Diabetes: ডায়বেটিসের রোগী হতে বেশি পরিমাণে কুমড়ো খাচ্ছেন? নিজের কী ক্ষতি করছেন জানেন?

Pumpkin: একাধিক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে কুমড়ো। কিন্তু ডায়বেটিস রোগীদের জন্য কুমড়ো কি স্বাস্থ্যকর?

Diabetes: ডায়বেটিসের রোগী হতে বেশি পরিমাণে কুমড়ো খাচ্ছেন? নিজের কী ক্ষতি করছেন জানেন?
Image Credit source: istockphoto.com
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 11, 2022 | 6:00 PM

নিঃশব্দ ঘাতকের মত ক্রমেই বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ডায়াবিটিস (Diabetes) আক্রান্তের সংখ্যা। এমনকী হাই ডায়াবিটিস থেকে থেকে হচ্ছে মৃত্যুও। আর এর পিছনে সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী আমাদের জীবনযাত্রা। দিনের পর দিন বেড়ে চলা মানসিক চাপ, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়া, শরীরচর্চা একেবারেই না করা এসবই কিন্তু বাড়িয়ে দিচ্ছে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি। অন্যদিকে, রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সব সময় খেয়াল রাখতে হয় খাদ্যতালিকায়। কী খাবেন আর কী-কী খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেবে এই বিষয়ে যে সংযত থাকতে হয় সব সময়। কারণ সুগার লেভেল (Blood Sugar Level) যদি একটু ওপর নীচে হয়ে যায়, তাহলে তখনই ঘটবে বিপদ। এমন পরিস্থিতিতে রোজকার ডায়েটেও (Diabetes Diet) মেনে চলতে হয় সাবধানতা।

মধ্যবিত্ত বাড়িতে কুমড়ো হচ্ছে একটি সাধারণ সবজি। যদি পুষ্টির দিক দিয়ে বিবেচনা করা হয় তাহলে কোনও অংশেই কম নয় কুমড়ো। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসে ভরপুর কুমড়ো। এছাড়াও একাধিক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে কুমড়ো। কিন্তু ডায়বেটিস রোগীদের জন্য কুমড়ো কি স্বাস্থ্যকর? অনেকেই মনে করেন কুমড়ো যেহেতু স্বাদে মিষ্টি সবজি তাই এটি প্রভাব ফেলতে পারে ডায়বেটিস রোগীদের ওপর। কিন্তু এর আগে জানা দরকার ডায়বেটিস রোগীদের কী ধরনের খাবারকে ডায়েট রাখা জরুরি।

ডায়বেটিস রোগীরা কী কী খেতে পারেন আর কোন খাবারগুলো খেতে পারবেন না তার অনেকটাই নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট খাবারটি রক্তে শর্করার মাত্রার উপর কতটা প্রভাব ফেলে তার উপরে। কিন্তু সেটাও বুঝবেন কীভাবে? কোন খাবার রক্তে শর্করার মাত্রার ওপর কতটা প্রভাব ফেলে তা নির্ধারণ করা হয় গ্লাইসেমিক লোড ও গ্লাইসেমিক ইনডেক্স নামক দুটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে।

গ্লাইসেমিক লোড কী? একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবারে কতটা পরিমাণ শর্করা রয়েছে তা পরিমাপ করা হয় এই গ্লাইসেমিক লোডের মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব খাবারের গ্লাইসেমিক লোডের মান দশের কম সেই খাবারগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা খুব একটা বৃদ্ধি করে না। অন্য দিকে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বলতে বোঝায় যে, কোন খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা বাড়াতে পারে। এক থেকে একশোর মধ্যে যে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যত বেশি, সেই খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা তত বেশি বৃদ্ধি করবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে কুমড়োর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং গ্লাইসেমিক লোডের ওপর নির্ভর করছে যে এটি ডায়বেটিস রোগীদের খাওয়া উচিত কিনা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে খাবারের মোট পরিমাণ বোঝা যায় না। তাই ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কোন খাবার কতটা উপযোগী তা বুঝতে গ্লাইসেমিক লোড ব্যবহার করা হয়। কুমড়োর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হল ৭৫, তুলনামূলক ভাবে অনেক গুণ বেশি। কিন্তু যদি কুমড়োর গ্লাইসেমিক লোড বিবেচনা করা হয় তাহলে এটি মাত্র ৩। অর্থাৎ ডায়বেটিস রোগীরা নির্দ্বিধায় কুমড়ো খেতে পারেন কিন্তু সীমিত পরিমাণে। বেশি পরিমাণ কুমড়ো খেতে হিতে-বিপরীতও হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বেড়ে যেতে পারে রক্তে শর্করার মাত্রা। তাই কুমড়োকে ডায়েটে তো রাখবেন কিন্তু অল্প পরিমাণে।

আরও পড়ুন: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় জেরবার? সমাধানের উপায় বললেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ