Weight Loss Tips: ডায়েট করছেন কিন্তু বাইরের খাবারের প্রতি ভালবাসা কমছে না? যা করবেন…
Control Appetite: পুষ্টিবিদের কথা মতো ডায়েট করছেন। কিন্তু বাইরের খাবারের প্রতি লোভ সামলাতে পারছেন না। আর ফাস্ট ফুডের প্রতি ভালবাসা না কমাতে পারলে ওজনকে বশে রাখা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। ডায়েট করলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর সীমিত পরিমাণে খাবার খেতে হয়।
বাড়তি ওজন কখনওই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বিষয় নয়। ওজন বেশি হলে এখান থেকে হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী অসুখ হানা দেয়। ওজন কমানো জন্য শুধু ওয়ার্কআউট করলে চলবে না। খাওয়া-দাওয়া নিয়েও সচেতন থাকতে হবে। পুষ্টিবিদের কথা মতো ডায়েট করছেন। কিন্তু বাইরের খাবারের প্রতি লোভ সামলাতে পারছেন না। আর ফাস্ট ফুডের প্রতি ভালবাসা না কমাতে পারলে ওজনকে বশে রাখা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। ডায়েট করলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর সীমিত পরিমাণে খাবার খেতে হয়। মাঝেমধ্যে ‘চিট ডে’ও থাকে। কিন্তু ডায়েটের শুরু দিকে খিদেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। মুখরোচক খাবার ও ঘন ঘন খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে কীভাবে দূরে রাখবেন? রইল টিপস।
১) খিদে পেলে বেশি করে জল খেয়ে নিন। এমনিও দেহে তরলের ঘাটতি দেওয়া যাবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া দরকার। এতে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে। পাশাপাশি শরীর হাইড্রেট থাকবে। প্রয়োজনে জলে লেবু, পুদিনা, শসা, তরমুজেরও মতো উপাদান হিসেবে ডিটক্স ওয়াটার বানিয়েও খেতে পারেন।
২) ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। ফাইবার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ওটস, বিভিন্ন ধরনের ডাল, ফল ও শাকসবজি রাখুন।
৩) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে খিদে কম পায়। যখনই খাবার খাবেন, পাতে একটি করে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। চিকেন, ডিম, পনির, মাছ ইত্যাদি রাখতে পারেন। উদ্ভিজ্জ প্রোটিনও রাখতে পারেন।
৪) ডায়েট করার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হওয়াও জরুরি। সামনে যতই বিরিয়ানি থাকুক, আপনি খাবেন না। পাশাপাশি ডায়েট করার সময় অত্যধিক মানসিক চাপ নেবেন না। এতে দেহে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এর জেরে আপনি অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলেন। বিশেষত মুখরোচক খাবার খেয়ে ফেলেন। এই ভুল এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
৫) খাবার খাওয়ার সময় একদম তাড়াহুড়ো করবেন না। ধীরে সুস্থে চিবিয়ে খাবার খান। ঠিকমতো চিবিয়ে খাবার না খেলে খাবার হজম হয় না। এতেও কিন্তু খিদে কম পাবে এবং পেট ভর্তি থাকে।