Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anti-Biotics: কথায়-কথায় অ্যান্টিবায়োটিক খান? জ্বর হলেই এবার কড়া ওষুধ খাওয়ার দিন শেষ

ICMR guidelines: আইসিএমআর-এর নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনওভাবেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া চলবে না।

Anti-Biotics: কথায়-কথায় অ্যান্টিবায়োটিক খান? জ্বর হলেই এবার কড়া ওষুধ খাওয়ার দিন শেষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2022 | 10:21 AM

বেশিরভাগ মানুষই সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি হলে ডাক্তার না দেখিয়েই ওষুধ খেয়ে নেন। আবার অনেক এমনও রয়েছেন যাঁরা ছোট ছোট সমস্যায় সব সময় অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্য নেন। এবার এই দুটোই বন্ধ হবে। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এবার থেকে সাধারণ ভাইরাল জ্বর কিংবা হালকা জ্বরের ক্ষেত্রে আর অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না।

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাওয়ার দিনও এবার শেষ। আইসিএমআর-এর নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনওভাবেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া চলবে না। এখানেই শেষ নয়। কোন দিন ওষুধ খাওয়া শুরু করছেন এবং কবে শেষ করছেন সেটাও মনে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমায় ওষুধ খেয়েও যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলেও ওষুধের ডোজ় বাড়ানো বা ওষুধ পরিবর্তন করা যাবে না।

নিউমোনিয়া সংক্রান্ত জ্বরের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে আইসিএমআর। তবে সেটাও সময়সীমা রয়েছে। জ্বর বেশি হলে ৮ দিন এবং তারপর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৫ দিনের জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স দেওয়া যেতে পারে রোগীকে। অন্যান্য কোনও সংক্রমণের ক্ষেত্রেও এই সময়সীমাই মানতে হবে। এছাড়া সাধারণ ভাইরাল জ্বরের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া আর চলবে না।

আইসিএমআর-এর অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, প্রভাব ইত্যাদি নিয়ে বেশ কয়েক সমীক্ষা করে। সেখানে দেখা গিয়েছে, এমন অনেক বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যার শক্তিশালী প্রভাব অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সেক্ষেত্রে ওই শক্তিশালী ব্যাকটেরিয়াগুলোর উপর অ্যান্টিবায়োটিক কোনও কাজ করে না। উল্টে ওই অ্যান্টিবায়োটিকগুলো শরীরের অন্যান্য ভাল ব্যাকটেরিয়ার উপর প্রভাব ফেলে। আর সাধারণ জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা শরীরে মারাত্মক ঝুঁকি ডেকে আনে।

অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাস সংক্রমণে অনেক সময় কাজ করতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু কথায়-কথায় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা অন্ত্রের কিছু ভাল ব্যাকটেরিয়াকে নষ্ট করে দেয়। অর্থাৎ হিতে বিপরীত কাণ্ড ঘটে। সামগ্রিকভাবে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়। তাই আইসিএমআর নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে যে, সাধারণ ভাইরাল জ্বরে আর অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না।