Stroke: এই সব লক্ষণ দেখলে হুঁশিয়ার হোন আজই, স্ট্রোক হতে পারে কমবয়সীদের মধ্যেও!
Prevent Stroke: পারিবারিক ইতিহাসে স্ট্রোকের সমস্যা থাকলে সচেতন হতে হবে। অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও অসাড়তা, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ এমন লক্ষণ দেখলে আগেই সতর্ক হন
Stroke and the warning signs: বিশ্বজুড়েই বাড়ছে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। মস্তিষ্কের কোনও একটি অংশে হঠাৎ করে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে সেখান থেকে কিন্তু হতে পারে এই সমস্যা। আবার কোনও কারণে মস্তিষ্কের মধ্যে কোনও শিরা বা রক্তনালী ফেটে গেলে সেখান থেকেও কিন্তু থেকে যায় স্ট্রোকের সম্ভাবনা। শরীরের যাবতীয় ক্রিয়াকর্ম পরিচালনার প্রধান হল মস্তিষ্ক। এই মস্তিষ্ক কোনও কারণে আঘাত পেলে কিন্তু সেখান থেকেও আসে একাধিক সমস্যা। শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও তার প্রভাব পড়ে। আসে শারীরিক অক্ষমতা এবং সেখান থেকে ঘটতে পারে মৃত্যুর ঘটনা। বছরে প্রায় ৫কোটি মানুষের মৃত্যু হয় এই স্ট্রোক থেকে। বিশ্বজুড়ে বছরে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ১৪ কোটি। এখনই সচেতন না হলে স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা পরের বছর দাঁড়াতে পারে ৭ কোটিতে।
আমেরিকান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন বলছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু বেড়ে যায় স্ট্রোকের ঝুঁকিও। এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে আমাদেরকেই। ৫৫ বছর বয়সের পর প্রতিটি মানুষের মধ্যেই বাড়ে স্ট্রোকের সম্ভাবনা। এবং প্রতি ১০ বছর অন্তর সেই ঝুঁকি বাড়তেই থাকে। তবে প্রি-স্ট্রোকের ক্ষেত্রে বেশ কিছু উপসর্গও থাকে। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমতে শুরু করলে একাধিক লক্ষণও দেখা দেয়। তবে যে ভাবে লক্ষণ প্রকাশ পায় তাতে স্ট্রোক মনে হলেও তা কিন্তু ২৪ ঘন্টার বেশি স্থায়ী হয় না। ব্রেন অ্যাটাক কিন্তু স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় লক্ষণ। এছাড়াও প্রাথমিক ভাবে যে সব উপসর্গ দেখা দেয় তা হল-
*মুখ, হাত-পা অসাড় হয়ে যাওয়া *ভার্টিগোর সমস্যা *দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া *কথা জড়িয়ে যাওয়া *অন্যদের চিনতে না পারা *ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা
এই অন্যদের চিনতে না পারা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, ঝাপসা দৃষ্টিশক্তি এসবই কিন্তু স্ট্রোকের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। আর তাই এই লক্ষণ দেখলে প্রথম থেকেই সতর্ক হতে হবে। এবং চিকিৎসা শুরু করতে হবে। স্ট্রোক মূলত দুরকম। ইস্কেমিক স্ট্রোক এবং হেমোরেজিক স্ট্রোক। ইস্কেমিক স্ট্রোক তখনই হয়, যখন মস্তিষ্কে অজান্তেই রক্ত জমাট বাঁধে এবং সেখান থেকে ধমনীর পথ আরও বেশি সংকীর্ণ হয়ে যায়। হেমোরেজিক স্ট্রোক হল, হঠাৎ ধমনী থেকে মস্তিষ্কে রক্তপাত হতে শুরু করে এবং মস্তিষ্কের কাজে বাধা পায়। এছাড়াও কোনও কারণে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে সেখান থেকেও কিন্তু স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে।
খুব কম বয়সীদের মধ্যেও আজকাল স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। এর জন্যও কিন্তু দায়ী জীবনযাত্রা। অতিরিক্ত উচ্চাশা, মানসিক চাপ, হতাশা, শরীরের উপর অত্যাচার, ঠিক সময়ে ঘুম-খাওয়াদাওয়া না করা, মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের সম্ভাবনা। কারোর পারিবারিক ইতিহাসে স্ট্রোকের সমস্যা থাকলে সেখান থেকেও কিন্তু আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Diabetes: বাড়িতে কোন সময়ে সুগার মাপলে সঠিক ফল পাবেন? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা