Migraine: ওয়ার্ক ফ্রম হোম পরিস্থিতিতে কীভাবে মোকাবিলা করবেন মাইগ্রেনের সঙ্গে?
করোনাকালে জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে এই মাইগ্রেনও। ওয়ার্ক ফ্রম হোম পরিস্থিতিতে অনেকের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যাদের মধ্যে আগে মাইগ্রেনের সমস্যা ছিল না, তাদেরও নতুন করে উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এখন প্রশ্ন উঠছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম পরিস্থিতিতে কীভাবে মোকাবিলা করব এই মাইগ্রেনের সঙ্গে!
মাইগ্রেন হচ্ছে এমন একটি স্নায়ুবিক সমস্যা, যেখানে ক্রমাগত এবং অসহ্য পরিমাণে মাথার যন্ত্রণা করে। এতে ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দৈনন্দিন জীবন। বিশ্বব্যাপী এই রোগে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। মাইগ্রেনের প্রধান উপসর্গগুলি হল স্থায়ী মাথাব্যথা, মাথার একপাশে তীব্র ব্যথা বা স্পন্দিত ব্যথা, আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা এবং বমি বমি ভাব।
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে বিশ্বব্যাপী মানুষ ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’কেই বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। দেড় বছরে যে ভাবে মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন হয়েছে, সেখানে ওয়ার্ক ফ্রম হোম একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু এই বাড়িতে বসে কাজ করার ফলে যেমন অনেক সুবিধা দেখা দিচ্ছে, তেমনই রয়েছে অসুবিধাও। করোনাকালে জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে এই মাইগ্রেনও। ওয়ার্ক ফ্রম হোম পরিস্থিতিতে অনেকের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যাদের মধ্যে আগে মাইগ্রেনের সমস্যা ছিল না, তাদেরও নতুন করে উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এখন প্রশ্ন উঠছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম পরিস্থিতিতে কীভাবে মোকাবিলা করব এই মাইগ্রেনের সঙ্গে!
ঝুঁকির কারণগুলি সনাক্ত করুন
মাইগ্রেন হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই। তবে, ২৫ থেকে ৫৫ বছরের মানুষদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। আবার, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। বাড়ি থেকে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা, দীর্ঘ স্ক্রিনের সামনে সময় কাটানো, ব্যাহত ঘুমের সময়সূচী এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস মানসিক চাপ বাড়াতে পারে। মাইগ্রেনকারীদের জন্য, এই ধরনের পরিবর্তনগুলি মাইগ্রেনের ট্রিগার হয়ে উঠতে পারে, যা তাদের অবস্থাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
সঠিক ডায়েট ও জীবনধারা মেনে চলুন
বাড়ি থেকে কাজ করা কঠিন হলেও, মাইগ্রেনের সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণ খাবার খান। কাজ থেকে বিরতি নিন কিছু সময় অন্তর অন্তর, এতে আপনার চোখের ওপর পড়া চাপও কমবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। সঠিক ঘুমের অভ্যাস বজায় রাখুন। এই বিষয় গুলি খেয়াল রেখে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে এবং মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে আপনি রেহাই পাবেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
যদি প্রতিদিন মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয় এবং মাথার যন্ত্রণা যদি তীব্র হয় তাহলে বিষয়টি উপেক্ষা করবেন না। দ্রুত কোনও স্নায়ু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। করোনাকালে এখন অনেক মানুষই ক্লিনিক বা হাসপাতালে যেতে চান না, সেক্ষেত্রে টেলিফোনিক আলোচনা করুন।
আপনার মাইগ্রেনকে ট্র্যাক করুন
আপনার মাইগ্রেনের আক্রমণ, উপসর্গ, দৈনন্দিন ডায়েট, ব্যায়ামের রুটিন এবং ওষুধ ও তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির সময় এবং তীব্রতা সম্পর্কে একটি ডায়েরিতে নথিভুক্ত করে রাখুন। এটি ট্রিগার এবং প্যাটার্নগুলি সনাক্ত করতে সহায়তা করতে পারে। পরে, কাজ থেকে বিরতি নিয়ে তা চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন, এতে আপনি ভাল ফল পেতে পারেন।
মাইগ্রেনের সমস্যাকে আরও ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পরিবারের সদস্য, বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করুন। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: সারাদিনের ব্যস্ততা মাথার যন্ত্রণা সৃষ্টি করছে? আপনার জন্য রইল ঘরোয়া প্রতিকার!