্ছে শিশুদের দৃষ্টিশক্তি, ‘মায়োপিয়া’ কতটা চিন্তার?

Nearsightedness: কোভিডের সময়ে দীর্ঘদিন শিশুরা গৃহবন্দি ছিল। বাড়ির বাইরে বেরনোর সুযোগ পায়নি। এর ফলে প্রভাব পড়েছে তাদের বৃদ্ধিতে

Myopia: কোভিড কমিয়ে দিচ্ছে শিশুদের দৃষ্টিশক্তি, 'মায়োপিয়া' কতটা চিন্তার?
কেন কোভিড পরবর্তী কালে বেড়েছে এই সমস্যা
| Updated on: Nov 03, 2022 | 10:25 AM
Share
কোভিড পরবর্তী-পৃথিবীতে একাধিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসেছে মানবসমাজে এবং মানবশরীরে। বাড়ি থেকে দীর্ঘদিন না-বেরনো এবং মেলামেশা না-করার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। আড্ডা, কথোপকথন, গল্পগুজবের পরিবর্তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল হাতে বসে থাকতেই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে মানুষ। একটানা ল্যাপটপ, মোবাইল ঘাঁটার ফলে চোখের উপর চাপ বাড়ছে। ওবেসিটি, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, থাইরয়েড, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের সমস্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে চোখের সমস্যাও। মোবাইল, ল্যাপটপের নীলচে আলো যে চোখের জন্য ভাল নয়, একথা একাধিকবার বলেছেন চিকিৎসকেরা। দৃষ্টিশক্তিতে সরাসরি প্রভাব পড়ছে। বাড়ছে ড্রাই আইজ়ের মতো সমস্যাও। কোভিডে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ লক্ষ মানুষের। ভারতে কোভিড প্রাণ কেড়েছে ৫.২ লক্ষ মানুষের। অতিমারি-পরবর্তী সময়ে ‘ডিজিটাল আই স্ট্রেন’ (DES) বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশেষত বাচ্চাদের মধ্যে বেড়েছে মায়োপিয়া বা দৃষ্টিশক্তির সমস্যা। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, হায়দরাবাদের এল.ভি. প্রসাদ আই হাসপাতালের তরফে সম্প্রতি ২টি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই সমীক্ষায় জোরের সঙ্গে বলা হয়েছে  প্রতি ১০০ জন শিশুর মধ্যে ৪ জন ভুগছে মায়োপিয়া (Myopia)-র সমস্যায়। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যাটাও চলতি বছরে বেড়েছে ২০%।
আর এই সমস্যা এতখানি বেড়েছে যে যার জন্য সরকারিভাবেও বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার এই নভেম্বর থেকেই গ্রামে গ্রামে বাচ্চাদের চোখ পরীক্ষার জন্য আর্মি চিকিৎসকদের পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। তবে এই মুহূর্তে এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই ভাল অবস্থা ভারতের। মায়োপিয়ার সমস্যায় বিশ্বে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে সিঙ্গাপুর। সেখানকার ৮০ শতাংশ তরুণই ভুগছে ক্ষীণদৃষ্টিশক্তির সমস্যায়। চিন, তাইওয়ান এবং কোরিয়ার শিশুদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এই একই সমস্যা। সমীক্ষা আরও বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে মায়োপিয়া এবং হাইমায়োপিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে মোট জনসংখ্যার তুলনায় প্রায় ৫০%। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রথম দেখা যায় এই মায়োপিয়ার সমস্যা। বয়ঃসন্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে এই সমস্যা, যা ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে স্থিতাবস্থায় আসে বা ‘স্টেবিলাইজ়’ করে যায়।
কোভিড-পরবর্তী সময়ে বেড়েছে এই মায়োপিয়ার সমস্যা। বিষয়টি নিয়ে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্তর সঙ্গে। ডাঃ দত্ত বলেন, “মায়োপিয়ার সমস্যা বেড়েছে শিশুদের মধ্যে। কোভিডের সময়ে দীর্ঘদিন শিশুরা গৃহবন্দি ছিল। বাড়ির বাইরে বেরনোর সুযোগ পায়নি। এর ফলে প্রভাব পড়েছে তাদের বৃদ্ধিতে। অনলাইন ক্লাস, অনলাইন গেমেই তারা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর ফলে বাড়ছে চোখের সমস্যা।” ডাঃ দত্ত আরও জানান, একই সঙ্গে বাইরে বেরনোর সুযোগ বা মাঠে খেলারও সুযোগ নেই। এর ফলেই বাড়ছে চোখের মাইনাস পাওয়ারের সমস্যা। ১৮ বছরের পর এই সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। অর্থাৎ তখন পাওয়ার বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
কী ভাবে অভিভাবকেরা বুঝবেন যে সন্তান মায়োপিয়ায় আক্রান্ত? 
এতদিন স্কুল ছিল না। ফলে অনলাইন ক্লাসেই বাচ্চারা অভ্যস্ত ছিল। স্কুলে যাওয়ার পর তারা বাড়িতে এসে বলছে বোর্ড দেখতে পাচ্ছে না। চোখে ব্যথা হচ্ছে। এরপরই মা-বাবারা তাদের নিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসকের কাছে। আর তাই এই সমস্যা রোখার একটাই উপায়: আউটডোর অ্যাক্টিভিটি বাড়ানো। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ এবং নিয়মিত চেকআপ-ও ভীষণ জরুরি। যে কোনও মানুষের বছরে অন্তত ২ বার চোখ পরীক্ষা করা জরুরি।
কর্নিয়া বা আইবল যদি খুব দীর্ঘ হয়, তখন রেটিনার উপর স্পষ্ট ছবি তৈরি হয় না। রেটিনার পরিবর্তে চোখের আলোক সংবেদনশীল অংশে ফোকাস করে। ফলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায়। এই কারণেই মায়োপিয়ার সমস্যা হয়।