চোখ হল মনের আয়না। শুধু তাই নয় এই জগতের আলো আমরা দেখি দু চোখ ভরেই। সেই চোখই যদি না থাকে তাহলে যে কোনও কাজই বৃথা। চোখের দিকে প্রতিটি মানুষের আলাদা করে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ তা করেন না।
চোখের উপর দিনের পর দিন ধরে যদি অতিরিক্ত চাপ পড়তে থাকে তাহলে সমস্যা হবেই। আজকাল সব বয়সের সব মানুষই দিনের অধিকাংশ সময় কাটান মোবাইল বা কম্পিউটারে চোখ। সেখান থেকে চোখ যেন সরতেই চায় না। আর মোবাইলের এই নীলচে স্ক্রিনে একটানা তাকিয়ে থাকা মোটেই ঠিক কাজ নয়।
যে কারণে কোভিড পরবর্তী সময়ে বেড়েছে ড্রাই আইজের সমস্যা। গৃহবন্দি থাকার সময় মানুষ মোবাইলের সঙ্গেই বন্ধুত্ব করেছিলেন। আর সেই ধারা এখনও চলছে। অনলাইন পড়াশোনা, কাজ, অফিস এসব তো আছেই।
আমাদের চোখে তরল গ্রন্থি রয়েছে তার জন্যই চোখে জল আসে। চোখ থেকে জল পড়ে। কোনও কারণে এই তরল তৈরি না হলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। আর চোখ শুষ্ক হয়ে গেলে চোখ জ্বালা করে। চোখ লাল হয়, ইনফেকশনের সমস্যা বহুগুণ বেড়ে যায়।
ড্রাই আইজেরসমস্যা হলে ফেলে রাখবেন না। কোনও কারণে চোখে যদি ব্যথা হয় তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে সত্ত্বর যোগাযোগ করুন। কোনও রকম অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও এই ড্রাই আইজ বেশি হয়।
অ্যান্টিহিস্টামাইন, ডিকনজেন্সটেন্ট, অ্যান্টি ডিপ্রেশেন্ট ওষুধ খেলে হতে পারে এই সমস্যা। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কোনও গর্ভনিরোধক ওষুধ খান তাঁরাও পড়তে পারেন এই একই সমস্যায়। একটানা লেন্স পরলে অনেক সময় নার্ভের ক্ষতি হয়। সেখান থেকেও আসতে পারে এমন সমস্যা।